মাইকেল জ্যাকসনের মুনওয়াক ডান্সের কথা মনে আছে?
কোনও কিছু না ধরেই, হেলে যেতেন সোজা ৪৫ ডিগ্রি কোণে, কিভাবে করতেন?
মাইকেল জ্যাকসনের
মুনওয়াক ডান্সের কথা মনে আছে?
কোনও কিছু না ধরেই,
হেলে যেতেন সোজা ৪৫ ডিগ্রি কোণে!
অথচ মাটিতে পড়তেন না,
কাজই করত না গ্র্যাভিটি!
কিন্তু কীভাবে হেলে থাকতেন
এই পপ স্টার?
এর পিছনে রহস্যটা
অন্য জায়গায়
আজকের প্রতিবেদনে এই রহস্যটি
আপনাদের জানিয়ে দেব
মাইকেল জ্যাকসনের নাম শোনেননি এমন ব্যক্তি পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! মাইকেল জ্যাকসনকে তার গান দিয়ে মানুষ যেমন মনে রেখেছেন তেমনি তার নাচ দিয়েও মানুষ তাকে স্মরণে রেখেছে। মাইকেল জ্যাকসনের কোনরকম সাহায্য ছাড়া ৪৫ ডিগ্রি হেলে গিয়ে নাচের যে ফরম্যাট সেটি এখনো পর্যন্ত কেউ ভুলতে পারেননি। এমনিতে কোন ব্যক্তির পক্ষে সাহায্য ছাড়া ৪৫° হেলে যাওয়া অসম্ভব। কারণ আপনি যখনই ৪৫ ডিগ্রি হেলে যাবেন তখনই গ্রাভিটির টানে আপনি মাটিতে লুটিয়ে পড়বেন। কিন্তু এই কাজটি একেবারে অনায়াসে করে দেখাতেন মাইকেল জ্যাকসন।
তিনি কোনও দড়ি কিংবা লাঠির সাহায্য ছাড়াই খুব সহজে মাটির কাছাকাছি গিয়ে ৪৫ ডিগ্রি হেলে পড়তেন। মঞ্চে গান গাইতে গাইতে তিনি প্রায়শই তার এই ৪৫ ডিগ্রি হেলে পড়া মুন ওয়াক নামক ড্যান্সটি করে দেখাতেন। পপস্টার মাইকেল জ্যাকসন যখন তার এই নাচটি দেখাতেন তখন দর্শক আসনে থাকা দর্শকেরা অবাক চোখে তাকিয়ে দেখতেন আর ভাবতেন কিভাবে তিনি সম্ভব করছেন?
আসলে এর পিছনে রয়েছে একটি ম্যাজিক। বলা যেতে পারে রহস্য। আর এই রহস্যটির মূলে রয়েছে মাইকেল জ্যাকসন এর জুতো। এই ৪৫ ডিগ্রি হেলে পড়ার কায়দাটি তিনি সম্পূর্ণ জুতোর উপর ভর করে দেখাতেন। মাইকেল জেকসন তার যে ডিজাইনার তিনি তাকে বলেছিলেন তিনি এমন একটি মুভমেন্ট করতে চান যেখানে তিনি ৪৫ ডিগ্রি হেরে পড়বেন অথচ কোন কিছুর সাহায্য ছাড়া। পপ গুরু মাইকেল জ্যাকসনের এই আবদার মেটাতে গিয়ে ডিজাইনার আবিষ্কার করে বসেন ব্যতিক্রমী একটি জুতো। যে জুতোর সোলে এমন একটি সিস্টেম করা ছিল, যার সাহায্যে মাইকেল জ্যাকসন ৪৫ ডিগ্রি হেলে পড়তে পারতেন। এই জুতো পড়ে ৪৫° পর্যন্ত হেলে পড়লেও মাটিতে পড়ে যাবে না। ব্যাস এই জুতো আবিষ্কার হওয়ার পর জুতোটি পড়ে মঞ্চে মঞ্চে তাক লাগাতে থাকেন মাইকেল জ্যাকসন। এই জুতো পরেই তিনি তার মুন ওয়াক স্টেপটি আবিষ্কার করেন।
পায়ের পাতাকে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আঁকিয়ে বাঁকিয়ে নাচিয়ে, আচমকা ৪৫ ডিগ্রি কোণে হেলে পড়া ড্যান্স স্টেপটিকে মুন ওয়াক নাম দিয়ে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় করে তোলেন মাইকেল জ্যাকস।
Leave a Reply