ভোর ৩ টে থেকে ৪ টে নাগাদ কি ঘুম ভেঙে যাচ্ছে?
এটা কিসের লক্ষণ জানেন?
ভোর ৩ টে থেকে ৪ টে নাগাদ কি
ঘুম ভেঙে যাচ্ছে?
এটা কিসের লক্ষণ জানেন?
ভগবান কি আপনাকে
কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছেন?
উত্তর লুকিয়ে
জ্যোতিষ শাস্ত্রে
দেখুন
ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে আচমকাই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া, আমাদের অনেকের সাথে এটা প্রায়শই হয়ে থাকে। রাতে সঠিক সময়ে ঘুমিয়েও আচমকা ভোর রাতে এভাবে অনেকেরই ঘুম ভেঙে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফোনে এলার্ম না দিলেও কেউ ডেকে না দিলেও আপনা আপনি ঘুম ভেঙে যায়। আমরা অনেকেই এই বিষয়টিকে সাধারণ ভাবলেও জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই বিষয়টিকে অসাধারণ মনে করা হয়। করে আপনি হয়তো কখনও ভেবেও দেখেননি আপনার সাথে এটা কেন হয় এর পেছনে আদৌ কোন তাৎপর্যপূর্ণতা রয়েছে কিনা সেটা হয়তো আপনার জানা নেই। কিন্তু আজ আপনাদের জ্যোতিষ শাস্ত্রের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করব। আর আজ জ্যোতিষ শাস্ত্রের ব্যাখ্যা শোনার পর আপনারা এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা শুরু করবেন।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে ভোরবেলা অর্থাৎ ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম ভেঙে যাওয়াকে অত্যন্ত শুভ বলে মানা হয়। রাঁচির এক জ্যোতিষী নাম সন্তোষ কুমার চৌবে, তিনি এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন ব্রহ্মমুহূর্তে সবার ঘুম ভাঙ্গে না। ব্রহ্মমুহূর্তে কেবল তাদেরই ঘুম ভাঙ্গে যারা ভগবানের সান্নিধ্য পান। তিনি জানিয়েছেন যারা ব্রম্ম্য মুহূর্তে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তারা সব থেকে সৌভাগ্যবান। সন্তোষ কুমার এর ব্যাখ্যা থেকে আরো জানা গিয়েছে যে সমস্ত মানুষ ব্রহ্ম মুহূর্তে চোখ খোলেন তারা জীবনে বহু দূরে এগোতে পারেন। তাদের জীবনেকে আয়, উন্নতি, সাফল্য চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে। যে সমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রত্যাশা লক্ষ্য এবং স্বপ্ন থাকে ভগবান তাদেরকেই একমাত্র ব্রাহ্ম মুহূর্তে ওঠার জন্য তাগিদ জোগান। এই জ্যোতিষী আরো জানিয়েছেন যারা অত্যন্ত স্বপ্নপ্রেমী এবং কঠোর পরিশ্রমে তারা ব্রহ্মমুহূর্তে জেগে ওঠে।
তিনি আরো যুক্তি দিয়ে বলেন এই বিশ্বে যত গণ্যমান্য ব্যক্তি তারা প্রত্যেকেই ব্রহ্মমুহূর্তের শক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন। ব্রহ্মমুহূর্তে একটি পজিটিভ এনার্জি কাজ করে। এ সময় গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আন্দোলিত হয়। যদি এই সময় ইষ্ট দেবতার নাম জপ করা যায় তাহলে শরীরে অদম্য জেদ এবং শক্তির উৎপন্ন হয়। এই শক্তি এবং জেদকে কাজে লাগিয়ে সাফল্যের সিঁড়ি চড়া যায়।
Leave a Reply