বাংলায় কেন মুখ পুড়ল বিজেপির? পিছনে উঠে এলো ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ
বাংলায় কেন মুখ পুড়ল
বিজেপির?
পিছনে উঠে এলো
৩টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ
যা না জানলেই নয়
নির্বাচনের আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর মুখে বারে বারে শোনা গিয়েছে বাংলায় ৪২ এ ৪২ টি আসন দখলের কথা। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর, বিজেপির হাওয়া রীতিমতন টাইট হয়ে গিয়েছেন। ৪২ তো দূর উল্টে বাংলায় ম্যাজিক ফিগারই ছুঁতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূলের কাছে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। শুধু পশ্চিম বাংলা নয় গোটা ভারতবর্ষে এন ডি এ জোট খুব একটা ভালো ফল করেনি। এই নিয়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। এবার সামনে উঠে এলো 2024 এর লোকসভা ভোটে বিজেপির এমন ভরাডুবির ৩টি কারণ
এক, লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন বাংলায় বিজেপির অধঃপতনের পেছনে অন্যতম কারণ লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিজেপির বহুনেত্রীবৃন্দের মুখে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে। অনেকেই বলেছেন বিজেপি ক্ষমতাই এলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিজেপির অনেকেই বলেছেন লোকের ভান্ডার বন্ধ করে আরো ভালো প্রকল্প আনা হবে অথবা লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা আরো বাড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপি নেতৃবৃন্দদের এই সমস্ত কথা বাংলার মা-বোনেদের আরো বেশি করে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। বিজেপির এসব প্রতিশ্রুতিতে এক কথায় চিরে ভেজেনি। আর এইসবের রেজাল্ট পড়েছেন ভোট বাক্সে।
২, বাংলার মানুষকে এনআরসি দিয়ে ভয় দেখানো
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি বাংলায় বিজেপির এমন ভরাডুবির অন্যতম কারণ বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো বিজেপি প্রথম থেকেই বাংলার মানুষকে এনআরসি এবং সিএএ বিষয়ে ভয় দেখিয়েছে। অমিত সাহা প্রথম থেকেই বাংলায় এনআরসি চালু করবেন এমন হুংকার দিয়ে আসছিলেন এবং এখনো তিনি তার সেই বক্তব্যে স্থির রয়েছেন। তারা বারে বারে বলেছেন এন আর সি চালু হলে ভারতে হিন্দুদের কোন ভয় থাকবে না বরং ভারত বিরোধী মুসলমানদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপির এই গোটা বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। তৃণমূল বিজেপির বক্তব্যকে ম্যানিপুলেটেড করে বাংলায় এমন একটি ন্যারেটিভ সেট করেছে যেখান থেকে বারে বারে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে বিজেপি এলে এন আর সি চালু হবে আর এন আর সি চালু হলেই বাংলার মুসলমানদের মাথায় বাজ পড়বে। ব্যাস এই একটি বিষয় বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কি তৃণমূলের দিকে ধাবিত করেছে।
৩, বাংলায় বারে বারে কেন্দ্রীয় এজেন্ট পাঠানো
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২০২১ সাল থেকে প্রায় বহুবার বাংলায় কেন্দ্রীয় এজেন্ট পাঠিয়ে বাংলার নেতা মন্ত্রীদের হেনস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার। অনেক সময় এমনটাও হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে যে সমস্ত মন্ত্রীর বাড়িতে এজেন্ট পাঠানো হয়েছে তাদের অনেকের ব্যাপারেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভালো এবং স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। এইখানে গিয়েই মার খেয়েছে বিজেপি। এই বিষয়টি সাধারণ মানুষ একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি।
এ সম্পূর্ণ প্রতিবন্ধী বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পরিস্থিতি সাপেক্ষে অনুমান মাত্র।। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো যোগসূত্র নেই।
Leave a Reply