২৪ এর লোকসভা ভোটই ৪ প্রার্থীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল!

Title: ২৪ এর লোকসভা ভোটই ৪ প্রার্থীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল! হারাতে হলো বিধায়ক পদ, আর না জুটলো সাংসদ পদ!

Focus:

২৪ এর লোকসভা ভোটই ৪ প্রার্থীর
জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল!

হারাতে হলো বিধায়ক পদ,
আর না জুটলো সাংসদ পদ!

সর্বস্ব হারিয়ে এখন
পথের ভিখারী!

ভোটের পরই
হাহাকার লাগলো জীবনে!

মুখ তো পুড়লো
সাথে পুড়লো কপালও!

এবার ভোটে ‘সব’
হারানো ৪ প্রার্থীর নাম!

Body:

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল একদম বড়সড় সারপ্রাইজ দিল বিজেপিকে। ৪০০ তো দূর ৩০০ ছুঁতে গিয়েই কালঘাম ছুটে গিয়েছে। একদিকে যেমন গোটা দেশে বিজেপি আসন সংখ্যা কমেছে, ঠিক সেরকমই বেড়েছে বিরোধীদের আসন। এককথায় বলা যায়, শুধু বাংলায় নয় গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির মুখে চুনকালি লেগেছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের আসন সংখ্যাও বেশ ভারী। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও, কপাল পুড়েছে তাদেরই ৩ জন প্রার্থীর। তালিকায় আবার রয়েছেন বিজেপিরও ১ প্রার্থী। ভোটে দাঁড়িয়ে একূল ওকূল সবই হারিয়েছেন।

এখানে যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা কেউ বিধায়ক পথ থেকে ইস্তফা দিয়ে তো কেউ আবার সরকারি উচ্চপদস্থ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভোটের ময়দানে লড়াই করতে নেমেছিলেন। তবে বাংলার মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ভোটে দাঁড়িয়ে জীবনে শনির দশা ডেকে এনেছেন তারা। দেখে নিন ভোটে দাঁড়িয়ে কার কার ভাগ্যে জোয়ার ভাটা শুরু হয়েছ-

এক, মুকুটমণি অধিকারী:

এবারের ২৪ এর লোকসভা ভোটে রানাঘাটে তৃনমূলের প্রার্থী ছিলেন তিনি। আর ইনিই কিন্তু ২০২১ সালে রানাঘাট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই ভোলবদলে তৃণমূলে যোগ দেন। সেখান থেকে তাকে এবারে ভোটে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয় । লোকসভা ভোটের টিকিট পেয়ে তিনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তাফা দেন। কিন্তু মানুষের রায়ে তাঁর জীবনে এখন বাঁশি বাজছে। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের কাছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৯৯ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এখন তিনি না রইলেন বিধায়ক,,,, আর না হতে পারলেন সাংসদ। শেষপর্যন্ত নখ কামড়ানো ছাড়া কিছুই করার নেই।

২) কৃষ্ণ কল্যাণী:

একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিতি তাঁর। ২০২১ সালে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিট জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। এমনকি ভোটে জেতার পর সেইসময় তাকে বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। কিন্তু তিনিও সেই ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। শাসক দলের যোগদানের পর তিনি বিধায়ক এবং পিএসি চেয়ারম্যান উভয়ই পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছিলেন। তৃনমূল রায়গঞ্জকে তুরুপের তাস করে কৃষ্ণ কল্যাণীকে লোকসভার প্রার্থী করেন। তবে ভোটের ফলাফল বের হতেই ঘুরে যায় খেলা। বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পালের কাছে ৬৮ হাজার ১৯৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। মুকুটমনির মতো নিজের কপাল নিজেই পুড়িয়েছেন তিনি।

তিন, বিশ্বজিৎ দাস:

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম জয়ী প্রার্থী তিনি। বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। এরপর থেকেই তার দাপটও বেশ বেড়েছিল। কিন্তু ভোটের আগে সেই মতবদল। বিধায়ক পথ ছেড়ে যোগ দেন শাসক দলে। তৃণমূল তাকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়। তবে বনগাঁয় শেষ হাসি হাসলো শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের কাছে ৭৩ হাজার ৬৯৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি।

চার, তাপস রায়:

এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তাপস রায়। বাংলার রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান। বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তাকে উত্তর কলকাতার প্রার্থী করা হয়। প্রথম থেকেই তিনি নিজেকে নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু তাঁর আশায় জল ঢেলে দেয় তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কাছ থেকে ৯২ হাজার ৫৬০ ভোটে পরাজিত হতে হল তাপস রায়কে।

শুধু এই চারজনই নয় ! রয়েছে আরো তাবড় তাবড় প্রার্থী। যারা ভোটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে খাতা খুলতে পারলেন না। এদের মধ্যে চিকিৎসকের মতন বড় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন প্রণত টুডু, এমনকি প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রমুখ ব্যক্তিরা। ভোটের ফলাফল যেনো তাদের ভাগ্যের চাকা দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *