সাধারণভাবে, জন্মগ্রহণ করেননি নরেন্দ্র মোদী! বিরল মহাজাগতিক পদ্ধতিতে জন্ম মোদীর
সাধারণভাবে,
জন্মগ্রহণ করেননি নরেন্দ্র মোদী!
বিরল মহাজাগতিক
পদ্ধতিতে জন্ম মোদীর!
স্বয়ং পরমেশ্বরের সঙ্গে
যুক্ত তিনি!
এবার ফাঁস করলেন
নিজের জন্ম রহস্য!
প্রধানমন্ত্রীর জন্ম রহস্য শুনে
হৈ চৈ দেশজুড়ে
গোটা দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট নিয়ে একেই উত্তপ্ত রাজনীতির অন্দরমহল। তারই মধ্যে নতুন করে পারদ চড়ালেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। সর্বদা কোনো না কোনো মন্তব্য করে তিনি আলোচনায় এমনিতেই উঠে আসেন। তবে এবার যে মন্তব্য তিনি করেছেন তা শুনে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। যাকে বলে একেবারে হৈ হৈ কান্ড রৈ রৈ ব্যাপার আর কি! এবার নরেন্দ্র মোদি তার জন্ম বৃত্তান্ত সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। সর্বসমক্ষে জানালেন তার জন্ম কিভাবে হয়েছে।
সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করা হয়, দিনের ২৪ ঘন্টায় তিনি দেশ সেবার কাজে নিয়োজিত থাকেন, এত অফুরন্ত শক্তি তিনি কোথা থেকে পান?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই নরেন্দ্র মোদি তার জন্ম বৃত্তান্তের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। নরেন্দ্র মোদির উত্তরের ব্যাখ্যা ঠিক এমন ছিল_ তিনি বলেন যে তার মা যশোদা বেন যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন পর্যন্ত তিনি অনুভব করেছিলেন যে তিনি মানব শরীর থেকে জন্ম নিয়েছেন। তিনি নিজেকে মানবজাতির অঙ্গ বলে মনে করতেন। কিন্তু তার মায়ের স্বর্গলোক হওয়ার পর থেকেই তিনি অনুভব করতে থাকেন যে তিনি আর মানব নন। তিনি ঐশ্বরিক শক্তিতে বিলীন হয়েছেন। মায়ের অবর্তমানে তিনি নিজেকে ঈশ্বরের মানস সন্তান বলে মনে করেন। তিনি আরো যোগ করেন তার মধ্যে যে মানবসেবার এত শক্তি এই সমস্ত শক্তি তিনি সৃষ্টিকর্তার থেকে আদায় করেছেন। তিনি বলেন উপরে যিনি আছেন তিনি তাকে দিয়ে সেবা সুশ্রূষার কাজ করাচ্ছেন। মূলত মোদির এই বক্তব্যের পরেই শুরু হয় শোরগোল।
বিরোধীদের তরফ থেকে ধেয়ে আসে কটাক্ষ। বিরোধীদের অনেকেই বলেন মোদি কিভাবে একজন মানব সন্তান হয়ে নিজেকে ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী বলে দাবি করতে পারেন? বিরোধীদের মতে মোদি এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সুপ্রিমা শ্রীনেত বলেন ,
“বিজেপি নেতারা সুপরিকল্পিত ভাবে প্রচার করে মোদিকে ঈশ্বরের অবতার হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোদি নিজেও বলছেন তিনি পরমাত্মার দূত। একই ভাবে হিটলারের প্রচারযন্ত্র তাঁকে ঈশ্বরের দূত বলত। এটাই স্বৈরাচারীদের লক্ষণ।”
Leave a Reply