নবীন পট্টনায়কের হারের পিছনে দায়ী এই একজন শ্রমিক! গত ২৪ বছরে যা কেউ পারেনি সেটাই করে দেখালেন ইনি
নবীন পট্টনায়কের হারের পিছনে
দায়ী এই একজন শ্রমিক!
যার কাছে গো হারা হারলেন,
বিজেডি নেতা!
যা কেউ পারেনি, সেটাই
করে দেখালেন এই শ্রমিক!
কে এই শ্রমিক?
কীভাবে হারালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে?
২০২৪ সালের লোকসভা ভোট এক কথায় ধাঁধা লাগিয়ে দিয়েছে। এক্সিট পোল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যৎ বাণী সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে এক অন্যরকম রেজাল্ট বেরিয়েছে। এই রেজাল্ট দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে ভাবাচ্ছে। তবে এবার লোকসভা ভোটের সাথে সাথে বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনও হয়েছে। সেই সমস্ত নির্বাচনেও এমন এমন কিছু পরিবর্তন এসেছে যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি হলো ওড়িশায় বিজেডি তথা বিজু জনতা দলের পরাজয়। ভাবতে পারছেন,,, টানা ২৪ বছর ধরে বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়ক যিনি এককভাবে ক্ষমতায় ছিলেন, সেই মানুষটিকে এবার হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর হারিয়েছেন কে? বিজেপির এক সামান্য নেতা।
কেউ কল্পনাই করতে পারেনি যে নবীন পট্টনায়ক হেরে যেতে পারেন। ২০২৪ সালে ওড়িশার বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন লক্ষণ নামের এক প্রার্থী। যিনি মোকাবিলা করেছেন বিজেডির হেভি ওয়েট প্রার্থী নবীন পট্টনায়কের সাথে। লক্ষণ নামের এই বিজেপি প্রার্থী নিজেও ভাবতে পারেননি যে, নবীন পট্টনায়কের জয় রথ তিনি থামিয়ে দেবেন। কিন্তু ফল ঘোষণার পর দেখা গেল একেবারে অন্য চিত্র। বড় অংকের ব্যবধানে নবীন পট্টনায়ককে হারিয়েছেন বিজেপির এই প্রার্থী।
আপনাদের জানিয়ে রাখি লক্ষণ নামের এই বিজেপি প্রার্থী তেমন কোনও ডাকাবুকো বিজেপি কর্মী নন। তিনি রাজনীতিতে ছিলেন তবে খুব একটা হাইলাইট হয়নি তার নাম। একসময় তিনি ছিলেন শ্রমিক। পেটের দায়ে মাত্র তিন টাকার বিনিময়ে করতেন মজুরের কাজ। এদিক ওদিক ঘুরেও কাজ জোটাতে পারেননি তিনি। এরপর শুরু করেন লরির খালাসির কাজ। সংসার টানতে একসময় গাড়ির স্টিয়ারিংও হাতে ধরেছিলেন। কিন্তু শেষমেষ ভাগ্য জুড়ে যায় বিজেপির সঙ্গে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার সম্পর্কে এই কথাগুলো বলেছেন। লক্ষণের বিশ্বাস মানুষ যদি সৎ পথে থাকে তাহলে জয় আসবেই।
Leave a Reply