Title: গরমে জান কয়লা হয়ে যাচ্ছে! তাহলে ঘুরে আসুন ভারতের এই ৫ জায়গায়! যেখানে আসলেই জমে হয়ে যাবেন মালাই কুলফি!
Focus:
গরমে জান কয়লা হয়ে যাচ্ছে!
তাহলে ঘুরে আসুন
ভারতের এই ৫ জায়গায়!
যেখানে আসলেই জমে
হয়ে যাবেন মালাই কুলফি!
প্রয়োজন পড়বে বড় বড় কম্বলের!
হার মানবে সোয়েটার, মাঙ্কি টুপিকেও!
রাস্তায় বেরোলেই হোঁচট
খাবেন বরফের টুকরোতে!
তাহলে দেরি না করে
দেখে নিন এই ৫ জায়গার নাম
Body:
ইতিমধ্যেই বঙ্গবাসী গরমের চোটে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। আর হাহাকার শুরু হয়েছে বৃষ্টি কই! বৃষ্টি কই বলে! তবে এবার কান্নাকাটি বন্ধ করুন,,,,,,, আজ এমন ৫ জায়গার হদিস দেবো। যেখানে গেলেই হাতে হাত ঘষতে হবে ঠান্ডায়। দাঁত করবে রি রি! সোয়েটার কম্বল গায়ে মুড়িয়েও শীত কাটতে চাইবে না। ধোঁয়া ওঠা চা নিমিষে হবে ঠান্ডা জল। রাস্তায় বেরোলেই দেখতে পাবেন চারিদিকে বরফের আস্তরণ মোড়া রাস্তা থেকে গাছপালা।
তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সিয়াচেন হিমবাহ:
ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শীতলতম স্থান হচ্ছে এই সিয়াচেন হিমবাহ। যেখানে গেলেই ঠান্ডায় গায়ের হাড় পর্যন্ত জমে বরফ হয়ে যায়। এটি মূলত কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত। যার উচ্চতা ৫৭৫৩ মিটার। তাহলে ভাবুন এখানে তাপমাত্রা ঠিক কেমন থাকে। তথ্যসূত্র জানা গিয়েছে, জানুয়ারী মাসেই এখানে তাপমাত্রা পৌঁছে যায় মাইনাস ৫০ ডিগ্রিতে। যেখানে থাকা সাধারণ মানুষের কাছে অসম্ভব বিষয়। আর গ্রীষ্ম তে সেটা হয়ে দাঁড়ায় মাইনাস ১০ ডিগ্রি। অর্থাৎ গরমকালেও এখানে চরম ঠান্ডা অনুভব করা যায়।
দুই নম্বরে রয়েছে দ্রাস:
লাদাখের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত এই দ্রাস। যার আঁকাবাঁকা পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শুধু বরফ আর বরফ। এটি মূলত ৩২৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। যার দরুন এখানে ঠান্ডাটাও একটু নয় অনেকটাই বেশি। মাইনাস ৪৫° সেলসিয়াসের নিচে চলে আসে তাপমাত্রা। এখানে পা রাখলেই ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরে শরীরে।
এরপর তালিকায় রয়েছে লেহ লাদাখ:
ভারতের অন্যতম শীতল স্থান হিসেবে দাঁড়িয়েছে এই লেহ লাদাখ। লেহ হচ্ছে লাদাখের রাজধানী। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এখানে আসার মনোরম পরিবেশ তৈরি হয়। এর উচ্চতা হচ্ছে ৬০০০ মিটার! এখানে গেলেই দেখতে পাবেন বরফে ঢাকা পাহাড়, তিব্বতি বৌদ্ধ মঠ সাথে প্রাকৃতিক আকর্ষণ তো রইছে। এখানে শীতের কোন শেষ নেই। শীতকাল আসলে এর তাপমাত্রা চলে যায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রির নিচে। সারা বছর ধরে চলতে থাকে এখানে তুষারপাত।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে মুন্সিয়ারী:
পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের জায়গা হচ্ছে এই মুন্সিয়ারী। সময় পেলেই ভ্রমণপিপাসুরা চলে আসে এখানে ছুটে। উত্তরাখণ্ডের পিঠোরগড় জেলায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এর ফলে এখানে ঠান্ডাটাও নেহাত কম নয়। শীতকাল আসলেই তাপমাত্রার পারদ নেমে যায় -2 ডিগ্রীতে। সাথে চলে মনোরম পূর্ণ তুষারপাত।
সর্বশেষ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুল্লু ও মানালি:
বাঙ্গালীদের কাছে মানালি হচ্ছে ফার্স্ট চয়েস। মধুচন্দ্রিমা হোক কিংবা গ্রীষ্মের ছুটি। সবেতেই মানালি যাওয়া চাই চাই! হিমাচল প্রদেশের দুটি বিখ্যাত পর্যটন স্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কুল্লু প্রায় ১২০০ মিটার এবং মানালি ১৯০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। ঠান্ডা, তুষারপাত, বরফে ঘেরা পাহাড়, চারিদিকে সবুজ ঘেরা গাছপালা, সাথে রয়েছে ঝরনা। সবমিলিয়ে পারফেক্ট ঘোরার জায়গা হচ্ছে কুল্লু ও মানালি।
তাহলে আপনিও দেরি না করে ঘুরে আসতে পারেন।
Leave a Reply