বিশ্বের এই ১টি দেশে কোনও মানুষ জন্মায় না! এখানে প্রাণের উৎপত্তি চিরতরে বন্ধ

বিশ্বের এই ১টি দেশে কোনও মানুষ জন্মায় না! এখানে প্রাণের উৎপত্তি চিরতরে বন্ধ

বিশ্বের এই ১টি দেশে
কোনও মানুষ জন্মায় না!

এখানে প্রাণের
উৎপত্তি চিরতরে বন্ধ!

টানা ১০০ বছর ধরে, এখানে
কোনো শিশুর জন্ম হচ্ছে না!

এমন আজব দেশটি
কোথায় আছে?

কি নাম দেশটির?

কি এই কথাগুলো শোনার পর একটু অবাক লাগছে তাই না? ভাবছেন পাগলের প্রলাপ বকছি? কিন্তু না আপনাদের অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি। এমন দেশের খোজ মিলেছে এই বিশ্বে। যেখানে গত ১০০ বছরে জন্ম হয়নি একটি শিশুরও। ভাবা যায়! দেশে মানুষ থাকবে অথচ তাদের বাচ্চা হবে না এটাও আবার হবে? এমনই আজও কাণ্ডকারখানা হয় একটি দেশে। আর এই দেশটি হল ইউরোপের ভ্যাটিকান সিটি। এমন আজব হারকাতের জন্য এই দেশটি গোটা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। গোটা বিশ্বের কাছে এই দেশটি একটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

চলুন আজকে আপনাদের জানাবো কেন এই দেশটিতে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে না। এর পিছনে আছে একটি বিশেষ কারণ। কারণটি শুনলে আপনারা বুঝতে পারবেন কেন এই দেশটিতে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে না। প্রথম কথা হল ভ্যাটিকান সিটি ক্ষুদ্র একটি দেশ। এই দেশের আয়তন মাত্র ১১৮ একর। এতটাই ক্ষুদ্র যে এই দেশটির আয়তন এখানে একটি হাসপাতাল গড়ে তোলাও সম্ভব নয়। আর হাসপাতাল না থাকলে সন্তানের জন্ম হওয়া অসম্ভব। বুঝতেই পারছেন। ফলস্বরূপ এখানে যারা বসবাস করেন তারা এখানে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না। আর তাছাড়াও ভ্যাটিকান সিটিতে কাউকে স্থায়ী নাগরিকত্বও দেওয়া হয় না। এই দেশের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এখানে পর্যটকেরা ঘুরতে আসতে পারবেন এই দেশটি দর্শন করতে আসতে পারবেন কিন্তু এই দেশে স্থায়ীভাবে পাকাপোক্তভাবে থাকতে পারবেন না। কারণ এই দেশটি স্থায়ীভাবে থাকার জন্য উপযুক্ত নয়। এখানে মানুসের বসবাসের জন্য কোনও পরিষেবা নেই। আর এই দেশে যাতে কেউ না জন্মাতে পারে এবং কাউকে যাতে নাগরিকত্ব প্রধান না করতে হয় ঠিক সেই কারণে এখানকার প্রশাসন এখানে সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

যদিও হয় এখানে এসে কেউ গর্ভবতী হয়ে পড়েন তাদের সকলকেই পাশের শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই দেশটি তাদের এই আজব কানুনের কারণে সর্বদা চর্চিত হয়ে আসছে।

সুপ্রিয় দর্শক আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর অবশ্যই জানাবেন আমাদের ভ্যাটিকান সিটির এই নিয়মটি আপনাদের কেমন লাগলো!


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *