মাছ খেয়েই এক রাতে যুবতী থেকে হলেন বুড়ি! বয়স ২৬ বছর থেকে হয়ে গেল ৬০, কপালে হাত স্বামীর
মাছ খেয়েই এক রাতে
যুবতী থেকে হলেন বুড়ি!
বয়স ২৬ বছর থেকে
হয়ে গেল ৬০!
কপালে হাত
স্বামীর!
হায় হায় রব
গোটা পরিবারে!
প্রতিদিনের মতন বেশ আনন্দ করে মাছ রান্না করেছিলেন এই মহিলা। তিনি মাছ খেতে বড্ড ভালবাসেন। রাতের বেলা ডিনারে মাছ খেয়ে শুয়ে পড়েন তিনি। এতক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধলেও সকাল বেলা। রাতের বেলা মাছ খেয়ে তো মহিলা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ঠিকই কিন্তু সকালে উঠে এই কি হলো মহিলার সাথে? এতো মহিলা নয় যেন আস্ত বুড়ি! রাতের বেলা মাছ খাওয়ার পরেই সকাল বেলা হয়ে গেলে অবিকল এক বৃদ্ধা মহিলা। প্রথমদিকে মহিলা কিছুই বুঝতে পারেননি। তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। তার স্বামী ঘুম থেকে উঠেই চোখ খুলে দেখেন বিছানায় তার স্ত্রীর নয় স্ত্রীর জায়গায় রয়েছে কোন এক বৃদ্ধা মহিলা। প্রথম দিকে ওই মহিলার স্বামী কিছুই বুঝতে পারেননি। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে উঠেন। এরপর বৃদ্ধা মহিলা ভাবা নিজের স্ত্রীকে ডাকেন। আর তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় সমস্ত কিছু। বৃদ্ধা মনে করা সেই মহিলার গলা দিয়ে বেরোই স্ত্রীর মতন আওয়াজ। এরপর ওই মহিলার স্বামী বুঝতে পারেন তার স্ত্রীর সঙ্গে কিছু একটা গন্ডগোল ঘটেছে।
তড়িঘড়ি স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান চিকিৎসকের কাছে। সেখানে গিয়েই বুঝতে পারেন তার স্ত্রীর সঙ্গে কত বড় বিপদ ঘটে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই মহিলা ডাক্তারের কাছে খুলে বলেন রাতের বেলা তার স্বামী একটি সামুদ্রিক মাছ এনেছিলেন। যেটি রান্না করে খেয়েদেয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। তারপরে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তিনি উপলব্ধি করেন তার সারা গায়ে চুলকানি হচ্ছে। সারা গায়ের চামড়ায় বয়স্কদের মতন ছাপ পড়তে আরম্ভ করে। আর তারপর সময় যত গড়াতে থাকে ততই চামড়ার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। অবশেষে সহ্য করতে না পেরে স্বামীর সঙ্গে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি। চিকিৎসকরা ওই মহিলার চিকিৎসা করে জানান তিনি ভয়ঙ্কর একটি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যে চর্ম রোগের সূত্রপাত ঘটেছে সামুদ্রিক মাছ থেকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামে। আক্রান্ত মহিলার নাম থি ফুয়ংয়।
চিকিৎসা করে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওই মহিলা রাতের বেলা যে সামুদ্রিক মাছ খেয়েছিলেন সেই মাঝ থেকেই বিশেষ একটি চর্ম রোগের সংক্রমণ হয়েছে। আর এই চর্মরোগটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এই চর্মরোগটির বৈশিষ্ট্য হল চামড়াকে মুটিয়ে দেওয়া। চামড়ার উপর বয়সের ছাপ ফেলে দেওয়া। চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওই মহিলা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে। যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ চিকিৎসা চালান তিনি। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়ে এই যে হাজারো চেষ্টা করেও ওই মহিলার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে ওই মহিলাকে নিয়ে হাল ছাড়েননি তার স্বামী। এখনো স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply