টিকিট না কেটে ট্রেনে উঠছেন! সাবধান!

Title: টিকিট না কেটে ট্রেনে উঠছেন! সাবধান! এখন থেকে টিকিট না কাটলে, মান সম্মানের ফালুদা হয়ে যাবে! সাথে পকেট হবে গড়ের মাঠ!

Focus:

টিকিট না কেটে
ট্রেনে উঠছেন!

যাত্রীরা খুব সাবধান!

এখন থেকে টিকিট না কাটলে,
মান সম্মানের ফালুদা হয়ে যাবে!

সাথে পকেট হবে
গড়ের মাঠ!

পূর্ব রেলওয়ের তরফ থেকে
করা হল বড়সড় ঘোষণা!

হঠাৎ কি এমন হলো?
কেনো এতো সতর্কতা!

দেখুন

Body:

কি এখনো টিকিট কাটছেন না! তারপরও ট্রেনে চড়ছেন! এক্ষুণি বন্ধ করুন এইসব। নইলে কপালে শনির নাচন জুটবে। আমাদের দেশে সব থেকে কম খরচায় যাতায়াতের কথা উঠলেই সবার আগে মাথায় আসে ট্রেনের। একদম কম খরচে যেখানে ইচ্ছে ঘুরে আসা যায়। শুধু কি তাই নিত্য অফিস যাত্রীদের জন্যও এই ট্রেন একমাত্র ভরসা। প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই ট্রেনেই যাতায়াত করেন। যেখানে বাসে কিংবা ট্যাক্সিতে চড়ে কোথাও গেলে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কিছুই না। সেখানে ওই একই রাস্তায় ট্রেনে করে গেলে মাত্র ১০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু এত কম খরচের পরও যাত্রীরা টিকিট কাটতে চান না। সাধারণ ১০ টাকা খরচ করতে গায়ে জ্বালাপোড়া ধরে। তবে এবার ফ্রীতে ট্রেনে চড়ার রাস্তা বন্ধ করলো পূর্বরেলওয়ে দপ্তর।

সম্প্রতি পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে যাত্রীদের আরো অনেক বেশি সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন যারা টিকিট না কেটে ট্রেনে চড়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য নতুন ব্যবস্থা চালু করছেন তারা। টিকিট চেকিংয়ের জন্য স্কোয়াড তৈরি করা থাকে। সেই স্কোয়াডের সদস্যরাই টিকিট চেক করে থাকেন। এবার থেকে এই স্কোয়াডের সদস্যদের এমন এমন জায়গায় রাখা হবে যেখানে কখনো টিকিট চেকিং হবে এমন ভাবনা মানুষের আসেনি। আসলে সকলে মনে করেন জংশন কিংবা বড় বড় স্টেশন গুলিতেই একমাত্র টিকিট চেক করা হয়। এবার থেকে ছোট ছোট স্টেশনগুলিতেই উঠবে টিকিট চেকাররা। এরফলে টিকিট না কাটা যাত্রীদের কপালে দুর্ভোগ জুটবে। সেইসাথে মান-সম্মানও ধুলোয় মিশে যাবে। শুধু তাই নয় তিনি বিশেষ কিছু স্টেশনের নামও উল্লেখ করেছেন। যেমন আরামবাগ, কুলটি, ঝাপটার ঢাল, কাটোয়া, তালিতের মত ছোটো ছোট স্টেশনগুলি। এখানে আচমকাই টিকিট চেকিংয়ের জন্য রেল কর্মীরা হাজির হবেন। আর টিকিট দেখাতে না পারলে অবশ্যই ফাইন গুনতে হবে।

এখানেই শেষ নয়, আরো বড় টুইস্ট রয়েছে। একটু রাত হয়ে গেলে যেমন ৭টা-৮টা বেজে গেল কেউ আর টিকিট কাটতে চান না। কারণ সেইসময় টিকিট চেকিংয়ের কোনো ভয় থাকে না। তবে এখন থেকে এই সময়কে কাজে লাগাবেন রেল কর্মচারীরা। স্টেশনে তারা সন্ধ্যে ৭টা কিংবা রাত ৯টা সময়ও উঠতে পারেন। তাই যারা মনে করছেন এখন থেকে ফ্রীতে করে ট্রেনে চলাফেরা করবেন। সেগুড়ে বালি! উল্টে নিজের সমস্যা নিজেই তৈরি করবেন। রেলের জনসংযোগ আধিকারিক আরো জানান যে, এমন হাতেনাতে ধরার পিছনে তাদের কোনো লাভ নেই, কিংবা এর মাধ্যমে বিশাল টাকা কামাবেন এমনটাও নয়। যেখানে প্রতিটি স্টেশনে টিকিট কাউন্টার রয়েছে সাথে UTS অ্যাপ ছাড়াও অনলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ রয়েছে। তা সত্বেও যাত্রীরা এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করে চলে যায়। সাধারণ ১০ টাকা খরচ করতে চান না। যাত্রীদের সতর্ক করার জন্যই এমন পদক্ষেপ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *