দীর্ঘ ১৬ বছর না খেয়ে কাটাচ্ছেন এই মহিলা!

Title: দীর্ঘ ১৬ বছর না খেয়ে কাটাচ্ছেন এই মহিলা! না জল না খাবার! তারপরও রয়েছেন ফিটফাইন! জন্ম দিয়েছেন সন্তানও!

Focus:

দীর্ঘ ১৬ বছর না খেয়ে
কাটাচ্ছেন এই মহিলা!

না জল না খাবার,
স্রেফ হাওয়া খেয়ে বেঁচে তিনি!

তারপরও
রয়েছেন ফিটফাইন!

জন্ম দিয়েছেন
এক সন্তানও!

মাথায় হাত গোটা বিজ্ঞান জগতের!
এটা কিভাবে সম্ভব?

Body:

একজন সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন কি। অবশ্যই খাদ্য! কারণ বেঁচে থাকার মৌলিক উপাদানই হচ্ছে জল এবং অন্ন। কিন্তু একজন মানুষ যদি সেই উপাদানগুলিকেই ফু মেরে উড়িয়ে দেয়। না খেয়ে, না জল পান করে বেঁচে থাকে। তাহলে কি বলবেন? নিশ্চয়ই ভাবছেন বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছি। হ্যাঁ এটা গল্প তখনই হতো যদি না ইথিওপিয়ার মেয়ে মুলুওয়ার্ক অ্যামবওয়ের কাহিনী না জানা যেত। পৃথিবীর নবম আশ্চর্য হচ্ছেন এই মেয়ে! যিনি কিনা ১৬ বছর না খেয়ে জীবন যাপন করছেন।

হ্যাঁ একদমই ঠিক শুনছেন খাবার তো দূর,,,,,,,বিন্দুমাত্র জলও গলা থেকে নামাননি। এমন নয় যে তিনি দারিদ্র্য কিংবা অনশনের কারণে খান না। আসল কারণ হচ্ছে খেতে ভালো লাগে না বলেই তিনিই খান না। একথা তিনি নিজের মুখেই স্বীকার করেন। এখন হয়তো অনেকেই বলতে পারেন তার মধ্যে নিশ্চয়ই কোন আধ্যাত্মিক শক্তি আছে কিংবা শারীরিক কোন সমস্যা রয়েছে! তবে জানিয়ে রাখি মুলুওয়ার্কের মধ্যে না রয়েছে কোনো আধ্যাত্মিক শক্তি! আর না তিনি কোনো শারীরিক সমস্যায় ভোগেন।

বছর ২৬ এর এই মহিলা সর্বশেষ খাবার খেয়েছেন যখন তার বয়স ছিল ১০ বছর। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি কিছু খাননি। এক জনপ্রিয় প্রিয় ইউটিউবার এই বিষয়ে খোঁজ লাগাতে গিয়ে তিনিও আশ্চর্য হয়ে যান। সুপার ওম্যান মুলুওয়ার্কের সাক্ষাৎকার নেন তিনি। সাক্ষাৎকারে সেই মহিলা জানান, ছোটবেলায় থেকেই তার খাবার খেতে ইচ্ছে করত না। যখন তিনি স্কুলে যেতেন তার মা জিজ্ঞেস করতেন সে খেয়েছে কিনা। তিনি অবলীলায় হ্যাঁ বলে দিতেন। এইভাবে ধীরে ধীরে না খেতে খেতে! খাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন। ব্যস তারপর থেকেই শুরু হয় না খেয়ে কাটানোর দিন। মুলুওয়ার্ক দাবি করেন,,,, না খেয়ে তিনি দিব্যি আছেন। কিন্তু তিনি না খেলে কি হবে, পরিবারের সকলের জন্য কিন্তু নিজে হাতে রেঁধে-বেড়ে খাওয়ান। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন? না খেয়েও এক সন্তানের মা এই মহিলা। হ্যাঁ যেখানে একজন গর্ভবতী মায়ের সঠিক পুষ্টি, বেশি বেশি খাদ্যের দরকার পড়ে। সেখানে মুলুওয়ার্ক একেবারেই ভিন্ন! ডাক্তারের পরামর্শে সেসময় তিনি শুধু গ্লুকোজ খেয়ে থাকতেন। যাতে করে শরীরে প্রাকৃতিক শক্তিটুকু ধরে রাখা যায়। এভাবেই তিনি সুস্থ সবল সন্তান জন্ম দেন।

শুধু কি তাই তার কাণ্ডে মাথায় হাত বিশ্বের মেডিকেল বিজ্ঞানের। একসময় তার পরিবারের লোকেরাও এই নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। এমনকি বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। নানা রকমের মেডিকেল টেস্ট থেকে শুরু করে নানা পরীক্ষার নিরীক্ষা চলতে থাকে। কিন্তু ফলাফল সেই শূন্য। হাত গুটিয়ে নেন ডাক্তাররাও। ডাক্তারদের মতে তার মধ্যে বিন্দুমাত্র কোন অস্বাভাবিকতা নেই। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই তিনি মানুষ। কিন্তু ঠিক কিভাবে না খেয়ে বেঁচে আছেন সেই রহস্যর উদঘাটন চিকিৎসকেরাও করতে পারেননি।

যেখানে মানুষেরা এই খাবারটুকু খাওয়ার জন্যই নিত্যদিন লড়াই করে যান। একদিন কেন শুধু একবেলা পেটে দানা না পড়লে শরীর নেতিয়ে পড়ে। সেখানে মুলুওয়ার্কের কাহিনী সকলকে থমকে দিয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *