ক্যান্সার হয়েছে? কীভাবে জানাবেন পরিবারকে? কীভাবে শক্ত করবেন নিজেকে?
ক্যান্সার হয়েছে?
কীভাবে জানাবেন
পরিবারকে?
কীভাবে শক্ত করবেন
নিজেকে?
কোন ভুলগুলো
করবেন না?
ক্যান্সার বর্তমানে এই রোগটি সম্পর্কে আমরা কম বেশি সকলে অবগত। এই রোগের নাম শুনলেই আমরা প্রথমেই ভয়েস শিহরিত হয়ে যায়। ক্যান্সার রোগটি হলেই যেন মনে হয়, আর বোধহয় বাঁচা যাবে না। এরকম একটি মাইন্ড সেট রয়েছে আমাদের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে। অধিকাংশ রোগী ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কথা ভয়ে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে বলতেও পারেন না। আজকের এই প্রতিবেদন সমস্ত ক্যান্সার রোগীদের উদ্দেশ্যে।
শুরুতেই জানাবো ক্যান্সার হলে একটি প্রশ্ন আমাদের ভাবায় সেটি হল
আমরা কি আমাদের ক্যান্সারের কথা পরিবারকে জানাবো? জানালেও কিভাবে জানাবো?
এই নিয়েই আমাদের মনের মধ্যে চলে এক প্রবল বিশৃঙ্খলা।
এই মুহূর্তে আমাদের এই প্রতিবেদন যারা দেখছেন তাদের সকলের উদ্দেশ্যেই জানাবো বর্তমানে আমাদের দেশে ক্যান্সারের অনেক উন্নত এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হয়েছে। ক্যান্সার এখন একেবারেই দুরারোগ্য ব্যাধি নয়। সঠিক সময়ে সব দিক চিকিৎসা চালু হলে ক্যান্সার কেও হারানো যায়। তার ভুড়ি ভুঁড়ি দৃষ্টান্ত আমাদের চারপাশে রয়েছে। তাই প্রথমেই আপনাদের বলব আপনাদের মধ্যে যদি কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রথমেই নিজের পরিবারের সঙ্গে নিজের রোগটির বিষয়ে শেয়ার করুন। এক্ষেত্রে যদি প্রথম দিকে ইতস্তত বোধ হয় তাহলে প্রথমে বিশ্বস্ত কোনও বন্ধুকে জানান। বন্ধুকে সরাসরি বলতে অসুবিধা হলে বা সাহস না পেলে তাকে ইমেইল কিংবা মেসেজ করে নিজের রোগ সম্পর্কে বলুন। এরপর সে বন্ধুর সাহায্যে পরিবারের সঙ্গে বসে নিজের রোগ সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলুন। মনে রাখবেন আপনি যদি শক্ত মনে নিজের পরিস্থিতি হ্যান্ডেল না করেন তাহলে পরিবারের লোকেরাও তে অল্পতে ভেঙে পড়বে।
একটি দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের ভারতবর্ষের মতন দেশে ক্যান্সার হয়েছে শুনলেই সকলের নাক সিটকান। এমনকি যার ক্যান্সার হয়েছে তার বাড়ির লোকেরাও বিষয়টি নিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে। ক্যান্সার রোগীকে নিয়ে আমাদের সমাজে ফিসফাস শুরু হয়ে যায়। যাও অত্যন্ত বিরক্তিকর একটি বিষয়। যার ক্যান্সার হয়েছে তার পরিস্থিতি খারাপ না হলেও লোকে মুখে মুখে রটে যায় তিনি হয়তো স্বর্গবাসী হয়ে যাবেন খুব শীঘ্রই। এই বিষয়গুলো একজন ক্যান্সার রোগী এবং ক্যান্সার রোগীর পরিবারের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং হৃদয়বিদারক। বাইরের দেশে ক্যান্সার রোগী কি মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য সমাজও একশ শতাংশ অবদান রাখে। ক্যান্সার রোগীকে সুস্থ হয়ে উঠতে গোটা সমাজের অবদান থাকে। কিন্তু মন খারাপের বিষয় হল আমাদের ভারতের সমাজ ব্যবস্থা সেই পর্যায়ে এখনো পৌঁছায়নি।
এইসব ক্ষেত্রে আপনাদের জানাবো সমাজের এ ধরনের মানুষদের সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাবেন। এই কারণেই আপনাদের বলা হচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্ত হলে অবশ্যই পরিবারের সাথে শেয়ার করুন। কারণ বাইরের লোকের চেয়েও পরিবার আপনাকে সবথেকে বেশি সাপোর্ট করবে এবং তারা আপনার হয়ে বাকিদের জবাব দেবে।
ক্যান্সার হলেই কখনো ভেঙে পড়বেন না। মনে রাখবেন আপনি যদি মানসিকভাবে শক্তিশালী হন তাহলে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবেনা। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ক্যান্সার রোগীদের প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে মানসিক শক্তি। যে রোগী যত বেশি শক্তিশালী তিনি তত তাড়াতাড়ি কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারেন। ক্যান্সার হলেই যে রোগীর জীবন শেষ রোগী আর বাঁচবেন না এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। এই ধরনের ভুল চিন্তাভাবনা কখনো নিজের মধ্যে আসতে দেবেন না। । বরং ক্যান্সার কে হারিয়ে ক্যান্সারকে জব্দ করে দিনের পর দিন সুন্দরভাবে জীবন যাপন করছেন এমন অনেক মানুষ আমাদের সমাজে আমাদের চারপাশে রয়েছে।
আশা করি আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে আপনাদের কিছুটা হলেও পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে পেরেছি। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।
Leave a Reply