Title: একজন সাংসদের বেতন কত হয় জানেন? গাড়ি, বাড়ি সবই থাকে হাতের মুঠোয়! তাদের আয় উন্নতি দেখলে লজ্জা পাবেন আম্বানি, আদানিও!
Focus:
একজন সাংসদের
বেতন কত হয়?
জানেন?
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারের চেয়েও
কয়েকগুণ বেশি মাসিক বেতন!
ফুলে ফেঁপে থাকে
অর্থ ভাণ্ডার!
লকার ভর্তি টাকা,
বড় বড় বাংলো,
ঝা চকচকে গাড়ি
সবই থাকে হাতের মুঠোয়!
সাথে পাওয়া যায়
এত এত সুবিধা!
তাদের আয় উন্নতি দেখলে
লজ্জা পাবেন আম্বানি, আদানিও!
তারা ঠিক কি কি
সুবিধা পেয়ে থাকেন?
দেখুন
আজকের প্রতিবেদনে
Body:
সদ্যই শেষ হয়েছে লোকসভা ভোট। আর এক্সিট পোলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়ে বাংলায় শাসকদল নিজের ভিত আরো মজবুত করেছে। অন্যদিকে বিজেপি এক্কেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। শুধু বাংলায় নয় গোটা দেশে গেরুয়া শিবিরের রং ফিকে হয়ে পড়েছে। সে যাই হোক না কেনো, ভোটের পর পরই ৫৪৩ জন সাংসদ নির্বাচন করা হয়েছে। অনেকের মনেই সাংসদ নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়। বিশেষ করে তাদের বেতন কত? তারা কি কি সুবিধা পেয়ে থাকেন ইত্যাদি। আর হবে নাই বা কেনো বলুন যেখানে বড় বড় সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে ডাক্তার, উচ্চপদওয়ালা চাকুরুজীবীরাও রাজনীতিতে নাম লেখান সাংসদ হওয়ার জন্য। সেখানে এই প্রশ্নগুলো তো বাঞ্ছনীয়। একজন সংসদের ঠিক কি কি সুবিধা পেয়ে থাকেন তা একে একে আপনাদের জানাবো।
প্রথমে জানাই তাদের বেতন সম্পর্কে:
একজন সাংসদের বেতন কিন্তু এক লাখ। সারা বছর কাজ করে যেখানে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা রোজগার করতে চুলে পাক ধরে যায়। সেখানে একবার সাংসদ হলেই মাসিক বেতন ১ লাখে পৌঁছে যায়। শুধু তাই নয় প্রাক্তন সাংসদেরাও প্রতিমাসে ২৫,০০০ টাকা পেনশন পেয়ে থাকেন।
দুই, ভাতা:
বেতনের পাশাপাশি তারা মোটা অঙ্কের ভাতাও পেয়ে থাকেন। নিজের এলাকায় পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৭০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। মূলত সেখানকার কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য, সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করার জন্য এই ভাতা প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি আরো ৬০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয়। এই ভাতা দিয়ে সাংসদ তার নিজস্ব দপ্তর চালান। এছাড়াও কোন সংসদীয় বৈঠক হলে কিংবা অধিবেশন হলে সে ক্ষেত্রেও ২০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। তার যাবতীয় খরচের জন্য এই টাকা। এতো গেলো শুধু ভাতার সুবিধা। আরো সুবিধা রয়েছে।
তিন, বাড়ি:
একজন সাংসদ হিসেবে নির্বাচন হওয়ার পর, ৫ বছরের জন্য তাকে বাংলো বাড়ি দেওয়া হয়। তবে এই বাড়ি কতটা লাক্সারিয়াস হবে, আকার আয়তন কি হবে সমস্তটাই নির্ভর করে একজন সাংসদ কতবার নির্বাচন হয়েছে। কেউ যদি তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয় সেক্ষেত্রে তার বাংলো হবে রাজপ্রাসাদের মত। আর অন্যদিকে কেউ যদি প্রথমবার সংসদ হিসেবে নির্বাচন হন সেক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে একটু কম মানের বাংলো পাবেন তিনি। আর কেউ যদি এই বাংলো কিংবা বাড়িতে থাকতে না চান,,,,,,,,, সেক্ষেত্রে সেই সাংসদকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
চার, বিমান সফর:
বিমান সফরেও বেশ সুবিধা পেয়ে থাকেন সাংসদেরা। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে একজন সাংসদ সারা বছরে ৩৪ বার বিনামূল্যে বিমান সফর করতে পারেন। তবে সেটা হতে হবে দেশের মধ্যে। এই সুবিধা পেতে পারেন তার আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরাও।
পাঁচ, ট্রেনের পরিষেবা:
বিমানের পাশাপাশি সারা বছর বিনামূল্যে ট্রেনের পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। অবশ্যই সেটা ফার্স্ট ক্লাস এসি কামরা হবে। তারা তো আমার আপনার মত সাধারণ ব্যক্তি নয়। যে জেনারেল বগিতে ঘুরে বেড়াবে।
ছয়, গাড়ির খরচা:
গাড়ির জন্যও তাদেরকে তেমন বেশি খরচ করতে হয় না। নিজের এলাকা অর্থাৎ নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ানোর জন্য জ্বালানির খরচা পর্যন্ত তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাহলে ভাবতে পারছেন তারা ঠিক কি কি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
সাত, বিনামূল্যে চিকিৎসা:
একজন সংসদ হওয়া দরুণ তিনি সরকারি হাসপাতাল গুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন। একাধারে এই চিকিৎসার সুবিধা সাংসদের পরিবারের লোকেরাও পেয়ে থাকেন।
আট, বিদ্যুৎ পরিষেবা:
সাংসদেরাও বিদ্যুৎ পরিষেবাতেও পেয়ে থাকেন বড়সড় ছাড়। বছরে ৫০ হাজার ইউনিট পযর্ন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
নয়, মোবাইল পরিষেবা:
মোবাইল পরিষেবাতেও কোন খামতি নেই। একজন সাংসদ হিসেবে বছরেই মোবাইল খরচের জন্য পেয়ে থাকেন দেড় লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি উচ্চমানের নেট পরিষেবা তো রয়েইছে।
Leave a Reply