শুরু হয়ে গিয়েছে রেমালের দামাল!

Title: শুরু হয়ে গিয়েছে রেমালের দামাল! আর মাত্র কিছুক্ষণ, দানবীয় রূপে বঙ্গের বুকে আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন! নিমেষেই লন্ডভন্ড হবে সব!

Focus:

শুরু হয়ে গিয়েছে
রেমালের দামাল!

আর মাত্র কিছুক্ষণ, দানবীয় রূপে
বঙ্গের বুকে আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন!

নিমেষেই লন্ডভন্ড
হয়ে যাবে সব!

তৎপর হয়ে
উঠেছে প্রশাসন!

চলছে মাইকিং,
নেমেছে দুর্যোগ মোকাবিলা টিম!

কলকাতা সহ উপকূল জেলা
গুলিতে জারি রেড অ্যালার্ট!

প্রহর গুনছে
আবহাওয়াবিদরা!

কতটা সঙ্কটের মুখে বাংলা
দেখুন!

Body:

সময় যত এগোচ্ছে, মানুষের মনে ভয় তত বাড়ছে। আগেই জানানো হয়েছে রবিবার আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন রেমাল। আর রবিবার সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। আজ মধ্যরাতে দানবীয় রূপে আছড়ে পড়তে পারে বাংলা বুকে। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে রেমাল। প্রতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি গতিতে ধেয়ে আসছে মারমুখী ঘূর্ণিঝড়। আলিপুর আবহাওয়াবিদদের আপডেট অনুযায়ী, রবিবার রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে স্থলভাগের বুক চিড়ে আছড়ে পড়বে দামাল রেমাল। এখনো পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সাগরদ্বীপ থেকে আর মাত্র ২৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রেমাল। আর ক্যানিং থেকে মাত্র ২৮০ কিলোমিটার দূরে। তবে এই খবর আপনাদের কাছে যতক্ষণে কাছে পৌঁছে যাবে। ততক্ষণে দূরত্ব আরো কমে আসবে।

তবে মধ্যরাতে আছড়ে পড়লেও শহর কলকাতা জুড়ে সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। দফায় দফায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শুধু কলকাতা নয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে এই মুহুর্তে ভয়াবহ আপডেট জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তাদের মতে, সবচেয়ে বিপদের মুখে রয়েছে সুন্দরবন এবং পূর্ব মেদিনীপুর। এখনো পর্যন্ত বাংলা এবং বাংলাদেশের উপকূলেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। মধ্যরাতে সাগর দ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বাংলায় আছড়ে পড়লে নিমেষেই ভেসে যাবে সাগরদ্বীপ। স্থলভাগে আছড়ে পড়লে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। অতি শক্তিশালী রেমালের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩৫ কিলোমিটার বলেই জানাচ্ছে হাওয়াবিদরা।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর , উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবন বাসীদের। ইতিমধ্যেই উপকূল সংলগ্ন বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসাথে সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাথরপ্রতিমা কাকদ্বীপ, নামখানা ব্লকে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এমনকি কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়ে গেছে হেল্পলাইন নম্বর। দীঘা পর্যটকদের এই মুহুর্তে সমুদ্রে না নামার নির্দেশ দিয়েছে। দীঘার সমুদ্র রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে, বেড়েছে জলোচ্ছাসের দাপট। গোটা উপকুল এলাকা জুড়ে নজরদারি করছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। কখন কি ঘটে যেতে পারে সেই শঙ্কায় রয়েছে সকলেই। কলকাতা বিমানবন্দরের পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কতটা ভয়াবহ রূপ নেবে রেমাল তা আজ রাতেই জানা যাবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *