সুচিত্রা সেনের মুখোশ খুলেছিলেন বলিউডের এই নায়িকা! সুচিত্রা সেনের কারণেই নাকি বেধম মার খেয়েছিলেন তিনি

সুচিত্রা সেনের মুখোশ খুলেছিলেন বলিউডের এই নায়িকা! সুচিত্রা সেনের কারণেই নাকি বেধম মার খেয়েছিলেন তিনি

সুচিত্রা সেনের মুখোশ
খুলেছিলেন বলিউডের এই নায়িকা!

সুচিত্রা সেনের কারণেই নাকি
বেধম মার খেয়েছিলেন তিনি!

মহানায়িকার কারণেই
হারান প্রাণপ্রিয় স্বামীকে!

ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়
তার সাজানো সংসার!

ইনিই সুচিত্রাকে ঘর ভাঙানি মেয়ে
বলে কটাক্ষ করেন!

কে ইনি?
কি ঘটেছিল তার সঙ্গে?

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন, তিনি বাংলার গর্ব, জাতির গর্ব। সিনেমা বিশেষজ্ঞরা বলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মতন অভিনেত্রী কদাচিৎ আছেন। এই নায়িকার গুণ, প্রতিভা, ব্যক্তিত্ব আমাদের সকলেরই জানা। তাকে তো এমনি এমনি মহানায়িকা খেতাব দেওয়া হয়নি। বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন অমর থাকবে। কিন্তু মহানায়িকা সুচিত্রা সেন বাইরে যতটা দেখাতেন ভিতরে তিনি আদতে সেরকম ছিলেন না। মহানায়িকা সম্পর্কেও রয়েছে বেশ কিছু কালো অধ্যায়। সেই সমস্ত অধ্যায়ের একটি পাতা ফাঁস করেছিলেন বলিউডের এক স্বনামধন্য নায়িকা। আর এই নামজাদা নায়িকা হলেন রাখি। বিখ্যাত পরিচালক গুলজার সাহেবের স্ত্রী রাখি। পিঙ্কভিলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় রাখি এবং সুচিত্রা সেনের সম্পর্কের কথা।

রাখি জানান তার বৈবাহিক এবং সাংসারিক জীবন নষ্ট করার পেছনে একমাত্র দায়ী হলেন বাংলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। সুচিত্রা সেনের কারণে গুলজার সাহেবের কাছে রাখির গ্রহণযোগ্যতা এবং ভালোবাসা কমতে থাকে। সুচিত্রা সেন ইচ্ছাকৃতভাবে না হলেও নিজের অজান্তেই গুলজার সাহেবের হৃদয়ে স্থান দখল করে নেন। জানান রাখি। এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাখি জানান,,, একবার গুলজার সাহেব একটি সিনেমা তৈরি করেছিলেন , যার নাম ছিল আঁধি। এই সিনেমায় নায়িকা হিসেবে রাখি অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গুলজার সাহেব রাখিকে সিনেমার নায়িকা করেননি। তিনি রাখি কে স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই ছবিতে তিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকেই কাস্ট করবেন। এখানেই শেষ নয় গুলজার সাহেব আরো বলেন এই সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য মহানায়িকা সুচিত্রা সেনই একমাত্র পারফেক্ট। তিনি রাখিকে সুচিত্রা সেনের ধারে কাছেও যেতে পারবেন না বলে কটাক্ষ করেন। গুলজার সাহেবের এমন আচরণে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে রাখির। কিন্তু তিনি স্বামীর প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মান বজায় বিষয়টি মেনে নেন। কিন্তু এরপর যে ঘটনাটি ঘটে সেটি রাখি আর কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি।

আঁধি সিনেমার শুটিং স্পট চূড়ান্ত করার পর সিনেমার কলা কৌশলীদের নিয়ে একটি সাকসেস পার্টি দিয়েছিলেন গুলজার সাহেব। সেই পার্টিতে সিনেমার নায়ক সঞ্জীব কুমার মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের হাত ধরে টানেন। এই ঘটনার চরম প্রতিবাদ করেনি খোদ গুলজার সাহেব। এরপর তিনি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে নিজে হাত ধরে গাড়িতে তুলে হোটেলে দিয়ে আসেন। হোটেলের রুমের ভিতর গিয়ে সুচিত্রা সেনকে রেখে আসেন। আর ঠিক এই সময় সুচিত্রা সেন এবং গুলজারকে হোটেল রুমের দিকে একসঙ্গে ঢুকতে দেখে ফেলেন রাখি। এই ঘটনাই চরম খেঁপে ওঠেন তিনি। সাথে সাথেই শুরু করেন চিৎকার। এদিকে স্ত্রীর মান ভাঙ্গানো তো দূর উল্টে রাখিকে সুচিত্রার সামনেই সপাটে উত্তম মধ্যম দেন গুলজার সাহেব। ব্যস এই ঘটনার পরপর ভেঙে যায় রাখি এবং গুলজার সাহেবের সম্পর্ক। তবে সন্তানের কথা ভেবে তারা ডিভোর্স দেননি কিন্তু দুজনের ছাদ আলাদা হয়ে যায়। রাখি সর্বদা তার সংসার ভাঙ্গার পিছনে মহানায়িকাকেই দায়ী করে গেছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *