হঠাৎ করে আপনিও পড়তে পারেন ট্রেন দূর্ঘটনায়! সেইসময় কি করবেন?

Title: হঠাৎ করে আপনিও পড়তে পারেন ট্রেন দূর্ঘটনায়! সেইসময় কি করবেন? নার্ভাস না হয়ে! মেনে চলুন এই ৫টি কাজ!

Focus:

হঠাৎ করে আপনিও পড়তে
পারেন ট্রেন দূর্ঘটনায়!

সেইসময় কি
করবেন?

আশে পাশে অবস্থা দেখে
পা থরথর কাঁপছে!

ধুকপুকানি বেড়ে গিয়েছে
তবে এমন সময় নার্ভাস হবেন না!

শুধু মেনে চলুন
এই ৫টি কাজ!

যাত্রা করার সময় সঙ্গে
রাখুন এই জিনিসগুলো!

সুস্থভাবে আপনিও বাড়ি
ফিরে আসতে পারবেন!

Body:

কোনো বিপদ তো বলে কয়ে আসে না। কিংবা আপনি আগে থেকে ভবিষ্যৎ বাণীও করতে পারবেন না। হতে পারে আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই বিপদ ফাঁদ পেতে রয়েছে। সদ্যই ঘটে যাওয়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ি দূর্ঘটনার কথা কি কেউ জানতো। ভোরের আলো সবে ফুটেছে! সেই সময় তীব্র আওয়াজ! ট্রেনে ব্যাপক ঝাঁকুনি। চোখ খুলতে না খুলতেই দৃশ্য পুরো ওলোট পালোট। নিমেষেই ১০ জনের মৃত্যু, ৪০ জন ভয়ঙ্কর ভাবে আহত। এমন ট্রেন দূর্ঘটনার মুখে কিন্তু আপনিও পড়তে পারেন। কিন্তু এমনসময় কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আশপাশের অবস্থা স্বাভাবিক চোখে জল চলে আসবে। এই সময় নিজেকে সামাল দেওয়াটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত রাখতে হবে। শান্ত মাথায় এই কাজগুলো মেনে চলুন –

এক, ট্রেন মধ্যেই থাকবেন:

এমন ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনা ঘটলে ট্রেন থাকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। অনেকে এই সময় নিজের প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে নেমে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না। কারণ দুর্ঘটনার ফলে ট্রেনের অবস্থা ঠিক কেমন রয়েছে তা কিন্তু বলা মুশকিল। আর এমন সময় যদি ট্রেন থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। এতে করে আপনার জীবনের বিপদ ঘনিয়ে আসবে। তাই কামরার ভিতরে থেকে বিপদ মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

দুই, হেল্পলাইন নম্বরের জন্য অপেক্ষা করুন:

দূর্ঘটনার সময়ে ফোনে নেটওয়ার্ক না পাওয়া, ফোন অকেজো হয়ে যাওয়া এগুলো স্বাভাবিক বিষয়। এরফলে আপনার পরিবার পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে সেই সময় চিন্তা করবেন না। রেলের তরফ থেকে তৎকালীন পরিস্থিতিতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করে দেওয়া হয়। যতক্ষণ না হেল্পলাইন নম্বর চালু হচ্ছে ততক্ষণ অপেক্ষা করুন।

তিন, বয়স্ক এবং শিশুদের সামলে রাখুন:

এই সময় সবচেয়ে বেশি মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে বয়স্করা এবং শিশুরা। কারণ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে তাদের মানসিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এই বিষয়ে মনোবিদরা তাদের সামলানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়াটাই সবথেকে বড় বিষয়। বয়স্ক ব্যক্তি যদি থাকে তাদেরকে নম্র সুরে বোঝানোর চেষ্টা করুন। বাচ্চাদেরকে আশ্বস্ত করার পন্থা বেছে নিন। তারা যে সুরক্ষিত আছে এই বিষয়টি বারবার মাথায় গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

চার, মেডিকেল কিট:

সর্বদা রেল যাত্রার সময় মেডিকেল কিট রাখার চেষ্টা করুন। কারণ বিপদের সম্পর্কে কখনোই আগে থেকে আভাস পাওয়া যায় না। দূর্ঘটনার ফলে কার কোথায় আঘাত লাগতে পারে তাও বলা যায় না। তাই সবসময় ফার্স্ট এড কিট রাখা অত্যন্ত জরুরী। এতে ছোট বড় নানা ধরনের ব্যান্ডেড, তুলো, অ্যান্টিসেপটিক মলম রাখুন। এছাড়াও পেটে ব্যথা, জ্বর, বমির মতো সাধারন ওষুধও রাখতে পারেন।

পাঁচ, কিছু শুকনো খাবার:

যখনই যেখানেই যান না কেন শুকনো খাবার নিতে কখনোই ভুলবেন না। যেমন কেক, বিস্কুট, চিঁড়ে ভাজা, মুড়ি এগুলি রাখা খুবই দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ দূর্ঘটনা কতক্ষনে মোকাবেলা করা যাবে তা নির্দিষ্ট সময় ধরে বলা যায় না। এমতাবস্তায় ট্রেন সফরে এগুলি থাকা জরুরি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *