Title: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভেতর ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি! বৃষ্টির দাপটে ছাতা মাথায় ধরতে হলেও ট্রেন যাত্রীদের!
Focus:
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের
ভেতর ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি!
বন্দে ভারত তো নয়
এযেন ওয়াটার পার্ক!
বৃষ্টির দাপটে ছাতা মাথায়
ধরতে হল ট্রেন যাত্রীদের!
গরমে নতুন অভিজ্ঞতা
তৈরি হলো যাত্রীদের!
হঠাৎ কি এমন হলো?
যার জন্য এমন কাণ্ড ঘটলো!
দেখুন
Body:
কখনো ট্রেনের ভিতর বৃষ্টি হতে শুনেছেন। শোনেননি নিশ্চয়ই! তবে এবার সত্যি সত্যি ট্রেনের ভেতর বৃষ্টি নামলো। তাও আবার কিনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। ভারতীয়রেলের মধ্যে সবচেয়ে ফার্স্ট ক্লাস ট্রেন হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অনেকের কাছে এই ট্রেন যেন রাজপক্ষীর মতন। এই পক্ষীরাজে একবার চড়তে পারলেই ষোলোকলা পূর্ণ। দেশের সেমি হাইস্পিড ট্রেনে চড়াও চাট্টিখানি কথা নয়। বেশ মোটা অংকের টাকা খরচ করে তারপর এই ট্রেনে চড়ার সৌভাগ্য হয়। তবে এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যে শুরু হলো বৃষ্টি। ট্রেন থেকে হয়ে গেলো সুইমিং পুল! বৃষ্টি মাথায় ছাতা ফুটিয়ে ট্রেনে সফর করতে হলো যাত্রীদের। তবে এমন অবস্থা দেখে ক্ষেপে লাল ট্রেন যাত্রীরা। রীতিমত দুষতে শুরু করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে।
যারা যারা ভাবছেন ট্রেনের ভেতর বৃষ্টি হচ্ছে এমনটা নয়! আসলে ট্রেনের এসি খারাপ হয়ে গিয়ে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যাত্রীদের। শিলিগুড়ি থেকে হাওড়াগামী বন্ধে ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যেই এসি বিভ্রাট। আর যার জেরে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে ট্রেন যাত্রীদের। তবে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে শেষ পর্যন্ত ছাতা মাথায় সিটে বসে থাকতে হয়।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে হাওড়া বন্ধ ভারত এক্সপ্রেসের সি ১৩ কামরায় এসি বিকল হয়ে পড়ে। ওই কামরায় এসি বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে সেখান জল পড়তে শুরু করে। তথ্যসূত্রে জানা যায়, মালদা স্টেশনের পর থেকেই এমন ঘটনা ঘটতে শুরু হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে জলের গতিবেগ বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত কামরার ভেতর ছাতা ফুটিয়ে বসে থাকতে হয়। ঘটনা সূত্রে আরও জানা যায় ট্রেনটি বোলপুর স্টেশনে ঢুকতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি রেলকর্মীরা এসে জল মুছে অবস্থা কিছুটা হাতের নাগালে আনার চেষ্টা করেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মত ফার্স্ট ক্লাস ট্রেনে এমন পরিষেবা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য? ট্রেনের একাংশ এমন পরিষেবা পেয়ে অভিযোগ করেন এত এত টাকা দিয়ে টিকিট বুকিং করার পরেও এমন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাহলে সত্যি এরপর থেকে ফার্স্ট ক্লাস ট্রেনে চড়তে গেলে দুবার ভাবতে হবে। আবার অন্য দিক থেকে ওই ট্রেনের এক যাত্রী অভিযোগ করেন, তিনটের সময় সে ট্রেনে উঠেছিলেন। তারপর থেকেই নাকি এসি খারাপ হয়ে যায়। আধঘন্টা পর টিটির কাছে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে দুজন কর্মচারী আসেন। কিন্তু আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলে তারা ফের চলে যান। এরপরই এসি থেকে জল পড়া শুরু হয়। প্রথমে কামরার পিছন দিকে জল পড়তে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে সামনের দিকে জল আসতে থাকে। একসময় ট্রেন রীতিমতো জলে ভরে ওঠে। যাত্রীদের এমন অভিযোগ শুনে বোঝা যাচ্ছে যে তারা এমন পরিষেবা পেয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ।
Leave a Reply