আয়লা, আম্ফান থেকে রেমাল! বার বার মে মাসেই কেন আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়?

আয়লা, আম্ফান থেকে রেমাল! বার বার মে মাসেই কেন আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়?

আয়লা, আম্ফান থেকে রেমাল

বার বার মে মাসেই
কেন আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়?

অন্য কোনও মাসে
কেন হয় না?

এর নেপথ্যে আসল
কারণটা কী?

জানুন

বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই ঘূর্ণিঝড় রেমালকে নিয়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আরও ভয়ংকর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। এই নিম্নচাপটি আগামীতে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী রবিবার, ঘূর্ণিঝড় রেমাল সাগর আইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও সাগর দ্বীপের মাঝে আছড়ে আঘাত হানবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারত বাংলাদেশের উভয় দিকের সুন্দরবন অংশে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হবে। পশ্চিমবঙ্গের দীঘা সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে এই ঘূর্ণিঝড়ের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। সমুদ্র সংলগ্ন বাঁধ ভাঙ্গার বিপদ সংকেতও রয়েছে। কিন্তু একটি বিষয় বেশ লক্ষ্যনীয়। এখনো পর্যন্ত যত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে,, সমস্ত ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম লগ্ন মে মাস। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ নয়, মে’তেই বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, বা হয়ে থাকে। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের,,, মে মাসে কেন বারে বারে ঘূর্ণিঝড় হয় সেই বিষয়ে জানাতে চলেছি।

এই বিষয়টি খোলসা করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়াবিদদের মতে ঘূর্ণিঝড় সবসময় মে মাসেই হতে হবে বা হবে এমনটা কিন্তু নয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মে মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের আঁচড় সবচেয়ে বেশি পড়ে। তার কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে মে মাস এমন একটি সময়কাল যা ঘূর্ণিঝড় তৈরীর ক্ষেত্রে অনুকূল সময়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হয় লো প্রেশার বা নিম্নচাপ থেকে যাকে বলা হয় সাইক্লোজেনেসিস। এই সাইক্লোজেনেসিস তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিস্থিতির প্রয়োজন পড়ে।। যার মধ্যে একটি হল ওয়ার্ম সি সারফেস টেম্পারেচার। নিম্নচাপ যখন পরিবেশ থেকে ওয়ার্ম সার্ফেস টেম্পারেচার নামক পরিস্থিতিটিকে খুঁজে পায় তখন ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দিতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন এই সময়কালে সি সারসেস টেম্পারেচার নামক পরিস্থিতি সবথেকে বেশি অ্যাক্টিভ থাকে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানতে চাইবেন এই সি সারফেস টেম্পারেচার আসলে কি? এই সি সারফেস টেম্পারেচার হল সমুদ্রের উপরের জলভাগের তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল, মে জুন এই সময়গুলোতে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার একটি অনুকূল পরিস্থিতি তো বজায় থাকেই,,,, কিন্তু অনেক সময় বর্ষার কারণে এই ঘূর্ণিঝড় বাধা প্রাপ্ত হয়ে ফিরে যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *