আবারো সিবিআইয়ের খপ্পরে অদিতি মুন্সীর প্রাণনাথ!

Title: আবারো সিবিআইয়ের খপ্পরে অদিতি মুন্সীর প্রাণনাথ! উঠে এলেও দেবরাজের সম্পত্তির বহর! যা শুনলে জিভ খসে পড়বে আপনার!

Focus:

আবারো সিবিআইয়ের খপ্পরে
অদিতি মুন্সীর প্রাণনাথ

চরকির মতো
নাচাচ্ছে দেবরাজকে!

ঘাড়ের উপর চাপ বাড়ল
চাকরি চুরির মামলা!

তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এলো
দেবরাজের সম্পত্তির বহর!

কয়েকবছরে হু হু করে
বেড়েছে আয় উন্নতি!

ব্যাঙ্ক ভর্তি টাকা,
দামি দামি গাড়ি
সবই রয়েছে তাঁর নামে!

মিস্টার কাউন্সিলরের সম্পত্তির
পরিমাণ জানলে জিভ খসে পড়বে!

 

Body:

অদিতি মুন্সী! হরিনামে মঞ্চ মাতাচ্ছেন এই গায়িকা। আজ তার হাত ধরেই কীর্তন,,,,,,, সঙ্গীত জগতে এক আলাদাই নাম পেয়েছে। তবে তিনি শুধু একজন গায়িকাই নন একাধারে বিধায়ক তথা শাসকদলের অন্যতম নেত্রী। তবে এখন অদিতি নয় বরং সংবাদের শিরোনামে তাঁর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। যিনি কিনা একজন তৃনমূলের যুব সভাপতি। অতীতে যার নাম জড়ায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। আর এবার লোকসভা ভোট পর্ব চলাকালীন আবারো সিবিআইয়ের খপ্পরে অদিতির স্বামী।

সম্প্রতি তাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। সেইসাথে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় দেবরাজকে। তবে আগের দুবার সিবিআইয়ের ডাকা সাড়া দিলেও এবার হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আর এই আবহেই উঠে এসেছে দেবরাজ চক্রবর্তীর সম্পত্তির বহর নিয়ে। আমজনতাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তিনি ঠিক কত টাকার মালিক? ঘাস শিবিরে নাম লিখিয়ে কত টাকা কামিয়েছে তিনি?

আর এই প্রশ্নের উওর খুঁজতে গিয়েই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২১ সালের বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন অদিতি মুন্সী। আর সেইসময় নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে দেবরাজ চক্রবর্তীর সম্পত্তির পরিমাণ।

সেই হলফনামা অনুযায়ী দেবরাজের বার্ষিক আয় সম্পর্কে জানা গিয়েছে। আর সেই হলফনামায় উল্লেখ ছিল বিগত পাঁচ বছরের বার্ষিক আয়। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে দেবরাজের আয় ছিল ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৭৭ টাকা। এরপর ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তার বার্ষিক আয় হয়ে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭ টাকা। এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে পাঁচ বছরে তার আয় উন্নতি কতগুণ বেড়েছে।

দেবরাজের নামে সেইসময় দুটি সেভিংস অ্যাকাউন্টও ছিল। দুটি অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে জমা ছিল ৪৯ হাজার ৭৬৭ টাকা ৫২ পয়সা এবং আরেকটিতে ছিল ৬২, হাজার ৭৬ টাকা। এছাড়াও সেই হলফনামায় তার আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয় সিভিল কনস্ট্রাকশন ফার্মকে। এখান থেকে প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা পান বলেই জানা যায়। এমনকি একজন তৃণমূলের কাউন্সিলার হিসেবে তিনি যে বেতন পান তা তার রোজগারের অন্যতম অঙ্গ।

তবে হলফনামায় তাঁর স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির বিশেষ কিছুর উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তার নামে কোনো গাড়ি, বাড়ি নেই বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে স্ত্রী অদিতির নামে সেইসময় দুটি গাড়ি ছিল বলে জানা যায়।

হলফনামা অনুযায়ী দেবরাজ চক্রবর্তীর সম্পত্তির দখলে শুধুমাত্র ছিল ১৫০ গ্রাম সোনা। সেইসময় যার বাজার মূল্য যথাক্রমে ছিল ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তৃণমূলের দাপুটে কাউন্সিলর তথা যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৩ টাকা।

এরচেয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি তার সম্পত্তির সম্পর্কে। আরো একবার জানিয়ে রাখি এই সমস্ত তথ্য জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে অদিতি মুন্সির জমা দেওয়া হলফনামা থেকে। তবে বর্তমানে তার সম্পত্তি আরো বাড়তেও পারে, আবার কমতেও পারে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *