ঘোড়া কিংবা চারচাকায় নয়, বউকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে আসলেন!

Title: ঘোড়া কিংবা চারচাকায় নয়, বউকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে আসলেন! আকাশ পথে পাড়ি দিলেন বিয়ে করতে!

Focus:

ঘোড়া কিংবা চারচাকায় নয়!

বউকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে
নিয়ে আসলেন!

আকাশ পথে পাড়ি
দিলেন বিয়ে করতে!

মায়ের ইচ্ছে পূরণ
করতে করলেন একাজ!

হেলিকপ্টারে করে আসা
বউকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়!

এ যেনো আধুনিক যুগে
আধুনিক রাজপুত্তুর!

Body:

আগেকার দিনে ছোটবেলায় মা ঠাকুমাদের মুখে শোনা যেত। রাজপক্ষী চড়ে রাজপুত্ররা নাকি বিয়ে করতে আসতেন রাজকুমারীদের। তবে এখনকার মা ঠাকুমারা বলবেন হেলিকপ্টার চড়ে বিয়ে করতে আসছেন রাজকুমার। কি শুনে ভিমড়ি খেলেন! ভিমড়ি খেলেও একথাই সত্যি। এতদিন, ঘোড়ায় চড়ে, চার চাকায় করে বর বিয়ে করতে যেত। তবে এখন বর বিয়ে করতে যাচ্ছে হেলিকপ্টার চড়ে। এমনকি পালকি ছেড়েও বউ আসছে ওই হেলিকপ্টারে। মায়ের আবদার পূরণ করতে ছেলে করেছেন এই কাজ। বিয়েকে একেবারে ইতিহাসের পাতায় ছাপিয়ে রাখতে চান তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের শরীয়তপুর জাজিরা পৌরসভার তালুকদার কান্দি গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক তালুকদার ও জবেদা বেগম। এই দম্পতির চার ছেলে এবং তিন মেয়ে। ছোট ছেলে হচ্ছেন মহসিন তালুকদার, ছোটো হওয়ায় মায়ের বড়োই আদরের। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে মহসিন বিগত ৯ বছর ধরে কর্মসূত্রে মালয়েশিয়াতে থাকেন। বিয়ের জন্যই তার দেশে আসা।

বাড়ির ছোট ছেলের বিয়ে বলে কথা। আর সেই বিয়ে তো আর আতিপাতি ভাবে দেওয়া যায় না। তাই ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন হয়। পুরো গ্রাম আলোয় আলোকিত করে সাজানো হয়। তবে জবেদা বেগমের ইচ্ছে ছোট ছেলের বিয়ে যাতে স্মরণীয় হয়ে থাকে। গ্রামের লোকেরা যেন এই বিয়ে ভুলতে না পারে। তাই বিয়ের স্মরণীয় করার জন্য আনা হয় হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারে করে বউকে আসতে দেখে চক্ষু ছানাবড়া স্থানীয়দের। তথ্যসূত্রে জানা যায়, পাত্রী নাকি ওই জেলার পাশেরই উপজেলা জয়নগর ইউনিয়নের চরলক্ষীকান্ত পুর গ্রামের বাসিন্দা। জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে পলি আক্তারের সাথেই বিয়ে হয়। সময়মত বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। এবং বিয়ের পর পলি স্বামী মহসিন এর সাথে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়ি আসেন। হেলিকপ্টার থেকে নামতে না নামতেই উপচে পড়ে স্থানীয়দের ভিড়। জানা যায়, ভিড় এড়াতে মহসিন এর পরিবারের তরফ থেকে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যাতে করে বিয়ের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে না পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা। এরপর হেলিকপ্টার থেকে নামার পর জবেদা বেগম পুত্রবধূকে বরণ করেন।

এ বিষয়ে জবেদা বেগমের সাথে কথা বললে। তিনি জানান সব ছেলে মেয়েরই বিয়ে তিনি ভালোভাবেই দিয়েছেন। কিন্তু ছোট ছেলের বিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে চান। তার জন্য নববধূকে বরণ করে আনতে হেলিকপ্টার ভাড়া করেন। তিনি খুব খুশি হয়েছেন ছেলের এমন বিয়ে দেখে। তার মনের শখ পূরণ করেছে তার পরিবারের লোকেরা। এমনকি মহসিনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে,,,,,,, তিনি উত্তর দেন, বাবা মায়ের অনেক আগে থেকেই এই শখ ছিল। আজ এই শখ পূরণ করতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে।

তবে মহসিন এর পরিবারের লোকেরা এ বিষয়ে আনন্দিত হলেও। স্থানীয় বাসিন্দারা কিন্তু এখনো বিষয়টি ভুলতে পারেননি। কারণ একটা হেলিকপ্টার ভাড়া করা তো আর চারটে খানি কথা নয়। আর তা করতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই ঘোরে রয়েছেন তারা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *