Title: খোলা হাটে বাজারে বিক্রি হচ্ছে কিলো কিলো টাকা! আলু পটলের মত রাস্তায় ঢেলে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে তা
Focus:
খোলা হাটে বাজারে বিক্রি হচ্ছে
কিলো কিলো টাকা!
আলু পটলের মত রাস্তায়
ঢেলে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে তা!
টাকার বিনিময়েই
পাওয়া যাচ্ছে সেই টাকা!
৫০০ থেকে ১০০০ টাকা সবই
পাওয়া যাচ্ছে বস্তায় বস্তায়!
রমরমিয়ে চলছে
এই টাকার ব্যবসা!
এমন বিচিত্র দেশ আর
একটিও পাবেন না!
কোথায় চলছে এমন কীর্তি?
আর কি কি হচ্ছে ভেতরে?
দেখুন
Body:
টাকা চাই গো! টাকা, পেয়ে যাবেন কড়কড়ে নোট। টাকা কিনেই হয়ে যাবেন কোটিপতি! কিন্তু টাকা চাইলেই তো আর টাকা পাওয়া যায় না? আবার এদিকে কোটিপতি হওয়াও চাট্টিখানি কথা নয়? তাই না? কারণ হাটে বাজারে তো আর টাকা পাওয়া যায় না,,,,,,,যে যখন ইচ্ছা যাব আর কিনে নেব। কিন্তু এবার হাটে বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যখন ইচ্ছা কিনেও নিয়ে আসা যাচ্ছে তা। এতদিন আলু পটল বিক্রি হয়, জামা কাপড় বিক্রি হয়, এমনকি সোনা বিক্রি হয় শুনেছেন। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন টাকা বিক্রি হয়? হ্যাঁ ঠিকই বলছি টাকাও বিক্রি হয়। কি শুনে মনে হচ্ছে গাঁজাখুরির গল্প বলছি! না এটা গল্প নয় বাস্তব। এমন কি কোন জাল কিংবা নকল টাকা বিক্রি হচ্ছে না। একেবারেই আসল টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই দেশে। আপনিও চাইলে কিনে আনতে পারেন সেই টাকা। আলু পটলের মত ঢেলে ঢেলে ব্যবসায়ীরা চালাচ্ছেন এই ব্যবসা। কোথায় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে টাকা? কিভাবেই কিনছেন লোকেরা।
টাকা বিক্রি হচ্ছে আফ্রিকার ছোট্ট একটি গ্রাম সোমালিল্যান্ডে। আফ্রিকায় চালু টাকা বিক্রির ব্যবসা। এমন ব্যবসা পৃথিবীর আর কোথাও হয় না। রাস্তায় সারি সারি ব্যবসায়ীরা বসে হাঁক দিয়ে দিয়ে লোক ডাকেন। মূলত বিনিময় প্রথার মাধ্যমে টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। হ্যাঁ প্রাচীন যুগে অবশ্য এমন প্রথার মাধ্যমে জিনিসপত্র কেনাবেচা হতো। তবে এই ডিজিটাল যুগে দাঁড়িয়ে যে এমনটা হবে সেটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এমন টাকা বিক্রির পিছনে রয়েছে অবশ্য একটি কারণ। তথ্যসূত্রে জানা যায় এই মুহূর্তে আফ্রিকার আর্থিক কাঠামোর অবস্থা একেবারেই সংকটের মুখে। বিশেষ করে সোমালিল্যান্ড যেনো হাবুডুবু খাচ্ছে অর্থের কারণে। আর দেশের করুণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্যই বিক্রি করতে হচ্ছে টাকা। সোমালিল্যান্ডের টাকাকে বলা হয় শিলিং। আর এই শিলিং একেবারে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। যারফলে জোরে জোরে কপাল চাপড়াচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, মার্কিন এক ডলারের বিনিময়ে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে যাওয়া হচ্ছে কেজি কেজি টাকা। এক মার্কিন ডলার নাকি ১০০০০০ শিলিংয়ের সমান। ভারতীয় মুদ্রায় এক ডলার মানে ৮৩ থেকে ৮৪ টাকা। আর এই মাত্র কয়েক টাকা বিনিময় করে হাতে উঠে আসে কেজি কেজি টাকা। তাহলে বুঝতেই পারছেন আফ্রিকায় টাকার মূল্য ঠিক কতখানি। দিনের পর দিন শিলিংয়ের মূল্য কমতে থাকায় আজ সোমালিল্যান্ডের এমন পরিস্থিতি। এমনকি চোরেরাও এই টাকা চুরি করতে চায় না। কারণ এই টাকার বিনিময় তারা কিছু তো পাবেই না বরং উল্টে ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয় শিলিং নাকি এতটাই মূল্যহীন যে কোন নিরাপত্তা ছাড়াই সেখানে টাকা বিক্রি হচ্ছে। ফলত রাস্তার পাশে লাইন দিয়ে একের পর এক ব্যবসায়ী টাকা বিক্রি করলেও কেউ ঘুরেও তাকায় না। এমনকি সেখানকার লোকেরা কিছু কিনতে গেলে মানিব্যাগ নয় বরং টাকার বস্তা নিয়ে বেরোয়। কারন আমাদের কাছে ১০ টাকার মূল্য থাকলেও। সোমালিল্যান্ডে ৫০,০০০০ শিলিংয়েরও কোনো মূল্য নেই।
Leave a Reply