ক্যান্সার ছুঁয়েও ছুঁতে পারেনি এই ৫ ভারতীয়কে! উল্টে এই ৫ ব্যক্তিকে দেখে ক্যান্সার ভয়ে পালিয়েছে

ক্যান্সার ছুঁয়েও ছুঁতে পারেনি এই ৫ ভারতীয়কে! উল্টে এই ৫ ব্যক্তিকে দেখে ক্যান্সার ভয়ে পালিয়েছে

ক্যান্সার ছুঁয়েও ছুঁতে পারেনি
এই ৫ ভারতীয়কে!

উল্টে এই ৫ ব্যক্তিকে দেখে
ক্যান্সার ভয়ে পালিয়েছে!

এদের শরীরে
ক্যান্সারের বিষ ঢুকতে না ঢুকতেই
এক্কেবারে কুপোকাত!

ভারতের এই ৫ সুপার পাওয়ারফুল
মানুষ কারা?

তালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে
এই নামটিও

ক্যান্সার,,,,,,, নাম শুনলেই প্রাণ যেন কেঁপে ওঠে। এই রোগের নাম আসলেই ভয় পাওয়ার মতন। এ রোগের কবলে একবার যে পড়ে, তার বেঁচে ফেরা না মুমকিন হে। সত্যিই কি বেঁচে ফেরা মুশকিল? না বন্ধুরা। এতদিন আপনাদের ক্যান্সার সম্পর্কে নানা রকম তথ্য আমরা দিয়ে এসেছি। ক্যান্সারের থাবা থেকে বাঁচা যে কঠিন সে সম্পর্কে অনেক দৃষ্টান্ত আপনাদের সামনে রেখেছি। কিন্তু আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো ক্যান্সারকেও চোখ রাঙানোর সম্ভব। সব মানুষই যে ক্যান্সারের কাছে হেরেছে এমনটা নয়। আমাদের ভারতেই আছেন এমন পাঁচ ব্যক্তি যাদের কাছে ক্যান্সার হেরে গিয়েছে। যাদের দেখে ক্যান্সার বাপ বাপ করে পালিয়েছে। যাদের দেখে ক্যান্সারের রোগ জীবাণুরা বলেছে আমাদেরও মাঝে মাঝে হারতে হয়। আজি ৫ ভারতীয়র গল্প আপনাদের শোনাব। আসলে এই পাঁচ ভারতীয়র গল্প আপনাদের শোনাতেই হবে। এদের গল্প শুনলে আপনাদের মধ্যে যারা ক্যান্সার যোদ্ধারা রয়েছেন তাদের আত্মবিশ্বাস হাজারগুণ বেড়ে যাবে এটা আমাদের বিশ্বাস। আজকের এই প্রতিবেদনটি আমাদের সমস্ত দর্শকদের জন্য এবং বিশেষ করে যারা ক্যান্সার যোদ্ধারা রয়েছেন,,,, যারা ক্যান্সার সচেতক রয়েছেন তাদের জন্য। এই প্রতিবেদনটি শুরু থেকে শেষ অবধি মন দিয়ে দেখুন। সেই সঙ্গে আমাদের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

তালিকার একেবারেই শুরুতেই যে ভারতীয় রয়েছেন তিনি হলেন বলিউডের স্বনামধন্য নামজাদা অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। এই অভিনেত্রীর পরিচয় আলাদা করে আর দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। কর্ম জগতে থাকাকালীন তিনি তলপেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কিন্তু বিশ্বাস করুন ক্যান্সারের ছোবল এই অভিনেত্রীকে এক ফোঁটাও বিধ্বস্ত করতে পারিনি। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে শক্তিশালী মনীষা ক্যান্সারের মতন ভয়ংকর রূপকে কাবু করতে পেরেছেন। তিনি বিশ্বাস রেখেছিলেন নিজের উপর। চিকিৎসকরা প্রদর্শন বলেন ক্যান্সার রোগীরা ক্যান্সারের ছোবলে যতটা না মারা যান তার থেকেও বেশি মারা যান আত্মবিশ্বাসের অভাবে। এই অভিনেত্রী আত্মবিশ্বাসের জেরে এবং শক্তিশালী মানসিক পরিকাঠামোর উপর ভর করে ক্যান্সারের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন। এই অভিনেত্রীকে বাংলা হান্ট এর পক্ষ থেকে সেলুট জানাই।

তালিকার দুই নম্বরে রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। এই অভিনেতার ব্যাপারে আপনাদের আর কি বলব বলুন! সেই ৯০ দশক থেকে নিজের অভিনয় ক্যারিশমা দিয়ে গোটা হিন্দুস্তানকে দিওয়ানা বানিয়ে রেখেছেন এই হার্ট থ্রব অভিনেতা। কিন্তু এই ডাকা বুকো অভিনেতাও একসময় ক্যান্সারের কবলে পড়েছিলেন। ক্যান্সারের সঙ্গে জীবন মরণের লড়াই লড়তে লড়তে একসময় জিতে যান সঞ্জয় দত্ত ওরফে সঞ্জু বাবা। ফুসফুসের মতন ভয়ংকর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রায়ই মারাই যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওই যে আত্মবিশ্বাস, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক চিকিৎসার গুনে তিনি আজও পৃথিবীর বুকে সুস্থ ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সঞ্জয় দত্ত নিজেই তার ক্যান্সার জার্নির কথা বলতে গিয়ে বহুবার বলেছেন ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার ওপর ভরসা রাখা উচিত। তিনি বলেন, অধিকাংশ রোগী – ডাক্তারের বলা সেই কথা আপনার হাতে আর এতদিন সময় হয়েছে – এই বাক্যটিকে মনে প্রাণে ধরে নিয়ে মানসিকভাবে আগে থেকেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার চিকিৎসায় হাল ছেড়ে দেন। এই কারণে বহু রোগী চিকিৎসার আগেই উপরওয়ালার কাছে চলে যান। তাই যারা ক্যান্সার যুদ্ধটা রয়েছেন তাদের বলব সবাই কিন্তু সঞ্জয় দত্ত হতে পারে না। যদি সঞ্জয় দত্তের মতন এভাবেও ফিরে আসতে চান, তাহলেই দয়া করে আত্মবিশ্বাস বাড়ান। আত্মবিশ্বাস মনোবলকে এতটাই বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীকে যে কোন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।

তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন পরিচালক অনুরাগ বসু। যিনি বলিউডে বহু নাম জাদা সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এই মানুষটিও একসময় ক্যান্সারের সঙ্গে মারাত্মকভাবে লড়াই করেছিলেন। তার রক্তে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। ক্যান্সারের নাম শুনেই মানুষটি একটুও ভয় পাননি। বরং চিকিৎসকের পরশমর্শ নিয়ে পুরো দমে চিকিৎসা শুরু করেন। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ক্যান্সারকে হারিয়ে তিনি নিজে জিতে ফেরেন। অনুরাগ বসু তিনিও ক্যান্সার যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা এবং মনোবল বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

তালিকার চার নম্বরে রয়েছেন টলিউড অভিনেতা চন্দন সেন। বাংলার নাট্য জগতের অত্যন্ত পরিচিত মুখ। পর্দায় সকলকে হাসালেও বাস্তব জগতে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে গিয়ে তিনি যথেষ্ট পরিমাণে কেঁদেছেন। তবে তিনি শুধু কেঁদেছেন ভেঙ্গে পড়েন নি। বরং বারে বারে জিতে ফিরেছেন কেমোথেরাপির রুম থেকে। তিনি তার ক্যান্সার জন্মের কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন যতবার তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হতো তিনি ততবার নিজেকে বার্তা দিতেন প্রত্যেকটা কেমোথেরাপি তিনি সঠিকভাবে এবং সফলভাবে গ্রহণ করবেন। নিজেকে মানসিকভাবে উচ্চপর্যায়ে তৈরি রেখেছিলেন। আজ এই মানুষটি সুস্থ সবল ক্যান্সার মুক্ত। এই মানুষটিকে আমরা কুর্নিশ জানাই বাংলা হান্ট এর পক্ষ থেকে।

তালিকার সবার শেষে রয়েছে সোনালী বেন্দ্রে। ইনিও আর পাঁচটা সাধারণ ক্যান্সার রোগীর মতন প্রথমে ভয়ে সিঁটকে গিয়েছিলেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন শুনে ধরে নিয়েছিলেন আর বাঁচবেন না। কিন্তু পরবর্তীতে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য শুরু করেন কঠোর মেডিটেশন। সেই সঙ্গে চালু করেন চিকিৎসা। বড় বড় চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজের প্রতি আরো বেশি করে ধ্যান দিতে আরম্ভ করেন। এরপর ক্যান্সারকে তো তিনি আর ভয় পাননি, বরং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মারণাস্ত্র তৈরি করেন নিজের শরীরে।

বন্ধুরা এখন যে পাঁচ ভারতীয় গল্প আপনাদের বললাম তাদের ক্যান্সার জার্নি শুনে আপনাদের কি মনে হয়? ক্যান্সারের কাছে কি সবসময় হেরে যেতে হয়? আমরা কি চাইলেই ক্যান্সারের কাছে জিততে পারিনা? ক্যান্সারের কাছে জেতার জন্য সুচিকিৎসা যেমন দরকার তার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি পরিমাণে দরকার আত্মবিশ্বাস। ঠিক এই বার্তাটাই কিন্তু এই পাঁচজনের ক্যান্সার জার্নি থেকে উঠে আসে। ভাই আপনারা যারা আজকের এই প্রতিবেদনটি দেখছেন তারা আমাদের কমেন্ট করে জানান আমাদের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো। কুর্নিশ জানাই পৃথিবীর সমস্ত ক্যান্সার যোদ্ধাদের, যারা প্রতিনিয়ত এই রোগের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করে চলেছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *