Title: ফুটপাতে রাত কাটিয়েও ৬৩০০ কোটির মালিক! করেছেন দিনের পর দিন স্ট্রাগেল! কঠোর পরিশ্রমই বলিউড বাদশার সাফল্যের চাবিকাঠি
Focus:
ফুটপাতে রাত কাটিয়েও
৬৩০০ কোটির মালিক!
করেছেন দিনের
পর দিন স্ট্রাগেল!
নির্ঘুম কেটেছে
রাতের পর রাত!
আর আজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে
থার, ল্যামবার্গিনির মত দামী দামী গাড়ি!
দেশ, বিদেশে ছড়িয়ে
ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক বাড়ি!
ফাইভস্টার রেস্টুরেন্ট,
ডিলাক্স হোটেল নিত্যদিনের সঙ্গী!
কঠোর পরিশ্রমই বলিউড
বাদশার সাফল্যের চাবিকাঠি!
Body:
এই পৃথিবীতে কোটিপতির কথা উঠলেই সবার আগে নাম আসে মুকেশ আম্বানির। কিন্তু মুকেশ আম্বানি ছাড়াও ভারতে রাজ করছেন আরেক কোটিপতি। যাকে এক ঝলক দেখার জন্য উপচে পড়ে ভিড়। একটিবার ছোঁয়ার জন্য ফেটে পড়ে উন্মাদনা। যার আইকনিক পোজে আজও দিওয়ানা ৮ থেকে ৮০। বলিউডের বাদশা ইনি! ভারতের কিং তিনিই। ইনিই আর কেউ নন ওয়ান অ্যান্ড অনলি কিং খান! শাহরুখ খান। নাম তো শুনাহা হি হোগা।
একাই এই ব্যক্তি বলিউড দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। যার একটা ঘড়ির দাম ৭ কোটি টাকার কাছাকাছি তিনি কতো টাকার মালিক নিশ্চয়ই আশা করতে পারছেন। হ্যাঁ শাহরুখ খান একাই ৬৩০০ কোটি টাকার মালিক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে তিনি এত টাকার মালিক হলেন? তাঁর সম্পত্তির তালিকায় আর কি কি আছে?
তিন দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজ করছেন বাদশা। তবে আজ এত প্রতিপত্তি এত সম্পত্তির বহর দেখা গেলেও একসময় অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। শোনা যায়, ছোটো থেকেই তিনি অভাবের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছেন। তিনি সিনেমা দেখতে ভালোবাসতেন। তবে অর্থের অভাবে সিনেমাহলে গিয়ে বড়পর্দায় সিনেমা দেখার সুযোগ তেমন হয়নি। কিন্তু একদিন মায়ের সাথে দেবানন্দের সিনেমা দেখতে যান। সেই থেকে মনে মনে অভিনেতা হওয়ার শখ জাগে। বাবার সাথে প্রায় সময় থিয়েটারের পার্কিং লটে যেতেন। সেখানে বড় বড় গাড়ি ছুঁয়ে দেখতেন এবং স্থির করেন একসময় তিনিও এই গাড়ি চড়বেন। চোখে একরাশ স্বপ্ন, কিন্তু পকেট শূন্য। তারপরও তিনি নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য পাড়ি দিলেন মুম্বাই। শোনা যায়, সেই সময় নাকি রাস্তাতেই দিন কাটাতেন। অনেক সময় না খেয়েও দিন কেটে যেত। কিন্তু অভিনয় থেকে পিছন ফিরে আসেননি।
সময়টা ১৯৯২ সালে! সেইসময় মুক্তি পায় অভিনেতার প্রথম ছবি দিওয়ানা। বক্স অফিস কাঁপিয়ে ছিল এই ছবি। এরপর ওই একই সালে মুক্তি পায় রাজু বন গয়া জেন্টেলম্যান। সেইসময় বাদশাকে রাজুর চরিত্রে কাজ করতে দেখা যায়। শুনলে অবাক হবেন সেই চরিত্রে অভিনয় করে তিনি পেয়েছিলেন ২৫ হাজার টাকা। তবুও নাছোড়বান্দা হিরো যখন হবে বলে ঠিক করেছেন হিরো হয়েই ছাড়বেন। তাঁর ভাগ বদলে দেয় দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে। তথ্যসূত্রে জানা যায় এই সিনেমায় কাজ করার জন্য কিংয়ের পারিশ্রমিক ছিল ৩০ লাখ টাকা। এরপর নিজেকে আরো নিখুঁত প্রমাণ করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করতে থাকেন। যখন সকলে ঘুমায়, সেইসময় তিনি জেগে জেগে প্র্যাকটিস করতেন। সকলে পার্টিতে গেলে তিনি ছুটতেন সিনেমাহলে। বড় বড় অভিনেতাদের সিনেমা দেখে কিভাবে নিজেকে আরও সেরা করাযায় সেই চেষ্টা করতেন। আর আজ তাঁর পরিশ্রম তাকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছে। তা বলতে বাকি রাখে না। ঝুলিতে রয়েছে কুছ কুছ হোতা হ্যায় থেকে শুরু করে কাভি খুশি কাভি গাম, মাই নেম ইজ খান, মোহব্বতের মতন সফল সব সিনেমা। হ্যাঁ মাঝের কয়েকটা ফ্লপ সিনেমার জন্য ক্যারিয়ার কিছুটা টলমল হয়ে পড়ে। কিন্তু চারবছর পর আবার কামব্যাক! একের পর এক ১০০০ কোটির সিনেমা শাহরুখকে সাফল্যের অন্যমাত্রা এনে দেয়। জওয়ান, পাঠান, ডানকি একই বছরে তিনটি সিনেমা সুপার ডুপার হিট।
তবে তিনি সিনেমা করেই নন পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। তার আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে আইপিএল। এমনকি বিজ্ঞাপনও অভিনেতার আয়ের সবচেয়ে বড় খনি। বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মুখ হচ্ছে শাহরুখ খান। শোনা যায় এক একটা বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি নিয়ে থাকেন ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা
আর আজ তিনি কোটি কোটি টাকা রোজগার করে মান্নাতের মত রাজপ্রসাদের বাস করছেন। ছেলে মেয়ে সকলকে দেশ-বিদেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানে পড়াতে পাঠাচ্ছেন। গ্যারেজেই রয়েছে শুধু কয়েক কয়েক কোটি টাকার গাড়ি। বিশ্বের যাবতীয় বিলাসবহুল জিনিস সব তুলে এনেছেন নিজের ঘরে। শাহরুখ খানের সম্পত্তির কথা বলতে থাকলে শেষ হবে না।
Leave a Reply