Title: মাধ্যমিক পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশের ১৫ দিন পর বড় রায় হাইকোর্টের! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ঘাড় এক্কেবারে মটকে দিয়েছে !
Focus:
মাধ্যমিক পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশের
১৫ দিন পর বড় রায় হাইকোর্টের!
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ঘাড়
এক্কেবারে মটকে দিয়েছে !
SSC এর পর এবার
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ঘুম কেড়েছে হাইকোর্ট!
এক রায়ে থমকে গেছে সব!
হঠাৎ কি এমন হলো?
যার জেরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
কাল ঘাম ছুটছে!
দেখুন
Body:
একেই SSC দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল পাতাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মাঝে হাইকোর্টের নয়া রায় টনক নাড়িয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। সম্প্রতি ২০২৪ সালের মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রতিবছরের মত এ বছরও সেরা ১০ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। সকলেই দারুণ নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন এ বছর। তবে ফলাফল প্রকাশের দিন ১৫ কাটতে না কাটতেই মাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে নতুন রায় দিল হাইকোর্ট। আর এই রায় রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে চর্চার ঝড় তুলেছে।
সম্প্রতি হাইকোর্ট মাধ্যমিক পরীক্ষার মামলা নিয়ে যে রায় ঘোষণা করেছে,,,,,,,,সেটা অবশ্য ২০২৪ সালের নয়। এটি ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে। সেইবছর মাধ্যমিকে ৬৯৭ পেয়ে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নেন দেবদত্তা মাঝি। আর অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গাফিলতির জন্য মেধা তালিকা থেকে ছিটকে যান সৌম্য সুন্দর রায়। ২০২৩ সালের মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের বেলদা থানার জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া সৌম্য সুন্দর রায়, ৬৮২ পেয়ে একাদশে স্থানে জায়গা পায়। কিন্তু সেখানে এই পড়ুয়ার পাওয়ার কথা ৬৮৬ এবং স্থান হওয়ার কথা সপ্তম। সৌম্যর বাবা বিশ্বজিৎ রায় ছেলের ফলাফলে দেখে সন্তুষ্ট হননি। কোথাও গিয়ে তার মনে হয় সৌম্য প্রথম দশে থাকার যোগ্যতা রাখেন। বিশেষ করে তার জীবনবিজ্ঞানের নম্বর কম দেখে উদাসীন হয়ে পড়েন। এরপর পর্ষদের কাছে রিভিউ করার আবেদন জানান। কিন্তু পর্ষদ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তার নম্বরে কোন পরিবর্তন আনা হবে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এমন আচরণ পেয়ে ক্ষুব্ধ হন বিশ্বজিৎ বাবু। এরপর তিনি ছেলের পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য আবেদন জানান। আর সেখানেই তিনি দেখতে পান সৌম্য চারটি উত্তর সঠিক দেওয়া সত্ত্বেও ওকে নাম্বার দেওয়া হয়েছে ১, যেখানে পাওয়ার কথা ৪। ৩ নম্বর কম পাওয়ার ফলে এই পড়ুয়া ১০০ তে পেয়েছেন ৯৬ এবং ৭০০ তে এসেছে ৬৮২। সৌম্য যদি প্রথমেই এই নম্বর পেয়ে যেত তাহলে ২০২৩ প্রথম দশের তালিকায় সেও থাকতো। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এমন গাফিলতি দেখে বিশ্বজিতের বাবা হাত গুটিয়ে বসে থাকেন নি। ছেলের প্রাপ্য জায়গার জন্য তিনি দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। আর সম্প্রতি সেই মামলার রায় দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলার বিরুদ্ধে সৌম্যর তরফ থেকে যাবতীয় প্রমাণ দিয়েছেন আইনজীবী সুজিত কুমার চৌধুরী। এমনকি তিনি সমস্ত বিষয়টি আদালতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেছেন। বিষয়টি শুনে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়টি সহানুভূতির সাথে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে মিটিয়ে দিতে হবে ।
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এমন উদাসীনতা দেখে মাথায় হাত রাজ্যবাসীদের। আজকাল শিক্ষাব্যবস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে এই নিয়োগ প্রশ্ন তুলছে অভিভাবকরা। আগামী দিনে পড়ুয়াদের এরকম সমস্যার যে সম্মুখীন হতে হবে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেকে। এমনকি রাজ্য রাজনীতি স্তর থেকেও একের পর এক মন্তব্য ধেয়ে আসছে।
Leave a Reply