কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! কি কন্যাশ্রী! এর থেকে বড় মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে যোগ্যশ্রী!

Title: কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! কি কন্যাশ্রী! এর থেকে বড় মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে যোগ্যশ্রী! যার হাত ধরে অ্যাকাউন্টে ঢুকছে কড়কড়ে নোট!

Focus:

কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!
কি কন্যাশ্রী!

এর থেকে বড়
মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে যোগ্যশ্রী!

যার হাত ধরে অ্যাকাউন্টে
ঢুকছে কড়কড়ে নোট!

কি সেই প্রকল্প?
কারা পায় এই টাকা?
কিভাবে করা যায় আবেদন?

জানতে হলে
দেখুন বিস্তারিত

Body:

এই মুহূর্তে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প কোনটি? উত্তর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! আর হবে নাই বা কেনো এই প্রকল্পের হাত ধরে বাংলার মা বোনেরা বিনা ব্যয়ে, বিনা পরিশ্রমে ১০০০-১২০০ টাকা পাচ্ছেন। এমনকি সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ভোটে এই প্রকল্পকেই পাখির চোখ করে ভুঁড়ি ভুঁড়ি ভোট কামিয়েছেন শাসকদল। এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। তবে শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই নয় রয়েছে আরো অনেক জনদরদী প্রকল্প। বাংলায় মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চালু করে গেছেন সেগুলি। স্বাস্থ্য সাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী,রুপশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী কিনা নেই! তবে এবার এগুলিকেও টক্কর দেবে আরো একটি প্রকল্প। লোকসভা ভোট মেটার পর পরই দিদি হয়ে উঠছেন মমতাময়ী। চালু করেছেন যোগ্যশ্রী প্রকল্প।

নানা তবে এই প্রকল্প সকলের জন্য নয়, একমাত্র বাংলার পড়ুয়াদের জন্য চালু করেছেন রাজ্য সরকার। যেই প্রকল্পের নাম শুনে বাংলার ছেলে মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। এখনো প্রশ্ন হচ্ছে কি এই যোগ্যশ্রী প্রকল্প? কারা পাবেন এর সুবিধা? সমস্তটা দেখুন একে একে।

প্রথমেই জানাই যোগ্যশ্রী প্রকল্প আসলে কি?

এই বাংলায় পড়ুয়াদের জন্য সবচেয়ে বেশি আর্থিক সাহায্য করা হয়। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে। এরই মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হচ্ছে যোগ্যশ্রী প্রকল্প। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই চালু করা হয় তা। প্রথম যখন চালু করা হয় তখন এর সুবিধা পেতেন বাংলার তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর অর্থাৎ SC/ST ছাত্র-ছাত্রীরা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এসসি/এসটি পড়ুয়াদের বিনামূল্যে চিকিৎসা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, বিভিন্ন চাকরী পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে এরই মধ্যে এই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। ভোটের পর পরই পড়ুয়াদের জন্য আরো বড় সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু SC/ST নয় এখন থেকে এই সুবিধা নিতে পারবেন সংখ্যালঘু, ওবিসি এবং সাধারণ পড়ুয়ারাও। এতে করে অর্থের অভাবে যেসমস্ত পড়ুয়ারা স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। তাদের জন্য একধাপ এগিয়ে চিন্তাভাবনা করে রেখেছেন রাজ্য সরকার।

এরপর দেখে নিন এর সুবিধা গুলি কি কি?

এক, এখানে কোন ছেলে মেয়ের ভেদাভেদ নেই। সকলেই এই সুবিধা পেতে পারেন।

দুই, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিট থেকে শুরু করে জয়েন্ট,জেইই, বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাও আবার পুরোটাই বিনামূল্যে।

তিন, শুধু তাই নয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে স্টাইপেন্ডও দেওয়া হবে।

চার, ইতিমধ্যেই ৫০ টি প্রশিক্ষন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। মোট ২০০০ পড়ুয়াকে এই সুবিধা পাবেন।

এখানে ভর্তি হতে গেলে কি কোনো শর্ত চালু করা রয়েছে?

প্রথম যখন এই প্রকল্প চালু করা হয় তখন জানানো হয় মাধ্যমিকের পর এই প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে।

দুই, অবশ্যই মাধ্যমিকে ৫০ থেকে ৬০% নম্বর থাকা আবশ্যক।

আবেদন করতে হলে কি কি প্রয়োজন?

সবার প্রথমে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে এই প্রকল্পের আবেদন করতে হবে। এরপর সেখানেই বলে দেওয়া হবে কি কি প্রয়োজন। তবে অবশ্য আবেদনকারীর আধার কার্ড, পাসপোর্ট আকারের ছবি, বার্থ সার্টিফিকেট, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট, আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ইত্যাদি থাকা চাই।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *