মাথার উপর ডুগডুগি বাজাচ্ছেন জাস্টিস সিনহা!

Title: চিন্তায় ঘুম উড়েছে অভিষেকের! মাথার উপর ডুগডুগি বাজাচ্ছেন জাস্টিস সিনহা! বাজেয়াপ্ত কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি!

Focus:

চিন্তায় ঘুম
উড়েছে অভিষেকের!

মাথার উপর ডুগডুগি
বাজাচ্ছেন জাস্টিস সিনহা!

বাজেয়াপ্ত কোটি
কোটি টাকা!

বিচারপতির ছোবলে
ইডি আধিকারিকেরাও!

নিয়োগ দুর্নীতিতে
নয়া মোড়!

তাহলে কি এবার
ভাইপোর টার্ন?

দেখুন

Body:

সদ্যই শেষ হয়েছে লোকসভা ভোট। আর এবারের ভোটে সবথেকে চমক দেখিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ব্যানার্জি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। সেই জয়ের উদযাপন এখনোও শেষ হয়নি। একেবারে খোশ মেজাজে ছিলেন অভিষেক। তবে হঠাৎই মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে হাইকোর্ট। ভোট মিটতে না মিটতেই এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়। একধাক্কায় কোটি কোটি টাকার লোকসান অভিষেকের। যার জেরে জোরে জোরে কপাল চাপড়াচ্ছেন নেতা।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় ইডি এবং সিবিআইয়ের উপর। আর এই তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নাম। এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। এমনকি তথ্যসূত্র জানা যায় সংস্থার ডিরেক্টর পদ যুক্ত রয়েছেন অভিষেকের বাবা-মাও। তদন্তের স্বার্থে ইডি আধিকারিকেরা এই সংস্থার অফিসে তল্লাশি পর্যন্ত চালান। সেই সাথে জেরার মুখোমুখি হতে হয় একাধিক ব্যক্তিকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েন নি অভিষেকও। এরপর সেই সংস্থা বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। আর শুনানির দিন আদালতের রিপোর্ট জমা দেয় ইডি আধিকারিকেরা। তবে ইডি আধিকারিকদের কাজ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহা। শুনানির দিন মামলা চলাকালীন ইডির তরফ থেকে জানানো হয় এখনো পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস থেকে ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেই সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। ইডি আধিকারিকেরা আরো জানান, চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার লিপস এন্ড বাউন্ডস সংস্থা থেকে আরো সাড়ে ১৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন।

আর ইডির এহেন রিপোর্ট দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ জাস্টিস সিনহা। ইডি আধিকারিকদের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন কোম্পানির ডিরেক্টরদের সম্পত্তি পরিমাণ এত কম কেন। এদিন ইডি ও সিবিআইদের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি আরো বলেন তারা যে রিপোর্ট দিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এই সংস্থার নিজস্ব কোন আয়ের উৎস নেই। টাকা অন্য কোথাও থেকে আসছে। তবে সেই টাকা কোথা থেকে আসছে তা কি খুঁজে দেখেছে তদন্তকারী সংস্থা? এই সম্পত্তির আসল উৎস কি? বিচারপতি সিনহা এদিন তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তিনি সেদিন এতোটুকুতে থেমেছিলেন না সেইসাথে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন পুরো তদন্তকারী টিমকে। জাস্টিস সিনহা এদিন বলেন পুরো তদন্ত এখন আদালতের নজরদারিতে চলছে। যে সকল অফিসার গাফিলতি করছেন তাদের নামও তিনি জানেন। এইভাবে তদন্ত চলতে থাকলে তা কবে শেষ হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি ইতিমধ্যে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার ঠিক কার পালা সেটা ভবিষ্যতে বলবে। তবে যা যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাতে অভিষেক ব্যানার্জীর যে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে তা বলতে বাকি রাখে না। কিন্তু এত সহজে থামবেন না বিচারপতি অমৃত সিনহা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *