কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত!

Title: কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! বাজার কাঁপাচ্ছে এই প্রকল্প! এখন থেকে মেয়েরা নয় ছেলেরাও পাবেন মোটা অঙ্কের টাকা!

Focus:

কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত!

বাজার কাঁপাচ্ছে
এই প্রকল্প!

মহিলারা একাই নয়
পুরুষেরাও হবে বড়লোক!

এখন থেকে ছেলেদের
অ্যাকাউন্টেও ঢুকবে বড় বড় নোট!

এই প্রকল্পের হাত ধরে ছেলেরা
থাকবেন রাজার হালে!

কি নাম প্রকল্পের?
কত টাকা করে ঢুকবে অ্যাকাউন্টে?

কবে থেকে চালু
হবে এই প্রকল্প?

দেখুন

Body:

মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক গুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছে। আর এই প্রকল্পের হাত ধরে বাংলার মানুষেরা একের পর এক সুবিধা পেয়ে চলেছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, সবুজ সাথী থেকে শুরু করে একের পর এক প্রকল্প। বিশেষ করে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। কন্যাশ্রীর হাত ধরে ১৮ বছরের পর প্রতিটি মেয়ের অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার করে টাকা ঢুকছে। এমনকি ২০২১ সালে তৈরি লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য বাংলার মা বোনেরা লাভের মুখ দেখেছেন। এমনকি ২৪ এর লোকসভা ভোটে বাংলার এমন ফলাফলের কারণ হিসেবে রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে দায়ী করেছেন। তবে সে যাই হোক এখন প্রশ্ন শুধু মেয়েরাই কেন সুবিধা পাবেন। ছেলেরা কেন সমস্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। তাহলে জানিয়ে রাখি আমাদের রাজ্যের সরকার শুধু মেয়েদের জন্য নয় ছেলেদের জন্যও তৈরি করেছেন প্রকল্প। এই প্রকল্পের হাত ধরে প্রতিটি ছেলের ব্যাঙ্কে ঢুকবে মোটা অঙ্কের টাকা। আর এই প্রকল্পের নাম হচ্ছে যুবশ্রী প্রকল্প।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই যুবশ্রী প্রকল্প আসলে কি?

কন্যাশ্রী, লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতন এটিও একটি অন্যতম প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবকদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে যুবশ্রী প্রকল্প। ২০১৩ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যের বেকার যুবকরা ভাতা হিসাবে প্রতি মাসে পাবে ১৫০০ টাকা। রাজ্যের কর্মহীন যুবসমাজ যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেকথা ভেবেই এই প্রকল্প।

কারা কারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে? দেখে নিন

এক, আবেদনকারীকে অবশ্যই হতে হবে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

দুই, এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে কর্মহীন হতে হবে। আপনি যদি একজন অফিসের উচ্চপদের কর্মচারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই প্রকল্পের যোগ্য নন। এমনকি আপনার পরিবারের বার্ষিক আয় হতে হবে ২ লাখ টাকার নিচে।

তিন, নূন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে মাধ্যমিক পাশ। এর নিচে কারো যোগ্যতা থাকলে আবেদন করতে পারবেন না।

চার, এই প্রকল্পের আবেদন করতে হলে সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ এবং সর্বোচ্চ বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে।

এই প্রকল্পের হাত ধরে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?

প্রথমত, এই প্রকল্পে আবেদন করলে যতদিন না আপনার কোন কাজের গতি হচ্ছে। ততদিন পর্যন্ত আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫০০ টাকা করে ঢুকবে।

দুই, টাকা দেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যদিও আপনার যোগ্যতার উপর নির্ভর করেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

তিন, এছাড়াও আপনি যদি কোন ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রেও আপনাকে রাজ্যে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করা হবে।

এই আবেদনের জন্য কি কি প্রয়োজন? কবে থেকে করা যাবে যুবশ্রী প্রকল্পের আবেদন?

আপনাদের জানিয়ে রাখি এই প্রকল্পর আবেদন অনেক আগে শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই বছর কবে থেকে শুরু হবে তা ওয়েবসাইটে বলে দেওয়া হবে। আপনার কাছাকাছি কোন সাইবার ক্যাফে গিয়ে এই বিষয়ে জেনে নিন। সেখান থেকেই আপনাকে আরো বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে সমস্ত কিছু।

তবে হ্যাঁ যুবশ্রী প্রকল্পের আবেদনের জন্য আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড ও মার্কশিট, ব্যাংকের পাস বই, জন্মের প্রমানপত্র সহ ছবি আবশ্যক। তবে সমস্ত তথ্যই হতে হবে বৈধ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *