মাধ্যমিকের পর এবার NEET পরীক্ষাতেও দুর্নীতি! ৭২০ তে কিভাবে আসে ৭১৯? ঘুম উড়লো NTA এর! ঘাড়ের উপর চাপ দিচ্ছে হাইকোর্ট!
Focus:
মাধ্যমিকের পর এবার
NEET পরীক্ষাতেও দুর্নীতি!
বড়সড় অভিযোগ উঠলো
ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার বিরূদ্ধে!
৭২০ তে কিভাবে
আসে ৭১৯?
নম্বর দেওয়াতেই নাকি
হচ্ছে গদ্দারি!
বেড়েছে মেধা
তালিকার সংখ্যাও!
একবারে নজিরবিহীন ইতিহাস
এবারের NEET ফলাফলে!
ঘুম উড়লো
NTA এর!
ঘাড়ের উপর চাপ
দিচ্ছে হাইকোর্ট!
Body:
সদ্যই ফল প্রকাশ পেয়েছে ন্যাশানাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেষ্ট অর্থাৎ NEET-এর ফলাফল। আর ফলাফল প্রকাশের পর শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় করা হয়েছে অনিয়ম। যোগ্যরা পিছিয়ে পড়েছে তালিকা থেকে। যদিও আমাদের দেশে এহেন কাণ্ড নতুন কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে যেখানে ভুঁড়ি ভুঁড়ি দুর্নীতিতে ভরা। শিক্ষা থেকে শুরু করে চাকরি সবেতেই ছাপ রয়েছে দুর্নীতির। সেখানে NEET-এর ফলাফলেও যে দুর্নীতি হতে পারে এখানে অস্বাভাবিক কিছু নেই। আর যার জেরে ক্ষিপ্ত পরীক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় প্রশ্ন উঠছে এনটিএ ( NTA )-র দায়বদ্ধতা নিয়ে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি NEET পরীক্ষা শুরুর দিন থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। ফলাফল প্রকাশের পর অভিযোগ আরো জোরালো হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নিটে যেভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে।
NEET পরীক্ষা মূলত হয়ে থাকে ৭২০ নম্বরে। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের পরীক্ষায় অনেক পরীক্ষার্থী ৭২০র মধ্যে পেয়েছেন ৭১৯ কিংবা ৭১৮। আর এই নম্বর পাওয়া নাকি একেবারেই ভিত্তিহীন। এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলে। এই বিষয়টি সমন্ধে এক শিক্ষক জানিয়েছে, NTA এর রেজাল্টে নাকি ভুল আছে। কারণ তারা সেটা দুবার যাচাই করেও দেখেছেন। সেই শিক্ষকের মতে,৭২০ তে ৭২০ পাওয়া সম্ভব! কিন্তু যারা যারা ৭১৮ কিংবা ৭১৯ পেয়েছেন, সেটা পাওয়া কখনোই যায় না। কারণ প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকে ৪ করে। এবার কোন পরীক্ষার্থী যদি একটি প্রশ্ন ছেড়ে দেয় তাহলে তার নম্বর আসতে পারে ৭১৬। আর যদি কোন প্রশ্ন ভুল হয় সেক্ষেত্রে আরো এক নম্বর বেশি কাটা হয়। অর্থাৎ ৭২০-র মধ্যে নম্বর আসবে ৭১৫ অথবা ৭১৬। তাই এখানেই প্রশ্ন উঠছে কিভাবে এই নম্বর আসতে পারে।
শুধু তাই নয় উঠেছে আরো বড় প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে এবারে NEET-এ নজিরবিহীন রেজাল্ট করেছে শিক্ষার্থীরা। নিটে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০তে ৭২০ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। তার মধ্যে ৬ জন নাকি একই পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষার্থী। এমনকি তাদের রোল নম্বর প্রায় কাছাকাছি। সংশ্লিষ্ট মহল দাবি করছেন, এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তবে এনটিএ (NTA) এই অভিযোগ আগেই খারিজ করে দিয়েছিল।
তবে যতই অভিযোগ খারিজ হোক না কেন এই বিষয়টি উঠে গেছে কলকাতা হাইকোর্টে। এনটিএকে পরীক্ষায় গদ্দারি করতে দেখে তাদের কাছে হলফনামা চায় হাইকোর্ট। এমনকি বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে। এমনকি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের ক্ষেত্রে কিভাবে কোন নিয়ম নীতি মেনে নিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, মামলা রায়ের উপরেই পরীক্ষার কাউন্সিলিং করা হবে।
তবে আপনাদের এই মুহূর্তে জানিয়ে রাখি এই অভিযোগ শুধু পরীক্ষার্থীরা করেছে এমনটা নয়। দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফিজিক্স ওয়ালার তরফ থেকেও অভিযোগ উঠেছে। তিনি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে এক পরীক্ষার্থীর ওয়েমার সিটে দেখানো হয়। সেই ওয়েমার সিটে হিসাব করলে পরীক্ষার্থীর নম্বর হচ্ছে ৩৬৮। তবে ফলাফল প্রকাশের পর তিনি পেয়েছেন ৪৫৩। অর্থাৎ ৮৫ নম্বরের ব্যবধান। তবে এই নম্বর ঠিক কিভাবে পেয়েছেন তা বলা মুশকিল। ভিডিওতে আরো দাবি করা হয়েছে, এই কাজের জন্য মেধা তালিকা থেকে পিছিয়ে গেছে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা। শুধু তিনিই নন একইসাথে এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা NTA হলফনামায় ঠিক কি উল্লেখ করে। তবে এর জেরে যে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে বড়সড় ধাক্কা সামলাতে হবে তা বলতে বাকি রাখে না।
Leave a Reply