Title: গৃহবধু এখন মুম্বাইয়ের লেডি সিঙ্গম! দুই বাচ্চার মা হয়েও এই IPS অফিসার মহিলাকে দেখে হাঁটু কাঁপে এলাকার মস্তানদের!
Focus:
দুই বাচ্চার মা হয়েও এই IPS অফিসার
মহিলাকে দেখে হাঁটু কাঁপে এলাকার মস্তানদের!
এলাকায় পা রাখলেই ভয়ে
এদিক ওদিক ছুটতে থাকে ক্রিমিনালরা!
সংসার, অফিস দুটো
সামলিয়েও ক্লান্ত হননা তিনি!
মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে,
১৮ তেই দুই বাচ্চার মা!
তারপরও চালাচ্ছেন দেশ,
রাতবিরেতে খবর আসলেই
ধরতে যাচ্ছেন ক্রিমিনালদের!
বাস্তবের লেডি সিঙ্গম ইনিই!
আর তাঁর এমন সাহসিকতা
দেখে স্যালুট ঠুকছে সকলে!
Body:
কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! কিন্তু মেয়েরা শুধুই চুলই বাঁধতে জানেন তা নয় দেশও চালাতে জানেন। সেইসাথে দেশের ক্রিমিনালদের গণধোলাইও দিতে জানেন। তেমনি একজন নারী এন অম্বিকা থুড়ি IPS ( আইপিএস ) অফিসার এন অম্বিকা। মুম্বাইয়ের লেডি সিংগাম তিনি। পা ফেললেই রীতিমতো কাঁপতে থাকে গোটা এলাকা। আজ তাঁর ব্যক্তিত্ব শুধু তরুণদের অনুপ্রাণিত করছে এমনটাই নয়, বরং তাকে দেখে মেয়েরা শিখতে পারছেন কীভাবে সংসার সামলিয়ে দেশ চালানো যায়। সকলের কাছে আজ তিনি রোল মডেল হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাঁর আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠার পথটা এতটাও মসৃণ ছিল না। ওই যে পরিস্থিতির সামনে মাথা নত না করে, পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে যে জানে সেই আসল বিজেতা। ২০০৮ সালে এন অম্বিকার কাছে বিষয়টাও এমনটাই ছিল।
এন অম্বিকা তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। বয়স মাত্র ১৪! এই সময় মেয়েরা যখন উচ্চস্বপ্ন দেখে, বন্ধুদের সাথে মজায় মেতে থাকেন সেই সময় অম্বিকার বিয়ে হয়ে যায়। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে যেখানে মেয়েদের বিয়ের বয়স করা হয়েছে ২১। সেখানে অম্বিকার মত মেয়েদের বাল্যবিবাহের মতো প্রথার শিকার হতে হয়। একপ্রকার জোর জবরদস্তি করে তাঁর পরিবারের লোকেরা তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর সংসারের জাঁতাকলে পিষে যান অম্বিকা। স্বাভাবিকভাবেই তার পড়াশোনা বিয়ের পরপরই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মাত্র ৪ বছরের মাথায় তিনি মা হয়ে যান। ১৮ বছর বয়সে দুই সন্তানের মা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন অশিক্ষিত গৃহবধু সংসারের এমন পর্যায়ে চলে আসলে নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেন। এমনকি সংসারের দায় নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা সমস্ত কিছু চাপা পড়ে যায়।
তবে অম্বিকা এই তালিকার মধ্যে ছিলেন না। তিনি সাধারণের মধ্যে এক অসাধারণ নারী। তাইতো নিজের স্বপ্ন ছুঁতে অসম্ভবকেও সম্ভব করে দেখিয়েছেন। আর এই স্বপ্ন দেখা শুরু হয় পুলিশ স্বামীর হাত ধরে। প্রজাতন্ত্র দিবসে স্বামীর সাথে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান দেখতে যান। সেদিন তিনি দেখেছিলেন একদল পুলিশ অফিসারকে স্যালুট জানাচ্ছে সকলে। আর সেই দলেও ছিলেন তার স্বামীও। কৌতূহল চাপতে না পেরে স্বামীকে জিজ্ঞেস করেন এমন কেন করা হচ্ছে? তখন তার স্বামী উত্তরে জানান এরা সকলে আইপিএস অফিসার।
ব্যাস এইটুকু শব্দই তার মাথায় গেঁথে যায়। ১৮ বছর বয়স থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। একদিন সেখানে তিনি দাঁড়িয়ে থাকবেন আর তাকে সকলে সেলুট করবে। যদিও স্বপ্ন ছোঁয়াটা এতটা সহজ ছিল না। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে মাধ্যমিকের গণ্ডি টুকু পেরোতে পারেননি তিনি। কিন্তু ওই যে কাছের মানুষটি পাশে থাকলেও মাউন্ট এভারেস্টও জয় করা যায়। অম্বিকা নিজের স্বপ্নের কথা স্বামীকে জানালে তিনিও আরো উৎসাহ দিতে থাকেন। তাকে আলাদা করে প্রাইভেট টিউশন দিয়ে মাধ্যমিকের পড়া শুরু করানোর দায়িত্ব নেয়। এভাবেই পড়া সংসার সমস্তটা সামলেই অম্বিকার সময় কাটতে থাকে। ধীরে ধীরে তিনি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং কলেজের গণ্ডিও পাশ করেন।
তবে গ্র্যাজুয়েশনের পর তিনি বুঝতে পারেন আইপিএস হতে গেলে তাকে সংসার স্বামী বাচ্চাকে ছেড়ে দূরে পাড়ি দিতে হবে। আর এখানেও ভরসা দেন তার একমাত্র স্বামী। স্ত্রীকে চেন্নাইয়ে পাঠিয়ে তিনবছর তিনি একা হাতে সংসার, সন্তান, অফিস সামলাতে থাকেন। শুধুমাত্র স্ত্রীর মাথায় সেই শিরোপা জ্বলজ্বল করতে দেখতে চান। ওইদিকে অম্বিকাও নিজের লক্ষ্যে অটল। দিনরাত অহরহ পরিশ্রম করতে থাকেন নিজের স্বপ্নে পূরণের জন্য। পরপর ৩ বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু ফলাফল তার মুখের হাসি ছিনিয়ে নেয়। একসময় স্বামীও তাকে ফোন করে বলে, এবার তুমি ফিরে আসো! কিন্তু যে অম্বিকা যে সেই জেদি অম্বিকা। শেষটা তিনি না দেখে থামবেন না। এরপর চতুর্থবার! ২০০৮ সালে আবারো ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে বসলেন। চতুর্থবারই তাকে তাঁর স্বপ্নের চূড়ায় পৌঁছে দেয়। হয়ে ওঠেন মুম্বাইয়ের ডিসিপি এন অম্বিকা। অশিক্ষিত গৃহবধু হয়ে উঠলেন মুম্বাইয়ের ক্রিমিনালদের ভয়ের কারণ। ডিপার্টমেন্টের সকলেও তাকে সমঝোতা করে চলে। লেডি সিঙ্গম তো আর শুধু শুধু হননি। স্বামীর সাথে নিজেরও স্বপ্ন পূরণ করেছেন IPS অফিসার এন অম্বিকা।
[12:40 PM, 6/6/2024] Sunanda: @Riya Di BH
[1:04 PM, 6/6/2024] Riya Di BH: Ok
[1:32 PM, 6/6/2024] Sunanda: Title: বলতে পারতেন না ইংরেজি! উচ্চারণ করতে হোঁচট খেতেন বারবার! আজ সেই মেয়ে দেশের IAS অফিসার!
Focus:
বলতে পারতেন
না ইংরেজি!
ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতে
হোঁচট খেতেন বারবার!
উঠতে বসতে বিদ্রুপের
শিকার হতে হত তাকে!
তবে ইংরেজি তাকে
আটকে রাখতে পারেনি!
সকলকে কাঁচকলা দেখিয়ে
দিয়েছে তাঁর মেধার স্ফুরণ!
আজ সেই মেয়ে
দেশের IAS অফিসার!
Body:
UPSC! এটা কোনো সাধারণ পরীক্ষা নয়। যে পড়লাম, মুখস্থ করলাম আর পরীক্ষা দিলাম হয়ে গেলো। এরজন্য বছরের পর বছর সাধনা করতে হয়। এরজন্য দরকার ধৈর্য, অধ্যাবসায় তুখর মেধা সেই সাথে লড়াই করার জেদ। প্রতিবছর হাজার হাজার পরীক্ষার্থী ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে থাকেন। তবে কারোর এই পরীক্ষা পাস করতে দশ বছর লেগে যায়। আবার কেউ কেউ প্রথম চেষ্টাতেই কাঙ্খিত ফল পেয়ে থাকেন। তবে খুব বিরল মানুষই প্রথম চেষ্টাতে সফল হতে পারেন। এরই মধ্যে একজন হচ্ছেন, সুরভি গৌতম। তবে প্রথম চেষ্টাতে সফল হলেও তার আগের ধাপগুলো তে ছিল কাঁটা বিছানো। আর সেই কাঁটা পার করতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে পা।
সুরভি গৌতম ছিলেন একজন মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার আমদারা গ্রামের বাসিন্দা। বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবী আর মা স্কুলের শিক্ষিকা। তবে জানিয়ে রাখি, সুরভি কিন্তু ছোট থেকেই একজন হিন্দি মিডিয়ামে ছাত্রী ছিলেন। ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা হওয়ার দরুণ পড়াশোনার তেমন একটা সুযোগ-সুবিধা ছিল না সেখানে। তবে মেধার ভান্ডার তার অফুরন্ত। তাই প্রতিকূলতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। স্কুল জীবন থেকেই দ্বিতীয় হওয়া তার তালিকায় ছিল না। সর্বদাই প্রথম স্থান অধিকার করতেন! মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে নব্বই শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে তিনি পাশ করেন। জানা যায় উচ্চমাধ্যমিকের সময় তিনি রিউম্যাটিক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর সেই সময় চিকিৎসা করানোর জন্য বাবা মায়ের সাথে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে জবলপুরে চিকিৎসা করাতে যেতে হতো। তা সত্ত্বেও তিনি পড়াশুনার প্রতি কোন রকমের খামতি রাখেননি। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাড়ি দেন শহরে। তিনি তার গ্রামের একমাত্র মেয়ে যে কিনা উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে আসেন। এরপর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ভোপালের কলেজে ভর্তি হন সুরভি। এখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনের সবথেকে কঠিন সময়। আজ আমাদের দেশে নিজের মাতৃভাষা নয় বরং সম্মান দেওয়া হয় বিদেশী ভাষাকে। মাতৃভাষা না জানলে কোন ব্যাপার না কিন্তু ইংরেজি জানা চাই চাই! নইলে মান সম্মান নিয়ে টানাটানি হবে।
আর ঠিক এই ইংরেজির জন্যই কলেজে উঠতে না উঠতেই সুরভিকে রীতিমতো প্যাক খেতে হয় সকলের কাছে। এই তুই ইংলিশ বলতে পারিস না! ইংলিশ না জেনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসেছিস। এমন সব কটাক্ষের শিকার হতে হয়। ইংরেজি বলতে না পারায় তার ক্লাসে বন্ধু সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এমনকি ক্লাসে টিচাররা পড়া জিজ্ঞেস করলেও সর্বদা এক কোণে লুকিয়ে থাকতেন সুরভি। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকেন ধীরে ধীরে। তবে হঠাৎ করে তার মনে হয় সেতো হেরে যাওয়ার পাত্রী নয়। ইংরেজি জানে না তো কি হয়েছে শিখে নেবে। এরপর থেকে তিনি শুরু করেন নতুন এক স্ট্র্যাটেজি। প্রতিদিন ১০টি করে ইংরেজি শব্দ রপ্ত করতেন। আর তাঁর এই স্ট্রাটেজি কাজে লেগে যায়। নিন্দুকরা তো নিন্দা করবেই তাই বলে পিছিয়ে আসবেন এটা কখনোই নয়। সকলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেই কলেজ থেকেই গোল্ড মেডেলিস্ট হয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। আর ইংরেজিকে নিজের পকেটে পুড়ে নেন। এরপর নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তবে তার কাছেই একঘেয়েমি চাকরি জীবন পছন্দ নয়। তিনি তো ভালোবাসেন সিভিল সার্ভিস করতে।
তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রস্তুতি নিতে থাকেন ইউপিএসসির। এর পাশাপাশি তিনি একের পর এক সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিতে থাকেন। কখনো এসএসসি কখনো সিজিএল থেকে শুরু করে গেট, ইসরো, সেইল, এমপিপিএসসি, পিসিএস, দিল্লি পুলিশ এবং এফসিআইয়ের মতন পরীক্ষায় বসেন। আর সবেতেই সসম্মানে পাশ করেন। তবে ওই যে তার মন এগুলির মধ্যে কোনটাতেই টেকেনি। তিনি চান IAS অফিসার হতে। শেষমেষ ২০১৬ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। সেইবার সারা দেশের মধ্যে ৫০ তম র্যাঙ্ক অর্জন করেন সুরভী গৌতম। এবং ছিনিয়ে নেন আইএএসের শিলমোহর। বর্তমানে সুরভি গৌতম আহমেদাবাদের বিরামগ্রামে অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টরের পদে নিযুক্ত। ইংরেজি যে তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি সেকথা প্রমাণ করে দিয়েছে। একসময় যে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছিল,,,,,, সেই আত্মবিশ্বাসকেই কাজে লাগিয়ে তিনি আজ সেরার সেরা।
[12:40 PM, 6/6/2024] Sunanda: Title: গৃহবধু এখন মুম্বাইয়ের লেডি সিঙ্গম! দুই বাচ্চার মা হয়েও এই IPS অফিসার মহিলাকে দেখে হাঁটু কাঁপে এলাকার মস্তানদের!
Focus:
দুই বাচ্চার মা হয়েও এই IPS অফিসার
মহিলাকে দেখে হাঁটু কাঁপে এলাকার মস্তানদের!
এলাকায় পা রাখলেই ভয়ে
এদিক ওদিক ছুটতে থাকে ক্রিমিনালরা!
সংসার, অফিস দুটো
সামলিয়েও ক্লান্ত হননা তিনি!
মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে,
১৮ তেই দুই বাচ্চার মা!
তারপরও চালাচ্ছেন দেশ,
রাতবিরেতে খবর আসলেই
ধরতে যাচ্ছেন ক্রিমিনালদের!
বাস্তবের লেডি সিঙ্গম ইনিই!
আর তাঁর এমন সাহসিকতা
দেখে স্যালুট ঠুকছে সকলে!
Body:
কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! কিন্তু মেয়েরা শুধুই চুলই বাঁধতে জানেন তা নয় দেশও চালাতে জানেন। সেইসাথে দেশের ক্রিমিনালদের গণধোলাইও দিতে জানেন। তেমনি একজন নারী এন অম্বিকা থুড়ি IPS ( আইপিএস ) অফিসার এন অম্বিকা। মুম্বাইয়ের লেডি সিংগাম তিনি। পা ফেললেই রীতিমতো কাঁপতে থাকে গোটা এলাকা। আজ তাঁর ব্যক্তিত্ব শুধু তরুণদের অনুপ্রাণিত করছে এমনটাই নয়, বরং তাকে দেখে মেয়েরা শিখতে পারছেন কীভাবে সংসার সামলিয়ে দেশ চালানো যায়। সকলের কাছে আজ তিনি রোল মডেল হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাঁর আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠার পথটা এতটাও মসৃণ ছিল না। ওই যে পরিস্থিতির সামনে মাথা নত না করে, পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে যে জানে সেই আসল বিজেতা। ২০০৮ সালে এন অম্বিকার কাছে বিষয়টাও এমনটাই ছিল।
এন অম্বিকা তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। বয়স মাত্র ১৪! এই সময় মেয়েরা যখন উচ্চস্বপ্ন দেখে, বন্ধুদের সাথে মজায় মেতে থাকেন সেই সময় অম্বিকার বিয়ে হয়ে যায়। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে যেখানে মেয়েদের বিয়ের বয়স করা হয়েছে ২১। সেখানে অম্বিকার মত মেয়েদের বাল্যবিবাহের মতো প্রথার শিকার হতে হয়। একপ্রকার জোর জবরদস্তি করে তাঁর পরিবারের লোকেরা তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর সংসারের জাঁতাকলে পিষে যান অম্বিকা। স্বাভাবিকভাবেই তার পড়াশোনা বিয়ের পরপরই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মাত্র ৪ বছরের মাথায় তিনি মা হয়ে যান। ১৮ বছর বয়সে দুই সন্তানের মা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন অশিক্ষিত গৃহবধু সংসারের এমন পর্যায়ে চলে আসলে নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেন। এমনকি সংসারের দায় নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা সমস্ত কিছু চাপা পড়ে যায়।
তবে অম্বিকা এই তালিকার মধ্যে ছিলেন না। তিনি সাধারণের মধ্যে এক অসাধারণ নারী। তাইতো নিজের স্বপ্ন ছুঁতে অসম্ভবকেও সম্ভব করে দেখিয়েছেন। আর এই স্বপ্ন দেখা শুরু হয় পুলিশ স্বামীর হাত ধরে। প্রজাতন্ত্র দিবসে স্বামীর সাথে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান দেখতে যান। সেদিন তিনি দেখেছিলেন একদল পুলিশ অফিসারকে স্যালুট জানাচ্ছে সকলে। আর সেই দলেও ছিলেন তার স্বামীও। কৌতূহল চাপতে না পেরে স্বামীকে জিজ্ঞেস করেন এমন কেন করা হচ্ছে? তখন তার স্বামী উত্তরে জানান এরা সকলে আইপিএস অফিসার।
ব্যাস এইটুকু শব্দই তার মাথায় গেঁথে যায়। ১৮ বছর বয়স থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। একদিন সেখানে তিনি দাঁড়িয়ে থাকবেন আর তাকে সকলে সেলুট করবে। যদিও স্বপ্ন ছোঁয়াটা এতটা সহজ ছিল না। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে মাধ্যমিকের গণ্ডি টুকু পেরোতে পারেননি তিনি। কিন্তু ওই যে কাছের মানুষটি পাশে থাকলেও মাউন্ট এভারেস্টও জয় করা যায়। অম্বিকা নিজের স্বপ্নের কথা স্বামীকে জানালে তিনিও আরো উৎসাহ দিতে থাকেন। তাকে আলাদা করে প্রাইভেট টিউশন দিয়ে মাধ্যমিকের পড়া শুরু করানোর দায়িত্ব নেয়। এভাবেই পড়া সংসার সমস্তটা সামলেই অম্বিকার সময় কাটতে থাকে। ধীরে ধীরে তিনি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং কলেজের গণ্ডিও পাশ করেন।
তবে গ্র্যাজুয়েশনের পর তিনি বুঝতে পারেন আইপিএস হতে গেলে তাকে সংসার স্বামী বাচ্চাকে ছেড়ে দূরে পাড়ি দিতে হবে। আর এখানেও ভরসা দেন তার একমাত্র স্বামী। স্ত্রীকে চেন্নাইয়ে পাঠিয়ে তিনবছর তিনি একা হাতে সংসার, সন্তান, অফিস সামলাতে থাকেন। শুধুমাত্র স্ত্রীর মাথায় সেই শিরোপা জ্বলজ্বল করতে দেখতে চান। ওইদিকে অম্বিকাও নিজের লক্ষ্যে অটল। দিনরাত অহরহ পরিশ্রম করতে থাকেন নিজের স্বপ্নে পূরণের জন্য। পরপর ৩ বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু ফলাফল তার মুখের হাসি ছিনিয়ে নেয়। একসময় স্বামীও তাকে ফোন করে বলে, এবার তুমি ফিরে আসো! কিন্তু যে অম্বিকা যে সেই জেদি অম্বিকা। শেষটা তিনি না দেখে থামবেন না। এরপর চতুর্থবার! ২০০৮ সালে আবারো ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে বসলেন। চতুর্থবারই তাকে তাঁর স্বপ্নের চূড়ায় পৌঁছে দেয়। হয়ে ওঠেন মুম্বাইয়ের ডিসিপি এন অম্বিকা। অশিক্ষিত গৃহবধু হয়ে উঠলেন মুম্বাইয়ের ক্রিমিনালদের ভয়ের কারণ। ডিপার্টমেন্টের সকলেও তাকে সমঝোতা করে চলে। লেডি সিঙ্গম তো আর শুধু শুধু হননি। স্বামীর সাথে নিজেরও স্বপ্ন পূরণ করেছেন IPS অফিসার এন অম্বিকা।
[12:40 PM, 6/6/2024] Sunanda: @Riya Di BH
[1:04 PM, 6/6/2024] Riya Di BH: Ok
[1:32 PM, 6/6/2024] Sunanda: Title: বলতে পারতেন না ইংরেজি! উচ্চারণ করতে হোঁচট খেতেন বারবার! আজ সেই মেয়ে দেশের IAS অফিসার!
Focus:
বলতে পারতেন
না ইংরেজি!
ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতে
হোঁচট খেতেন বারবার!
উঠতে বসতে বিদ্রুপের
শিকার হতে হত তাকে!
তবে ইংরেজি তাকে
আটকে রাখতে পারেনি!
সকলকে কাঁচকলা দেখিয়ে
দিয়েছে তাঁর মেধার স্ফুরণ!
আজ সেই মেয়ে
দেশের IAS অফিসার!
Body:
UPSC! এটা কোনো সাধারণ পরীক্ষা নয়। যে পড়লাম, মুখস্থ করলাম আর পরীক্ষা দিলাম হয়ে গেলো। এরজন্য বছরের পর বছর সাধনা করতে হয়। এরজন্য দরকার ধৈর্য, অধ্যাবসায় তুখর মেধা সেই সাথে লড়াই করার জেদ। প্রতিবছর হাজার হাজার পরীক্ষার্থী ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে থাকেন। তবে কারোর এই পরীক্ষা পাস করতে দশ বছর লেগে যায়। আবার কেউ কেউ প্রথম চেষ্টাতেই কাঙ্খিত ফল পেয়ে থাকেন। তবে খুব বিরল মানুষই প্রথম চেষ্টাতে সফল হতে পারেন। এরই মধ্যে একজন হচ্ছেন, সুরভি গৌতম। তবে প্রথম চেষ্টাতে সফল হলেও তার আগের ধাপগুলো তে ছিল কাঁটা বিছানো। আর সেই কাঁটা পার করতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে পা।
সুরভি গৌতম ছিলেন একজন মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার আমদারা গ্রামের বাসিন্দা। বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবী আর মা স্কুলের শিক্ষিকা। তবে জানিয়ে রাখি, সুরভি কিন্তু ছোট থেকেই একজন হিন্দি মিডিয়ামে ছাত্রী ছিলেন। ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা হওয়ার দরুণ পড়াশোনার তেমন একটা সুযোগ-সুবিধা ছিল না সেখানে। তবে মেধার ভান্ডার তার অফুরন্ত। তাই প্রতিকূলতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। স্কুল জীবন থেকেই দ্বিতীয় হওয়া তার তালিকায় ছিল না। সর্বদাই প্রথম স্থান অধিকার করতেন! মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে নব্বই শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে তিনি পাশ করেন। জানা যায় উচ্চমাধ্যমিকের সময় তিনি রিউম্যাটিক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর সেই সময় চিকিৎসা করানোর জন্য বাবা মায়ের সাথে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে জবলপুরে চিকিৎসা করাতে যেতে হতো। তা সত্ত্বেও তিনি পড়াশুনার প্রতি কোন রকমের খামতি রাখেননি। উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাড়ি দেন শহরে। তিনি তার গ্রামের একমাত্র মেয়ে যে কিনা উচ্চশিক্ষার জন্য শহরে আসেন। এরপর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ভোপালের কলেজে ভর্তি হন সুরভি। এখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনের সবথেকে কঠিন সময়। আজ আমাদের দেশে নিজের মাতৃভাষা নয় বরং সম্মান দেওয়া হয় বিদেশী ভাষাকে। মাতৃভাষা না জানলে কোন ব্যাপার না কিন্তু ইংরেজি জানা চাই চাই! নইলে মান সম্মান নিয়ে টানাটানি হবে।
আর ঠিক এই ইংরেজির জন্যই কলেজে উঠতে না উঠতেই সুরভিকে রীতিমতো প্যাক খেতে হয় সকলের কাছে। এই তুই ইংলিশ বলতে পারিস না! ইংলিশ না জেনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসেছিস। এমন সব কটাক্ষের শিকার হতে হয়। ইংরেজি বলতে না পারায় তার ক্লাসে বন্ধু সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এমনকি ক্লাসে টিচাররা পড়া জিজ্ঞেস করলেও সর্বদা এক কোণে লুকিয়ে থাকতেন সুরভি। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকেন ধীরে ধীরে। তবে হঠাৎ করে তার মনে হয় সেতো হেরে যাওয়ার পাত্রী নয়। ইংরেজি জানে না তো কি হয়েছে শিখে নেবে। এরপর থেকে তিনি শুরু করেন নতুন এক স্ট্র্যাটেজি। প্রতিদিন ১০টি করে ইংরেজি শব্দ রপ্ত করতেন। আর তাঁর এই স্ট্রাটেজি কাজে লেগে যায়। নিন্দুকরা তো নিন্দা করবেই তাই বলে পিছিয়ে আসবেন এটা কখনোই নয়। সকলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেই কলেজ থেকেই গোল্ড মেডেলিস্ট হয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। আর ইংরেজিকে নিজের পকেটে পুড়ে নেন। এরপর নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তবে তার কাছেই একঘেয়েমি চাকরি জীবন পছন্দ নয়। তিনি তো ভালোবাসেন সিভিল সার্ভিস করতে।
তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রস্তুতি নিতে থাকেন ইউপিএসসির। এর পাশাপাশি তিনি একের পর এক সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিতে থাকেন। কখনো এসএসসি কখনো সিজিএল থেকে শুরু করে গেট, ইসরো, সেইল, এমপিপিএসসি, পিসিএস, দিল্লি পুলিশ এবং এফসিআইয়ের মতন পরীক্ষায় বসেন। আর সবেতেই সসম্মানে পাশ করেন। তবে ওই যে তার মন এগুলির মধ্যে কোনটাতেই টেকেনি। তিনি চান IAS অফিসার হতে। শেষমেষ ২০১৬ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। সেইবার সারা দেশের মধ্যে ৫০ তম র্যাঙ্ক অর্জন করেন সুরভী গৌতম। এবং ছিনিয়ে নেন আইএএসের শিলমোহর। বর্তমানে সুরভি গৌতম আহমেদাবাদের বিরামগ্রামে অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টরের পদে নিযুক্ত। ইংরেজি যে তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি সেকথা প্রমাণ করে দিয়েছে। একসময় যে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছিল,,,,,, সেই আত্মবিশ্বাসকেই কাজে লাগিয়ে তিনি আজ সেরার সেরা।
Leave a Reply