এক প্লেট ফ্রায়েড রাইস কেড়ে নিল একটি শিশুর প্রাণ!
ফ্রায়েড রাইস কেড়ে নিল এক মায়ের সন্তান
এক প্লেট ফ্রায়েড রাইস
কেড়ে নিল একটি শিশুর প্রাণ!
ফ্রায়েড রাইস কেড়ে নিল
এক মায়ের সন্তান!
শূন্য করে দিল
মায়ের কোল!
ভারতেই ঘটেছে
এমন মর্মান্তিক ঘটনা!
ঠিক কি হয়েছে
দেখুন
প্রতিদিন রাতে ফ্রাইড রাইস খেত ৭ বছরের ছোট্ট খুদে মেয়েটি। পাতে ফ্রাইড রাইস থাকলেই আর কিচ্ছু লাগতো না তার। অল্প ফ্রাইড রাইস হলেই তার পেট ভরে যেত। মায়ের কাছে প্রতিদিন আবদার করতো তাকে যেন ফ্রাইড রাইস দেওয়া হয়। প্রতিদিনের মতন সেদিনও রাতে মেয়ের পাতে ফ্রাইড রাইস, বেগুন ভাজা আর একটি সবজির তরকারি তুলে দেয় মা। টিভি দেখতে দেখতে দিব্যি ভাত খেয়ে নিচ্ছিল মেয়েটি। এতক্ষণ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু এরপর যা ঘটলো! তা রীতিমতো গায়ে কাটা দিয়ে দেওয়ার মতন। ভাত খেয়ে হাত ধোয়ার কিছুক্ষণ পরেই, ক্ষুদের নাক দিয়ে গল গল করে বের হতে থাকে রক্ত। বাচ্চাটির মা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে পড়েন। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তার মেয়ের সঙ্গে কি হচ্ছে। সুস্থ সবল মেয়ে কোথাও ব্যথা পাইনি, কোথাও আঘাতও লাগেনি তার। তাহলে কেন নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোবে? দিগবিদিক শূন্য হয়ে মেয়েকে নিয়ে সোজা দৌড় লাগান হাসপাতালে। কিন্তু এরপর? হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা , স্পষ্ট জানিয়ে দেন তার মেয়ে আর এই পৃথিবীতে নেই।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। সেখানেই
পূজা কুমারী নামক এক মহিলার ৭ বছরের মেয়ের সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন তদন্ত আধিকারিকেরা। কিভাবে ফ্রাইড রাইস খেয়ে ওই বাচ্চার প্রাণ চলে গেল সেই নিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান ওই বাচ্চাটির পাতে যে ফ্রাইড রাইস দেওয়া হয়েছিল সেই ফ্রাইড রাইস থেকে বাচ্চাটির পরিপাকতন্ত্র বিষাক্ত রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও আরো একটি ধারণা করা হচ্ছে এই খাবার থেকে কোন একটি বিষাক্ত কেমিক্যাল হয়ত ওই বাচ্চার পেটে ঢুকেছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও নড়েচড়ে বসেছেন। তারা জানাচ্ছেন ফ্রাইড রাইসের মতন প্রিজারভেটিভ খাবার শিশুদের জন্য কখনোই ভালো নয়। তবে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সম্প্রতি কিছুদিন আগেও এইরকমই বার্থডের কেক খেয়ে প্রাণ হারিয়েছিল এক শিশু।
মোটামুটি সমস্ত ঘটনা একসাথে বাধলে দেখা যাচ্ছে বাইরের খাবার শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই এই ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আরো বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আমাদের ঘরোয়া খাবারের প্রতি ভরসা বিশ্বাস এবং মনোযোগ রাখতে হবে।
Leave a Reply