Title: ভেলোরে যাওয়ার কথা ভাবছেন! কীভাবে কি করবেন বুঝতে পারছেন না! তাহলে দেখুন এই প্রতিবেদনটি!
Focus:
ভেলোরে যাওয়ার
কথা ভাবছেন!
কীভাবে কি করবেন
বুঝতে পারছেন না!
কোথায় ডাক্তার দেখাবেন?
কত খরচ পড়বে?
থাকা খাওয়া কোথায় করবেন?
যাবেনই বা কিভাবে!
সমস্ত কিছু জানাবো
আজকের প্রতিবেদনে
তাহলে স্কিপ না করে
পুরো ভিডিওটি দেখুন
Body:
পেটে টিউমার হয়েছে ভেলোর চলে যান! অপারেশন করতে ভেলোর চলুন! মাথার সমস্যা, পিঠের সমস্যা পায়ের সমস্যা। গুরুতর থেকে অতীব গুরুতর সমস্যার একটাই উপায় ভেলোর। রোগীদের চিকিৎসার ওপর নাম এই ভেলোর। এককথায় বলা যায়, এশিয়ার অন্যতম স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র হচ্ছে এই কেন্দ্র। তবে আমরা ভেলোর নামে চিনলেও এই চিকিৎসা কেন্দ্রের মূল নাম হচ্ছে Christan Medical College অথবা CMC। যেহেতু এটি ভেলোরে অবস্থিত তাই সকলেই এই নামটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রতিদিন হাজার লোক এখানে এখানে চিকিৎসা করাতে আসে। এবং সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যায়। কিন্তু ভেলোর যাওয়াটা তো চাট্টিখানি কথা নয়। সেখানে গিয়ে থাকা খাওয়া ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হাজার রকমের কাজ। সেগুলি করবেনটাই বা কিভাবে? একে একে দেখে নিন সবটা-
প্রথমে দেখুন কিভাবে যাবেন ভেলোর?
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ট্রেন হোক কিংবা প্লেন যেকোনো ভাবেই যেতে পারবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেতে চাইলে হাওড়া থেকে ট্রেনে যেতে হবে। প্লেনেরও সুবিধা রয়েছে। যেটা আপনার সুবিধা তাতেই যাবেন। ভেলোর মূলত অবস্থিত তামিলনাড়ুতে। আর হাওড়া থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার। তবে হাওড়া থেকে ট্রেনে যেতে হলে আপনাকে কাটপাডি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে CMC- এর দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। হাওড়া থেকে অজস্র ট্রেন রয়েছে। যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে পদুচেরি এক্সপ্রেস সহ আরো অনেক ট্রেন। এছাড়াও ভেলোর যাওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন চালু রয়েছে। আর কলকাতা থেকে প্লেনে যেতে চাইলে চেন্নাই এয়ারপোর্টে নামতে হবে। সেখান থেকে প্রায় অনেকটা দূরে ভেলোর।
এবার কথা হচ্ছে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবেন কিভাবে?
অনলাইন, অফলাইন দুইয়ের সুবিধা রয়েছে। তবে অফলাইনে সুবিধা নিতে হলে আপনাকে সশরীরে হাসপাতালে উপস্থিত হতে হবে। হাসপাতালে ঢোকার মুখেই সিলভার গেট ফর নিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেখতে পাবেন। সেখানে গিয়েই কথা বললে আপনার শারীরিক সমস্যা অনুযায়ী ডিপার্টমেন্ট বলে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তাও ৩০ দিনের মতো অপেক্ষা করতে হতে পারেন তারপরই আপনি চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
আর অনলাইনে সুবিধা নিতে চাইলে, ঘরে বসেই সুবিধা নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে শুধু নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। তবে অবশ্য ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন বিভাগ দেওয়া থাকে। ক্যান্সার থেকে শুরু করে টিউমার সবরকম চিকিৎসার আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট থাকে। সেই অনুযায়ী আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এখানেই জানা যাবে আপনার কবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। সেটা ১ মাস পরও হতে পারে আবার, ১৫ দিনের মধ্যেও হতে পারে। এরফলে আপনি সেইভাবেই বাড়ি থেকে রওনা দিতে পারবেন।
কিন্তু গিয়ে থাকবেনটাই বা কোথায়? খাওয়া দাওয়ার সুবিধা কি কি রয়েছে?
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভেলোর হাসপাতালের আশেপাশেই অনেক লজ, হোটেল রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ঘরের জন্য বিভিন্ন রকমের দাম পড়বে। আপনি ডাবল রুমের বেড নিতে চাইলে সেখানে টাকাটা ২৫০০ থেকে ৩০০০- এর মধ্যে পড়বে। সিঙ্গেল বেডের ক্ষেত্রে দামটা আরো একটু কম। এমনকি খাবারের সুবিধা নিতে না চাইলে শুধু ঘর ভাড়াটাই দিতে হবে। এখন আপনারা প্রশ্ন করতেই পারেন তাহলে খাবো কোথায়? আপনাদের জানিয়ে রাখি এখানে নিজে রান্না করে খাবেন এমন ব্যবস্থাও দেওয়া রয়েছে। আর যদি বাঙালি খাবার খেতে চান আশেপাশে অনেক বাঙালি হোটেলও আছে। তারা আপনার ভাষাও বুঝতে পারবে। সেইসাথে আপনাদের যত্নের সাথে আদর আপ্যায়ন করবে।
এখানে গেলে কি ভাষায় কথা বলবেন?
আসলে এখানে সকলেই তামিল ভাষা ব্যবহার করে থাকেন। তাই তাদের ক্ষেত্রে বাংলা বোঝা মুশকিল। হিন্দি আর ইংলিশটাই বেশি ভালো বোঝেন তারা। আবার কেউ কেউ হিন্দি বোঝেন না। সেক্ষেত্রে ইংলিশটাই বলতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাঙালি লোকও দেখতে পাবেন। আর পড়শী রাজ্যে নিজের জায়গার লোক পেয়ে গেলে সমস্যাই থাকে না।
তাহলে বুঝতেই পারলেন কিভাবে যাবেন কিভাবে থাকবেন। সবটাই জানিয়ে দিয়েছি। ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট করুন।
Leave a Reply