তৃণমূল ছাড়বেন রচনা ব্যানার্জী? ভোটের পরেই
যোগ দেবেন বিজেপিতে?
তৃণমূল ছাড়বেন
রচনা ব্যানার্জী?
ভোটের পরেই
যোগ দেবেন বিজেপিতে?
মহা সর্বনাশ তৃণমূলের!
রচনাকে কেন্দ্র করে
শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে!
জানুন
রচনা বন্দোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত আলোচিত একটি নাম হয়ে উঠেছেন। দিদি নম্বর ওয়ান এর মঞ্চ থেকে সোজা রাজনীতির মঞ্চে উত্থান হয়েছে এই অভিনেত্রীর। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী থেকে নেত্রী। মমতা দিদির হাত ধরেই নেমে পড়েছেন হুগলির ভোট ময়দানে। “দিদি বলেছেন তাই এসেছি” _ ঠিক এই কথাগুলো বলেই,,, দিদির আশীর্বাদ নিয়ে রাজনীতির রণসজ্জা পরিধান করেছেন একসময়ের এই ডাকাবুকো সুন্দরী নায়িকা। জি বাংলার সেট থেকে এখন তিনি হুগলির দিদি হয়ে উঠেছেন। তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে তারই একসময়ের সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়। যিনি হুগলির বিদায়ী সাংসদ। হুগলির ভোট ময়দান এর খেলা এক্কেবারে জমে উঠেছে এই দুই নেত্রী তথা অভিনেত্রীর জোর টক্করে।
কিন্তু এইসব তো হলো!! এরই মাঝে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে যে বিস্ফোরণ তথ্য উঠে এলো তা যেন রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহল কাঁপিয়ে দিয়েছে!!! আর এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন রচনা দেবীর প্রতিদ্বন্দ্বী, বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আপনাদের যখন এই তথ্য পেশ করছি ততক্ষণে হুগলির লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই লোকসভা নির্বাচনের ময়দান থেকেই বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় হুঙ্কার ছেড়ে স্পষ্ট করে বলেছেন,,,,, ভোট শেষ হওয়ার পর পর তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা বিজেপিতে যোগ দেবেন। আর এই কথা বলার সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগে। লকেটের এই বক্তব্য শুনে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে হুগলি থেকে শুরু করে বাংলার গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের টিকিতে জেতার পর সত্যিই কি বিজেপিতে যোগ দেবেন রচনা???
এদিকে হুগলির বিজেপি প্রার্থী আরো বলেন ভোটের আগের রাতেই নাকি তৃণমূলের আইপ্যাকের লোকেরা হুগলিতে ঢুকে পড়েছেন টাকার থলে নিয়ে। টাকা দিয়ে ভোটারদের কিনে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ লকেটের।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এ হেন মন্তব্যে একেবারেই চুপ করে থাকেননি তৃণমূলের হেভি ওয়েট প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্যতা বজায় রেখে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন প্রতিপক্ষের দাবিকে তিনি বিশেষ পাত্তা দিতে চান না। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হোক। সেই সঙ্গে মজা করে বলেছেন কেউ মাথা গরম করলে তাকে যেন রসগোল্লা খাইয়ে দেওয়া হয়।
সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে হুগলির ভোট ময়দান এক্কেবারে গরম। একদিকে রচনা অন্যদিকে লকেট দুই হেভি ওয়েট প্রার্থীর চোখাচোখা বাক্য বানে জমে উঠেছে হুগলির খেলা।
Leave a Reply