বাজার কাঁপাচ্ছে এই একটি আম!

Title: বাজার কাঁপাচ্ছে এই একটি আম! স্বাদে গন্ধে হার মানাবে একের পর এক আমের জাতিকে!

Focus:

বাজার কাঁপাচ্ছে
এই একটি আম!

স্বাদে গন্ধে হার মানাবে
একের পর এক আমের জাতিকে!

মুখ পড়লেই একেবারে
চিনির মত মিষ্টি!

কি ল্যাংড়া, কি হিমসাগর,
কি সুন্দরী? টক্কর দেবে সবকিছুকে

কি নাম এই আমের?
কোথায় পাওয়া যায় তা?
দামটাই বা কত?

দেখুন

চলছে গরমকাল! সাথে সদ্যই শেষ হয়েছে জামাইষষ্ঠী। আর এই সময় আম খাওয়া হবে না তা বললে হয় নাকি। আসলে এটাই হচ্ছে আমের মরশুম। কাঁচা মিঠে আম মাখা থেকে শুরু করে আমের চাটনী সবই চলে দেদার। শুধু কি তাই, সকাল বিকেল পাকা পাকা রসালো আম, হলুদ আমও খাওয়া চলে। কখনো হিমসাগর তো আবার কখনো ল্যাংড়া, তো আবার কখনো ফজলি। সব রকমের আম প্রায় টেস্ট করা। কিন্তু এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি বাজার কাঁপাচ্ছে এই নতুন জাতের আম। যা টক্কর দিচ্ছে তোতাপুরি থেকে শুরু করে গোপালখাসের মত আমের জাতিকে। এই আমের স্বাদ পেলেই অন্যান্য সব আম খাওয়া ছেড়ে দেবেন। যেমন দেখতে তেমনি স্বাদ! বাড়িতে আনলেই ছড়িয়ে পড়বে গন্ধ। মুখে দিলেই মনে হবে অমৃত। এখন নিশ্চয়ই এই আমের নাম জানতে ইচ্ছে করছে। তাহলে দেরি না করে দেখে নিন এই আমের আদ্যপান্ত।

আগেই জানিয়ে রাখি একসময় কিন্তু এই আম বাংলায় পাওয়া যেত না। এখন প্রায় বাজারে বাজারে দেখা মেলে এই আমের। আর এই আমের নাম হচ্ছে জর্দালু আম। নামটা একটু শুনতে অদ্ভুত লাগছে তাই না। নামটা দেখে কি হবে এর কামটাই আসল। বিহারের ভাগলপুরে দেদার এই আম চাষ করা হয়। এমনকি দেশ বিদেশের লোকেরা বিহারের নাম শুনলে সবার আগে এই আমের কথা বলেন।

ভারতে এই আম চাষ শুরু করেন অশোক কুমার চৌধুরী। এই ব্যক্তির কিন্তু আরো একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি বিহারের ম্যাঙ্গো ম্যান নামে পরিচিত। যদিও প্রথম প্রথম এই আমের ফলন খুব একটা ভালো হতো না। এমনকি মানুষও প্রথম প্রথম এই আম খাওয়া এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু এর স্বাদ আর গন্ধ ধীরে ধীরে মানুষকে আকৃষ্ট করতে থাকে। এমনকি সম্প্রতি জর্দালু আম জিআই ট্যাগ পেয়েছে। অশোক কুমার রায় চৌধুরীর হাত ধরে এই আমের এখন দেদার চল।

এই আমের বিশেষত্ব কি জানেন? এই একটি আমের ওজনই ২৫০ গ্রামের কাছাকাছি। সাথে এর যে স্বাদ রয়েছে তাও অনবদ্য। একদম নরম এবং চিনির মত মিষ্টি। সব আমই মিষ্টি হয় কিন্তু এই আমের মিষ্টতা একটু ভিন্ন। শুধু তাই নয় একটা আলাদাই সুবাস রয়েছে এই আমের মধ্য। এই সুবাসই আকৃষ্ট করে আম খাওয়ার জন্য। এমনকি এই আমকে অত্যন্ত নিরাপদ বলেও গণ্য করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারাও এই আম খেতে পারেন। সেই গুনই রয়েছে এই আমের মধ্যে। এমনকি এটি ফাইবার এবং এনজাইম সমৃদ্ধ,,,,,,,এর ফলে পেটে পাচনতন্ত্রে পরিপাক ক্রিয়া দারুণ হয়। অন্যদিকে অন্যান্য আম খেলে বদহজম, ডায়াবেটিসের মতো ভয় লেগেই থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন এই আমের এর চাহিদা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলায় কোথায় কোথায় পাওয়া যায় জর্দালু আম? প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনই বাংলায় সেভাবে এই আম চাষ শুরু হয়নি। আপাতত উত্তর দিনাজপুরের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে এই জর্দালু আম। তবে এখনই বেশি ফলন করা হচ্ছে না। সবেমাত্র বিহার থেকে এই জর্দালু আমের চারা নিয়ে এসে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে। আর প্রথমবারেই এই জর্দালু আমের ভালোই ফলন হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষিরা। সেই সূত্রে আরো জানা যায়, এই বছর এর চাহিদা দেখে আগামী বছর আরো বেশি বেশি করে চাষ করা হবে। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই আম অধিক মাত্রায় খাওয়া হলেও কোনো রকমের সমস্যা হয় না। তাই যত ইচ্ছে খাওয়া যায়। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই আমের চাহিদা কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরেও রয়েছে। যেমন বিভিন্ন রাজ্যে আমের রপ্তানি চলছে তেমনি বিদেশও এর দেদার রপ্তানি চলছে। আপনিও কেন এই আম খাওয়া থেকে বাদ যাচ্ছেন! আজই বাজারে যান আর কিনে আনুন জর্দালু আম।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *