রথ যাত্রার আগে ভয়ানাক সংকেত! হঠাৎ এ কেমন সংকেত? তবে কি ধ্বংসের পথে জগন্নাথ দেবের মন্দির?

রথ যাত্রার আগে ভয়ানাক সংকেত! হঠাৎ এ কেমন
সংকেত? তবে কি ধ্বংসের পথে জগন্নাথ দেবের মন্দির?

রথ যাত্রার আগে
ভয়ানাক সংকেত!

হঠাৎ এ কেমন
সংকেত?

তবে কি ধ্বংসের
পথে জগন্নাথ দেবের মন্দির?

জগন্নাথ মন্দিরের ঘটনায়
উত্তাল গোটা দেশ?

আজ থেকে ৫০০ বছর আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে নিয়ে যে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল,,, ২০২৪ সালের কলিযুগে এসে সেই ভবিষ্যৎবাণী যেন হুবহু মিলে যাচ্ছে। বর্তমানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভবিষ্যৎ বাণী লিপিবদ্ধ করা বইটি বেশ আলোচনায় রয়েছে। তার কারণ এর আগে এত ভবিষ্যৎবাণী কোনও গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করতে পারেনি। এই মুহূর্তে এই গ্রন্থের ৯ টি ঘটনা বর্তমানের বেশ কিছু ঘটনার সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। মূল কথায় যাওয়ার আগে দর্শকদের স্বাগত জানাই বাংলা হান্টের পর্দায়। ভিডিওটি দেখতে দেখতে আপনারা অবশ্যই কমেন্টে জয় জগন্নাথ লিখে, আমাদের উৎসাহিত করুন।

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে যে ভবিষ্যৎবাণীর গ্রন্থ রচিত করা হয়েছিল সেখানে এমন কিছু অলৌকিক এবং মহাজাগতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল যে, যা থেকে কলিযুগের শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে থেকে বেশ কিছু ঘটনা ইতিমধ্যেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দৃশ্যমান হয়েছে।

আসুন আজকের ভিডিওতে জেনে নিই, পুরীর মন্দিরে কোন ৫টি ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দেখা গেল …..

একেবারে শুরুতেই বলবো সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। আর সেটি হলো,,,, পুরীর জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় আচমকা ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি। ইতিমধ্যেই আপনাদের কানে পৌঁছে গিয়েছে এই ঘটনার কথা। তথ্য সূত্রে খবর,,,, রথযাত্রা উৎসবের আগে জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সেই উপলক্ষে পুরীর নরেন্দ্র পুষ্করিনী সরোবরে শতাধিক পুণ্যার্থী জমায়েত হন। আর সেখানেই বেশ কিছু ভক্ত আতশবাজি ব্যবহার করে। আচমকা সেই আতশবাজির ফুলকি এসে পড়ে বাজির স্তুপের উপর। আর তাতেই ঘটে ভয়ংকর ঘটনা। বাজির স্তূপের আশেপাশে থাকা ১০ থেকে ১৫ জন মানুষের গায়ের চামড়া রীতিমতন ঝলসে যায়। তড়িঘড়ি তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ভবিষ্যৎ বাণীর কথা। ভবিষ্যৎবাণীতেও বলা হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ঘটা মানেই বুঝতে হবে ভগবান জগন্নাথ দেব অসন্তুষ্ট। তিনি কোন ভয়ংকর ইঙ্গিত দেওয়ার কারণেই অগ্নিসংযোগ ঘটাচ্ছেন।

পুরীর দুই নম্বর রহস্যময় ঘটনাটি হল , ২০১৫ সালে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নবকল উৎসবে সংগঠিত পুরোহিতদের ঝামেলা। সেই বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে,,,,,, জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ নতুন করে বানানো হয়। এরপর বড় করে পালিত হয় নবকল উৎসব। কিন্তু এই উৎসবে গোল বাঁধাই পুরোহিতের দল। তারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। যার ফলে জগন্নাথ দেবের পুজো এলোমেলো হয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ের বহু পরে জগন্নাথ দেব পুজো পান। এই বিষয়টিকে পূর্ণর্থীরা জগন্নাথ দেবের অপমান হিসেবে দেখেছিলেন। ভবিষ্যৎবাণী তো বলা হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যখনই অনাচার ঘটবে তখনই বুঝতে হবে কলিযুগের আর বেশি দিন বাকি নেই। এই সংকেত একদিকে যেমন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অসন্তোষকে ইঙ্গিত দেয় তেমনি একই সাথে এই ঘটনা দুনিয়ার বিনাশ কালকেও ইঙ্গিত দেয়।

তিন নম্বর যে সংকেতটি সেটি হল পুরীর মন্দিরে ১৮৪২ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত বহুবার পাথর পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এক একটি পাথরের ওজন এক টনেরও বেশি ছিল। পুরীর মন্দিরে এই পাথর পড়ার ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, পুরীর মন্দিরে এরপর থেকে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটতে থাকে।

৪ নম্বরে রয়েছে আরো গুরুত্বপূর্ণ একটি সংকেত। পুরীর মন্দিরে একটি বৃক্ষ রয়েছে যার নাম কল্পতরু বৃক্ষ। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় এই বৃক্ষের নিচে দাঁড়িয়ে মানব করলে সেই মানব পূর্ণ হবেই হবে। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দরা এই কল্পতরু বৃক্ষের কাছে আসে শুধুমাত্র মানত পূরণের লক্ষ্যে। অনেকেরই এই কল্পতরু বৃক্ষে মানত করে মানত পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এই কল্পতরু বৃক্ষ একবার এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কল্পতরু বৃক্ষের ডাল ভেঙে যায়। আর এই ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে পড়েন পুরীর সেবায়েতরা। ভবিষ্যৎ বাণীতে বলা হয়েছিল যেদিন এই কল্পতরূপ বৃক্ষ ভেঙে যাবে সেদিন বুঝে নিতে হবে কলি যুগের আর বেশিদিন নেই।

৫ নম্বর সংকেতটি হলো, পুরীর মন্দিরের ধ্বজায় আগুন লেগে যাওয়া। একবার পুরীর মন্দিরের ধ্বজায় ভয়ঙ্কর ভাবে আগুন লাগে। এই ঘটনা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সবথেকে ভয়ংকর একটি সংকেত। ভবিষ্যৎবাণীতেও বলা হয়েছিল যেদিন পুরীর পতকায় আগুন লাগবে সেদিন বুঝে নিতে হবে খুব শীঘ্রই ঘনিয়ে আসছে অশনি সংকেত।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *