দাদু মৃত্যু শয্যায়! তবুও সবার আগে মেকআপ করা জরুরী!

Title: দাদু মৃত্যু শয্যায়! তবুও সবার আগে মেকআপ করা জরুরী! নাতনির কাণ্ড দেখে হইহই রব নেটপাড়ায়

Focus:

হসপিটালে যাওয়ার আগে কিভাবে
মেকআপ করতে হয় জানেন?

জানেন না? তাহলে
এনাকে দেখে শিখে নিন!

দেখুন তো এই ভাইরাল
মেয়েটিকে চিনতে পারছেন কিনা?

( ভিজুয়াল দেখাতে হবে )

দাদু মৃত্যু শয্যায় লড়াই করছেন !

তবুও নাতনি মেকআপ
করতে ভুলছেন না!

তার মেকআপের
কাছে হার মানবে,

আচ্ছা আচ্ছা ব্রাইডাল
মেকাপ আর্টিস্টরাও!

নাতনির কান্ড দেখে
হতবাক নেটিজেনরা!

Body:

সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আজকালকার দিনে চলা অসম্ভব। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্দরে অন্দরে এমন কিছু ছড়িয়ে গেছে যা দেখলে হার্ট এমনি এমনি খুলে আসবে। এর আগে একবার শ্রাদ্ধ বাড়ির ব্লগ নিয়ে হইহই পড়ে যেতে দেখা যায়। সেই গুনধরিণীর কাণ্ড দেখে রীতিমত পেটে খিল ধরে যায়। এমনকি রাতারাতি সেই মেয়েটি ভাইরালও হয়। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছে আর একটি মেয়ে। যিনি মেকআপ করেই থুড়ি হসপিটালে যাওয়ার লুক ক্রিয়েট করে বিনোদনের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন।

( মেয়েটিকে দেখাতে হবে)

এতদিন বিয়ে বাড়ি যাবার মেকআপ শুনেছেন, এমনকি বার্থডে পার্টির মেকআপ শুনেছেন। কখনো কি শুনেছেন হসপিটালের মেকআপ। ঠিকই শুনছেন। আজকাল সমাজ মাধ্যমে এমনসব উদ্ভট কীর্তি কান্ড করতে দেখা যায়। যার জেরে ট্রোলের শিকার হতে হয়। আর যদি ভিডিও হয় দাদু মৃত্যু শয্যায়। আর নাতনি মুখে বিয়ে বাড়ির মেকআপ করে দাদুকে দেখতে যাচ্ছেন। তাহলে তো নেটনাগরিকরা খিল্লি উড়াবেই।

( ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখাতে হবে )

সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে এমনি একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে ভিডিওটিতে মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে মরণাপন্ন দাদুকে দেখতে যাওয়ার জন্য নিজের সুন্দর একটি লুক ক্রিয়েট করছেন। এমনকি ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, মেয়েটির দাদু নাকি মৃত্যু শয্যায়। দাদুকে শেষবারের জন্য দেখতে যাচ্ছেন নাতনি। তার দাদু নাকি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি। তবে হঠাৎ করে খবর এসেছে দাদুর অবস্থা নাকি খুবই খারাপ। কিন্তু প্রথমে তিনি ঠিক করেছিলেন দাদুকে দেখতে যাবেন না। তবে পরে নাতনির মনে হল দাদুকে একবার দেখেই আসা যাক। তাই দাদুকে শেষবার দেখতে যাওয়ার আগে কিভাবে মেকআপ করতে হয় সেটাই তিনি তুলে ধরেছেন।

আর এই কথা বলতে বলতেই তিনি একটি রানী কালারের প্রিন্টেড সালোয়ার পড়ে নেন। সেই সাথে ম্যাচিং কানের দুল, চোখে টানা টানা লাইনার, মুখে নানা রকমের প্রসাধনী, টিপ সব মিলিয়ে একেবারে বিয়ে বাড়ির লুক তৈরি করেন। এমনকি নাতনি সাজতে সাজতে আরো জানান যে এই দাদু তার নিজের দাদু নয়। আসলে একসঙ্গে তারা ভাড়া থাকতেন। আর সেই থেকেই দাদু তাকে নাকি ভীষণ ভালোবাসে এবং স্নেহও করেন। এমনকি ছোটবেলায় দাদু মজা করে তাকে বিয়ে করবে বলতেন। শুধু কি তাই দাদুর কাছে নাকি তিনি পেপসি খাওয়ার জন্য প্রতিদিন এক টাকা করে নিতেন। তবে তিনি ভিডিওতে দাবি করেন তার দাদুর নাকি এখনো মরার বয়স হয়নি। সবে নাকি ৮৮ বছর বয়স। এভাবে বলতে বলতেই নাতনি এক্কেবারে রেডি হয়ে যান।

( মেয়েটি সাজছে এবং কথা বলছে তা ভিডিওতেও দেখাতে হবে)

আর সেই ভিডিওই পোস্ট করেন তিনি। এমনকি ভিডিও ক্যাপশনে লেখা রয়েছে দাদুর অবস্থা খুব খারাপ তাই হসপিটালে দেখতে যাচ্ছি। ব্যাস এই ভিডিওটি পোস্ট হওয়া মাত্রই রীতিমতো ভাইরাল হতে শুরু করেছে। তার কান্ড দেখে অনেকেরই রীতিমত চক্ষু চড়ক গাছ। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিওর ভিউজ প্রায় মিলিয়ন পার করে ফেলেছে। এমনকি সেইসাথে কমেন্ট বক্সও ভরে গেছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, দাদুকে হসপিটালে দেখতে যাচ্ছে নাকি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে তা বোঝাই যাচ্ছে না। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এই নাতনিকে নাকি আগে হসপিটালে এডমিট করানো উচিত। আবার কেউ কেউ তাকে লেজেন্ড ওম্যান বলে আখ্যা দিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে নাতনির এই কন্টেন্টটি দেখে সকলেই বেশ মজা পেয়েছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *