বিশ্বের এই দেশে লাল লিপস্টিক নিষিদ্ধ! মেয়েরা লাল লিপস্টিক পড়লেই ঠোঁট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়

বিশ্বের এই দেশে লাল লিপস্টিক নিষিদ্ধ! মেয়েরা লাল লিপস্টিক পড়লেই ঠোঁট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়

বিশ্বের এই দেশে
লাল লিপস্টিক নিষিদ্ধ!

মেয়েরা লাল লিপস্টিক পড়লেই
ঠোঁট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়!

কেটে নেওয়া হয়
গোটা ঠোঁট!

লাল লিপস্টিক পড়লেই
পেতে হয় কঠোর শাস্তি!

কোন দেশে
ঘটে এমন আজব ঘটনা?

লিপস্টিক মেয়েদের অত্যন্ত প্রিয় একটি সাজের জিনিস। মেয়েরা আর যে রং লিপস্টিক পড়ুক না কেন, তাদের পছন্দের তালিকায় লাল রং সবার উপরে থাকে। কিন্তু আজকে যদি আপনাদের বলি এই লাল রঙের লিপস্টিক পড়লে আপনাদের ঠোঁট কেটে ফেলা হবে। লাল রঙের লিপস্টিক পরলে আপনাদের ঠোঁট জ্বালিয়ে দেওয়া হবে কেরোসিন দিয়ে। কি শুনে আপনাদের আত্মা কেঁপে উঠেছে তাই না? ঠিক এই বিষয়গুলো বাস্তবে ঘটে বিশ্বের একটি দেশে। বিশ্ব একটি ভয়ংকর দেশ রয়েছে যেখানে মেয়েরা ঠোঁটে লাল রং ছোঁয়ালেই আর রক্ষে নেই। সেই সমস্ত মেয়েদের ঠোঁট টেনে ছিড়ে ফেলে দেবে সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। আজ এই ভয়ংকর নিয়মটি রয়েছে উত্তর কোরিয়াতে। শুনেই গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেলেও এমনই কঠোর শাস্তি রয়েছে এই দেশটিতে।

এই দেশের শাসক কিম মেয়েদের জন্য লাল রঙের লিপস্টিক সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি তার দেশের মহিলাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তারা আর যে রঙের লিপস্টিক পড়ুক না কেন লাল রংয়ের লিপস্টিক যেন তাদের ঠোঁটে শোভা না পায়। কিন্তু কেন এই নিয়ম? কিসের জন্য কি কারণে লাল লিপস্টিককে ব্যান করা হয়েছে উত্তর কোরিয়াতে?

এর পিছনের কারণটা হলো, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের মতে লাল রং হলো ক্যাপিটালিজম এর সিম্বল। লাল রং ধনতন্ত্রকে নির্দেশনা দেয়। লাল রং উগ্রতার প্রতীক। উত্তর কোরিয়ার শাসক এই বিষয়গুলোর একেবারে বিপক্ষে থাকেন। তিনি ধনতন্ত্রের বিপরীতে অবস্থান করেন। আর তাই লাল রংয়ের প্রতি তার রয়েছে অসম্ভব পরিমাণ ঘৃণা। আর এই কারনে তিনি তার দেশের মেয়েদের লাল রঙের লিপস্টিক এবং লাল রঙ থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি তার দেশের মানুষদের জন্য আরও অনেক কঠিন কঠিন নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। যেমন কিমের দেশের মেয়েরা কেউ টাইট জিন্স পরতে পারেন না। দেশটির ছেলেরা যেমন তেমন করে হেয়ার স্টাইল করতে পারেন না। প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্ধারিত একটি হেয়ার স্টাইল। নিয়ম অমান্য করলেই যেতে হবে শ্রী ঘরে। তার সঙ্গে শ্রীঘরে অপরাধীকে দেওয়া হবে নানারকম কঠিন কঠিন শাস্তি।

ভাগ্যিস এইসব শোনার পর মনে হচ্ছে উত্তর কোরিয়াতে না জন্মে ভালোই করেছি। সুপ্রিয় দর্শক আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *