ফেলো কড়ি কেনো বর! বর পাওয়া এখন অনেক সহজ!

Title: ফেলো কড়ি কেনো বর! বর পাওয়া এখন অনেক সহজ! খোলা হাটে বাজারে বিক্রি হচ্ছে লাল টুসটুসে বর!

Focus:

ফেলো কড়ি
কেনো বর!

বর পাওয়া এখন
অনেক সহজ!

খোলা হাটে বাজারে বিক্রি
হচ্ছে লাল টুসটুসে বর!

জামাই বিক্রির এমন
বাজার আমাদের খাস বাংলাতেই!

রোগা,মোটা, কালো, ফর্সা,
হ্যান্ডসাম সবধরনের বর রয়েছে স্টকে!

বাংলার কোথায় রয়েছে
বরবাজার?

দেখুন

Body:

বর নেবেন! বর! কেমন বর চাই? ছোটো? বড়? ফর্সা নাকি কালো? সবই রয়েছে বাজারে। এমন বাজার পাওয়া গেলে কি মজাটাই না হয় বলুন। কারণ বর্তমান যুগে দাড়িয়ে বিয়ে করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়! আর বর খুঁজে পাওয়াও অত সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু এবার সত্যি সত্যি বাজারে বর বিক্রি হচ্ছে! আলু, পটলের মত ভ্যানে করে বর বিক্রি হচ্ছে। তাও আবার পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে। কি কথাটা শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়ই? মনে হচ্ছে গাঁজাখুরি গল্প বলছি। তবে জানিয়ে রাখি এটা কোনো গল্প নয়! একেবারেই বাস্তব। কি কাকুরা, কি কাকিমা মেয়েদের জন্য পাত্তর চাই নাকি। তাহলে ঘুরে দেখুন এই বাজার। পয়সা ফেললেই পাওয়া যাবে টল, হ্যান্ডসাম জামাই। গোটা ভূ-ভারতে এমন জামাই বিক্রি কোথাও দেখতে পাবেন না।

আর এমন জামাই বিক্রির কাণ্ড চলছে আমাদের খোদ বাংলায়। পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ এলাকায় বিক্রি হচ্ছে বর। সাথে বরের দামও লেখা রয়েছে। কোনো বরের দাম ৫০০, আবার কোনোটার দাম ১০০০ তো আবার কিছু কিছু বর ২০০০ কিংবা ৫০০০। ভ্যানে করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বর বিক্রি হচ্ছে। সাথে রয়েছে আবার মাইকও। মাইক দিয়ে হাঁক দিতে দিতে বরের দরদাম করছেন বিক্রেতা। তবে ৫০০ টাকার বরের কোন গ্যারান্টি নেই তাও জানিয়েছেন তিনি। বিক্রেতার এমন কথা শুনে স্থানীয়দের পেটে কিন্তু খিল ধরেছে। সেইসাথে পূর্ব বর্ধমানের এমন কাণ্ড দেখে রীতিমতো বাংলার সকলে অবাক। সকলের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে এ আবার কি অনাসৃষ্টি কান্ড? শেষে কিনা বর বিক্রি হচ্ছে? এমন দুর্দিন দেখতে হল বাংলাকে। নানা তবে যারা ভাবছেন বর নিয়ে বিয়ে করবেন। এই বর দিয়ে কিন্তু বিয়ে হবে না। কারণ এটি একটি রঙ্গ তামাশা করার জন্য অনুষ্ঠান।

আসলে, খণ্ডঘোষের বোসপাড়া এলাকায় বুড়ো শিবের গাজন উপলক্ষে বড়সড় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তিন দিনের এই গাজন ঘিরে গোটা গ্রাম মেতে ওঠে আনন্দে। প্রতি বছরই এই উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এবারও সেই অনুষ্ঠানের কোন অন্যথা হয়নি। তবে মানুষকে একটু বিনোদন দেওয়ার জন্য নিত্য ভাবনা থেকে বদল এনেছেন এখানকার লোকেরা। এবছরের গাজন উপলক্ষে বরফেরির আয়োজন করা হয়। আর সেটাকেই মজার ছলে নিয়েছেন গ্রামের লোকেরা। এখানকার গ্রামবাসীরা ওই সাজানো বিক্রেতার সাথে আবার বরের দরদামও করেছেন। এই প্রসঙ্গে গাজনের পুরোহিত জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের পুরনো রীতি মেনেই খন্ডঘোষের রায়পাড়া, ভট্টাচার্য পাড়া এবং বোসপাড়া মিলিয়ে তিন দিনের বুড়ো শিবের গাজন আয়োজন করা হয়ে আসছে। এখানকার ১০০ থেকে ১৫০ জন বাসিন্দা সন্ন্যাস গ্রহণের পর অংশ নিয়ে থাকেন বুড়ো শিবের পূজা অর্চনায়। সন্ন্যাসীরা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র ফুটিয়ে তোলেন। এক কথা বলা যায় নতুন সাজে নতুন রূপে নিজেদেরকে সাজিয়ে তোলেন তারা। সেইমতো এবার কয়েকজনকে বর সাজানো হয়েছিল। তবে গাজন হয় অনেক আগেই। নির্বাচনের জন্য এবার গাজনের তারিখ একটু পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা যায় একটু দেরিতেই গাজনের উৎসব আয়োজিত করা হয়। সে যাই হোক না কেন। এই বর ফেরির অনুষ্ঠান মানুষের মনে যে বেজায় আনন্দ সৃষ্টি করেছে তা বলতে বাকি রাখে না। কেউ কেউ এমন কাণ্ড দেখে বলেছেন যে, দুয়ারে হাজির হয়েছে বর পরিষেবা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *