৩৪ বছর ধরে তালাবন্ধ! পাওয়া যাচ্ছে না চাবি! কী আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে?

৩৪ বছর ধরে তালাবন্ধ! পাওয়া যাচ্ছে না চাবি! কী আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে?

৩৪ বছর ধরে
তালাবন্ধ!

পাওয়া যাচ্ছে না
চাবি!

কী আছে পুরীর
জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে?

যা যা আছে শুনলে
বিশ্বাসই হবে না!

দেখুন

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কথা কে না জানে বলুন তো! ভারতে যতগুলো জাগ্রত মন্দির রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এখনো লোকমুখে শোনা যায়, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে নাকি ঘুরে বেড়ায় শ্রী চৈতন্যদেবের ছায়া। সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের একটি রহস্যময় প্রসঙ্গ উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মুখে। নির্বাচনী প্রচারে উড়িশায় গিয়ে এ প্রসঙ্গটি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। আর এই প্রসঙ্গটি গুলো পুরীর রত্ন ভান্ডার। আপনারা অনেকেই জানেন যে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যতগুলো গল্প রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্না ভান্ডারের চাবি রহস্য। এবার নির্বাচনী প্রচারে উড়িষ্যায় গিয়ে ঠিক এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন পুরীর রত্ন ভান্ডারের চাবি কোথায়? আর এই চাবি গায়েবের পেছনে নাকি নবীন পট্টনায়ক এবং বিজু জনতা দায়ী।

আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাব,,,, পুরীর এই রহস্য খচিত রত্ন ভান্ডার সম্পর্কে। এই রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে ভক্তদের আগ্রহ অনেক বেশি। পুরীর এই রত্নভান্ডারটি সাতটি ঘর নিয়ে গঠিত। সামনের ঘরটি আনুমানিক কুড়ি বাই কুড়ি ফুট আয়তনের। পুরীর এই রত্নভাণ্ডারের সাতটি ঘরের মধ্যে ১৯৮৪ সালে তিনটি ঘর খোলা হয়েছিল। বাকি ঘরগুলো সেভাবে খোলা হয়নি। পুরীরের রত্ন ভান্ডারে যা যা আছে শুনলে ভিমড়ি খাবেন। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে পুরীর মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে যা যা সম্পত্তি রয়েছে তার পরিমাণ তিরুপতি মন্দিরের থেকেও বহু গুণ বেশি। পুরীর রত্নভান্ডারে মোট ২২১ কোটি টাকার সম্পত্তি জমা রয়েছে বলে তথ্যসূত্রে জানা যায়।

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের যারা সেবায়েত রয়েছেন তাদের মুখ থেকে শোনা যায় এইরত্ন ভান্ডারে নাকি সঞ্চিত রয়েছে ভগবান জগন্নাথের মাথার ব্রহ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের মাথার নিলা, সুভদ্রার মাথার মানিক সমস্ত দামি দামি রত্ন খন্ড সঞ্চিত রয়েছে এই রত্ন ভান্ডারে। এই রত্ন ভান্ডারকে দিন-রাত পাহারা দিয়ে থাকেন এক প্রহরী।

তবে বন্ধুরা পুরীর এই রত্ন ভান্ডারকে নিয়ে রহস্য চিরকালের। কারণ এই রত্ন ভান্ডার এর মধ্যে ঠিক কি কি সঞ্চিত আছে সেই নিয়ে সরকারি কোনো তথ্য দীর্ঘকাল প্রকাশ্যে আছেন।। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আইন অনুযায়ী রত্ন ভান্ডার প্রতি তিন বছর পর পর অডিট করা প্রয়োজন কিন্তু রাজনৈতিক তরজার কারণে কোন সরকারই এই কাজে মন বসায়নি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *