বাংলায় রয়েছে এই একটিমাত্র পুকুর!

Title: বাংলায় রয়েছে এই একটিমাত্র পুকুর! যেখানে স্ত্রীরা একবার ডুব দিলেই বাড়ে স্বামীর আয়ু!

Focus:

বাংলায় রয়েছে এই
একটিমাত্র পুকুর!

যেখানে স্ত্রীরা একবার ডুব
দিলেই বাড়ে স্বামীর আয়ু!

স্বামী চলে আসে
হাতের মুঠোয়,

দাম্পত্য জীবনে উপচে
পড়ে ভালোবাসা!

বরের সোহাগে
ভরে যায় সংসার!

জাগ্রত এই পুকুরে স্নান করার
জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে দম্পতিরা!

Body:

সকল স্ত্রীরা চায় তার স্বামী যেন দীর্ঘায়ু হোক। আর তার জন্য দিনরাত ব্রত পাঠ করতে থাকেন। এমনকি প্রাণের প্রিয় স্বামীর জন্য নিজের জীবন টুকু দিয়ে দিতে রাজি। শুধু কি তাই, সকল স্ত্রীরা চায় তার স্বামী যেন হাতের মুঠোয় থাকুক। সেজন্য নানারকমের কৌশলও প্রয়োগ করে থাকেন। কিন্তু আজকাল এতকিছু করার পরও দাম্পত্য জীবনে সুখ যেন আসতে চায় না। দিনের শেষে সেই দাঁড়াতে হয় ডিভোর্সের দরজায়। তবে এবার এমন একটি পুকুরের খোঁজ পাওয়া গেছে যেখানে ডুব দিলেই আপনি হয়ে উঠবেন সৌভাগ্যবতী। বিয়ের পর এই পুকুরে স্নান করলে দাম্পত্য জীবনে সুখের বৃষ্টি শুরু হবে। আপনার স্বামী শুধুই আপনার হয়ে থাকবে! অন্য কোন স্ত্রী দিকে তাকানো তো দূর তার ছায়া পর্যন্ত মাড়াবে না। কথিত আছে এই পুকুরে স্নান করলে নাকি শাঁখা সিঁদুর অক্ষত হয়। আসলে পুকুরকে ঘিরে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনী। যা শুনলে আপনিও এই পুকুরে ডুব দিতে আসবেন।

আর এই পুকুর আর কোথাও নয় বাংলার বুকে অবস্থিত। মালদার নারায়ণপুর রয়েছে সেই পুকুর।আর এখানেই রয়েছে দেবকুণ্ড মন্দির। শোনা যায় এই পুকুরে স্নান করলে দাম্পত্য জীবন অক্ষয় হয়। বিশেষ করে নব দম্পতিরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে বিয়ের মুকুটমালা বিসর্জন করতে হয়। এরপর পবিত্র হওয়ার জন্য পুকুরে স্নান করা আবশ্যক। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, এই পুকুরে যে দম্পতিরা স্নান করেন। তাদের স্বামীদের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন স্ত্রীরা। গ্রামবাসীদের এই বিশ্বাসের পিছনে রয়েছে অনেক পুরনো এক কাহিনী। যে পুকুরের কথা আমরা বলছি তা আসলে একটি ছোট্ট নদী। নাম বেহুলা নদী। মনসামঙ্গল কাব্যে এই নদীর উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে সাপের দংশনে বেহুলা তার স্বামীকে হারিয়েছিল। সেই সময় নিয়ম ছিল মানুষ মারা গেলে দেহ জলে ভাসিয়ে দিতে হয়। আর লক্ষিন্দরের সাথে বেহুলাও এই ভেলাতেই চড়ে বসেন। স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে তিনি কারোর বাঁধা মেনে ছিলেন না। কাহিনী অনুসারে, এই নদীতেই নাকি স্বয়ং বেহুলা তাঁর স্বামী লখিন্দরের দেহ ভেলাতে করে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি এই দেবকুন্ড মন্দিরেই সকল দেবতারা লখিন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই থেকেই সকলের মনে বিশ্বাস এই মন্দিরে পুজো করে পুকুরে স্নান করলে স্বামীর আয়ু বৃদ্ধি পায়। এখনো পর্যন্ত অনেকেই নাকি এই পুকুরে স্নান করে ফল পেয়েছেন।

তবে এখন এই দেবকুণ্ড মন্দির বিএসএফ ক্যাম্পের ভিতরে। তাই প্রতিদিন এই মন্দিরে পূজো করার সুযোগ থাকে না। বছরের বিশেষ একটি সময় মন্দির খোলা হয়। শোনা যায়, প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বড় করে এই মন্দিরে উৎসব পালন করা হয়। আর সেই সময় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দম্পতিরা। সকাল থেকেই এই মন্দিরে ভিড় জমে। এমনকি ঢলে ঢলে স্ত্রীদের এই পুকুরে স্নান করতেও দেখা যায়। আজ পর্যন্ত যারাই এই পুকুরে স্নান করেছেন তারা সকলেই ফল পেয়েছেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *