ট্রেনের সবচেয়ে নিরাপদ বগির সম্পর্কে ধারণা আছে?

Title: ট্রেনের সবচেয়ে নিরাপদ বগির সম্পর্কে ধারণা আছে? দূর্ঘটনা এড়াতে রক্ষা কবেচের মত কাজ করে এই কামরা! ট্রেনে চড়ার আগে জেনে নিন এই বিষয়ে!

Focus:

আচ্ছা?

ট্রেনের সবচেয়ে নিরাপদ
বগির সম্পর্কে ধারণা আছে?

কোন বগিতে যাত্রা
করলে মঙ্গল হবে!

দূর্ঘটনা এড়াতে রক্ষা কবেচের
মত কাজ করে এই কামরাগুলি!

যাত্রা করার আগে এই
সিটগুলি রিজার্ভ করুন!

ট্রেনে চড়ার আগে অবশ্যই এই
বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে নিন!

Body:

রেল ভারতের মেরুদণ্ড। এই রেলের মাধ্যমেই লাখ লাখ মানুষ আজ সুবিধা পাচ্ছে। আবার এই রেলের মাধ্যমেই অজস্র মানুষের প্রাণ যমের দুয়ারে কড়া নাড়ে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির সংঘর্ষ মানুষের মনে ভয় ধরিয়েছে। আর এই দুর্ঘটনার পর থেকেই মানুষের মনে একগুচ্ছ প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। ট্রেন কি মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারবে? এখন থেকে কি ট্রেন চলাচল করা আদৌ নিরাপদ? এইসব প্রশ্নের মাঝে উঠে আসছে আরো একটি বিরাট প্রশ্ন। সেটা হচ্ছে ট্রেনে যাত্রা করলে কোন বগি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ হবে? টিকিট কাটার সময় কোন বগি যাত্রী সাধারণের সুবিধা দেয়? ৯৯% মানুষই এই বিষয়ে জানেন না। না জানলে এই বিষয়টি জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি ট্রেনে যাত্রা করার আগে এই দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা উচিত।

এক, ট্রেনের বগি:

আপনারা হয়তো জানেন ট্রেনের বগি মূলত ধাপে ধাপে সাজানো হয়ে থাকে। প্রথমে থাকে A1, A2 পরপর। এগুলি মূলত ফার্স্ট ক্লাস এসি কামরা। এরপরে থাকে B1, থেকে B4 অবধি। এগুলিও এসি কামরায় তবে এক একটার সুবিধা এক এক রকম। B বিভাগের পর থাকে S1 কোচ। S হচ্ছে মূলত স্লিপার ক্লাস। স্লিপারের পর থাকে জেনারেল বগি। তবে অনেকেই ফার্স্ট ক্লাস এসি পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ট্রেনে যাত্রা করার সময় সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বগি হচ্ছে মধ্যবর্তী বগি অর্থাৎ B4 বগি। এগুলি মূলত একদম মাঝের বগি হয়ে থাকে। দুর্ঘটনার সময় সর্বদা ট্রেনের সামনে কিংবা এক্কেবারে পিছনের বগি গুলি বিপদের মুখে থাকে। আবার সব ট্রেন বগি যে উল্লেখিত ক্রমানুসারে সাজানো হয় তেমনটাও নয়। ওলটপালটও হতে পারে। তবে যখনই টিকিট কাটবেন খেয়াল রাখবেন বগি যেনো মাঝের বগি হয়।

দুই, সিট:

সিট রিজার্ভ করার সময় বেশ সচেতন থাকুন। এক একটি ট্রেনে এক একরকম সিটের ব্যবস্থা থাকে। কোথাও থ্রি প্লাস টু প্লাস থ্রি তো আবার কোথাও টু প্লাস টু এমন। তবে যেকোনো একটা সিট রিজার্ভ করলাম। হয়ে গেলো এমনটা করবেন না। এই বিষয়ে বিশেষ কিছু রেল গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, সিট সংখ্যা নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও মধ্যবর্তী আসনের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। কারণ কোনো দূর্ঘটনা হলে ঝাঁকুনি সবচেয়ে বেশি হয় সামনের দিকে এবং পিছনের দিকের আসনগুলোতে। ঝাঁকুনি হওয়ায় সামনের দিকে বসা যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আর পিছনের দিকে যারা থাকে তারা ছিটকে সামনে চলে আসেন। এদিক থেকে মধ্যবর্তী আসনে বসে থাকা যাত্রীরা কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকেন। ধরুন কোনো বগির সিট সংখ্যা ৭৮, সেক্ষেত্রে আপনি সিট নির্বাচন করুন ৩২ থেকে ৩৪ এর মধ্যে।

তাহলে বুঝতে পারছেন কোন দুটি বিষয় ঠিক কিভাবে সতর্ক হবেন। আজকে থেকে যখন বিষয়টি জেনে গেলেন। এরপর থেকে আপনার নিজের জন্য কিংবা নিজের কাছের মানুষের জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে গেলে এই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। এতে করে প্রাণ সংশয় কিছুটা হলেও এড়ানো যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *