ভোটে জিতেও শান্তিতে নেই অভিজিৎ গাঙ্গুলী! ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে বিস্তর টানাপোড়েন! সাধারণ সাংসদ হয়েই
কি থেকে যাবেন?
ভোটে জিতেও শান্তিতে নেই
অভিজিৎ গাঙ্গুলী!
ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে
বিস্তর টানাপোড়েন!
সাধারণ সাংসদ হয়েই
কি থেকে যাবেন?
হারিয়ে যাবেন
রাজনীতির চোরা পাকে?
নাকি শিখে ছিঁড়বে
প্রাক্তন বিচারপতির?
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী যবে থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তখন থেকেই তাকে নিয়ে জোর গুঞ্জন। তার মাথার উপর হাত রেখেছিলেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। অভিজিৎ গাঙ্গুলীকে জেতানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে গিয়েছেন শুভেন্দু বাবু। ভোটের ফলাফল বেরোতেই সার্থক হয় শুভেন্দু বাবুর পরিশ্রম। তমলুকের সমস্ত বিরোধী প্রার্থীকে বড় ব্যবধানের গোল দিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। আর অভিজিৎ গাঙ্গুলী জেতার পর থেকে আবার শুরু হয়ে যায় নতুন গুঞ্জন তিনি নাকি আইনমন্ত্রী হবেন। কিন্তু মন্ত্রী সভায় স্থান হলো না অভিজিৎ গাঙ্গুলীর।
প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে এক ঝাঁক মন্ত্রীদের মধ্যে দেখা যায়নি অভিজিৎ বাবুকে। বাংলা থেকে মোদির এনডিএ জোটে সামিল হতে দেখা গিয়েছে বাংলার পরিচিত মুখ সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুরকে। এদিকে এমন বর্ণময় এবং আলোচিত ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে মন্ত্রিসভায় দেখতে না পেয়ে রীতিমত আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গরাজনীতির অন্দরমহলে। চলছে বিস্তর কানাঘুষো।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তমলুক থেকে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জোর টক্কর দিয়ে তমলুকের মাটি নিজের পায়ের তলায় দেখেছেন অভিজিৎ বাবু। তমলুকের মাটিতে নব্য রাজনীতিবিদ হিসেবে যে জয় তিনি হাসিল করেছেন সে জয়ের ভিত্তিতে তিনিও প্রথম দিকে কোথাও গিয়ে যেন মনে করেছিলেন তাকে মন্ত্রী করা হবে। শুধু তিনি কেন বাংলার বিভিন্ন রাজনীতি বিশ্লেষকরাও বহুবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে অভিজিৎ গাঙ্গুলীর মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
কিন্তু রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ পাশা উল্টে গিয়েছে। অভিজিৎ গাঙ্গুলী মন্ত্রী হওয়া তো দূর তার নামও কেউ নেয়নি। যাইহোক এর ফলে প্রশ্ন উঠছে বিস্তর! তাহলে কি অভিজিৎ গাঙ্গুলী কি একজন সাধারন সাংসদ হয়ে থেকে যাবেন? শুধুমাত্র একজন সাংসদ হওয়ার জন্যই কি তিনি বিচারকের ময়দান ছেড়ে এত কাল ঘাম জড়িয়ে রাজনীতিতে এলেন? তবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়তো সময় এলেই বোঝা যাবে…….
Leave a Reply