এই কারণেই আমার ভারত মহান! আমার ভারত সেরা, বিপদে শত্রুকেও হাত বাড়িয়ে দেয় হিন্দুস্থান

এই কারণেই আমার ভারত মহান! আমার ভারত
সেরা, বিপদে শত্রুকেও হাত বাড়িয়ে দেয় হিন্দুস্থান

এই কারণেই
আমার ভারত মহান!

আমার ভারত
সেরা!

বিপদে শত্রুকেও
হাত বাড়িয়ে দেয় হিন্দুস্থান!

এবার এই দেশের
মারাত্মক বিপদে এগিয়ে এলো ইন্ডিয়া!

শুনলে গর্ব হবে!

সারে জাহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তান হে হামারা – এই গানের স্বার্থকতা ভারত বহুবার প্রমাণ করেছে। বাকি দেশের কথা জানা নেই, কিন্তু আমার দেশ ভারত সোনার চেয়েও খাঁটি। ভারতকে দেখেই শেখা যায় বন্ধুত্ব কাকে বলে। ভারতকে দেখেই শেখা যায়, শত্রু হোক বা বন্ধু বিপদে নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিকে খুব একটা ক্ষতি নেই। সম্প্রতি আবারো ভারত নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনেক বড় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে আমাদের দেশ।

আপনাদের মনে আছে আজ থেকে কিছুদিন আগেও মালদ্বীপ আমাদের সাথে কি আচরণটা করেছিল??? ভুলে গেছেন? তাহলে একটু মনে করিয়ে দি! এইতো কিছুদিন আগেও এই মালদ্বীপ ভারতকে বয়কট করার ডাক দিয়েছিল। ভারতের বিরুদ্ধে নানা রকম কুকথা উচ্চারণ করেছিল। মালদ্বীপের বেশ কিছু মন্ত্রীরা ভারত এবং মালদ্বীপের সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই স্মৃতি কিন্তু এখনো ভোলেনি ভারত। কিন্তু দেখুন তারই মধ্যে মালদ্বীপের বিপদেই ঝাঁপিয়ে পড়ল আমাদের দেশ। সমস্ত কু কথা, অভিমান, অপমানকে একপাশে রেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুস্তান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কাছে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ব্যাকুল ভাবে সহযোগিতা প্রার্থনা করছেন। ভারত সরকার অবশ্য মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে হতাশ করেননি। আসলে আজ থেকে কিছুদিন আগে মালদ্বীপ এবং ভারতের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকার পরে মালদদ্বীপের থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হয়। সেই সময় মূলত মালদ্বীপের চাপে পড়েই ভারত এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু তার ফল কি হলো? তার ফল হল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর! ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের ফলে মালদ্বীপকে পড়তে হচ্ছে সাংঘাতিক কিছু সমস্যার মুখে। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘাসান মামুন নিজেও শিকার করেছেন সেই কথা। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন এই মুহূর্তে তাদের কাছে ভারতের দান করা যে তিনটি যুদ্ধবিমান রয়েছে সেগুলো চালানোর মতন দক্ষ পাইলটও তাদের কাছে নেই। তাদের কাছে দক্ষ পাইলট তৈরি করার মতন প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও নেই। যার ফলে তাদের আকাশ সীমায় দায়িত্বরত প্রতিরক্ষা বলয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয় ভারতের এই সিদ্ধান্তের কারণে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধীরে ধীরে ভঙ্গুর হয়ে আসছে।

আর মালদ্বীপের এই শোচনীয় অবস্থায় হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারত। সমস্ত তিক্ততা এবং খারাপ লাগাকে দূরে সরিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছেন মালদ্বীপের পাশে ভারত রয়েছে। মালদ্বীপের এই করুণ পরিস্থিতিতে তাদের পাইলটদের সামরিক বিমান এবং হেলিকপ্টার ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দিতে ভারত সদা প্রস্তুত। এই পরিপ্রেক্ষিতকে সামনে রেখে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খুলেছেন।

তিনি শুরুতেই জানিয়েছেন মালদ্বীপের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ মালদ্বীপের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক। আর তাছাড়াও তিনি আরো জানিয়েছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহযোগিতা করা ভারতের একান্ত দায়িত্ব এবং কর্তব্য। অর্থাৎ তার কথা থেকে স্পষ্ট , কোন দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখেও ভারত চুপ করে থাকবে এমনটা ভারতের প্রকৃতিতে নেই। ভারতের ক্ষেত্রে শোভা পায় না এমন সিদ্ধান্ত । সত্যি এই গোটা বিষয়টি ভারতবাসী হিসেবে অত্যন্ত গর্বের। আশা করা যায় এই ঘটনা থেকে মালদ্বীপ ভারতের কাছ থেকে সৌজন্যতা শিখবে।

ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই গোটা বিষয়ে মালদ্বীপ এবং ভারত সরকারের মধ্যে আলাপ আলোচনা ক্রমশ চলছে। মালদ্বীপ সরকার যদি কোনও প্রকার সহযোগিতার আবেদন করেন অবশ্যই ভারত সরকার তা ভেবে চিন্তে জানাবেন। কিন্তু ভারত কাউকে খালি হাতে ফেরাবে না। এখান থেকে একেবারেই স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা সত্যিই অনবদ্য।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *