তিনি তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতা! মমতা দিদির স্নেহভাজন ভাই, কালীঘাটের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সুসজ্জিত তার ১ কোটি টাকা!
তিনি তৃণমূলের
ডাকাবুকো নেতা!
মমতা দিদির
স্নেহভাজন ভাই!
কালীঘাটের ব্যাঙ্ক একাউন্টে
তার ১ কোটি টাকা!
ঘর ভর্তি লক্ষ লক্ষ টাকার
বই পুস্তক!
হাত ভর্তি দামী দামী
রত্ন খচিত আংটি!
ইনি আর কেউ নন শ্রীরামপুরের
বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জী
………………..
কিছুদিন আগেই জনসংযোগ কর্মসূচির গাড়ি থেকে কাঞ্চন মল্লিককে সকলের সামনে তাড়িয়ে দিয়ে, আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। আবার, বামফ্রন্ট প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে মিস ইউনিভার্স তকমা দিয়েও সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন এই মানুষটি। মোটামুটি বলতে গেলে তৃণমূলের রাজনৈতিক শিবিরে এই কল্যাণবাবু কিন্তু যথেষ্ট আলোচিত এবং চর্চিত। এক সময় আইনজীবীর পোশাক গায়ে দিয়ে,,,, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ অবলম্বন করে হাইপ্রোফাইল মামলা লড়াতেন তিনি। এই কল্যাণ ব্যানার্জীর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সিঙ্গুর মামলার সঙ্গে। আপনাদের অনেকের স্মৃতিতে হয়তো এই ঘটনা ফিকে হয়ে আসতে পারে,,,, তাই একবার মনে করিয়ে দিলাম। তবে আজকের প্রতিবেদনে কল্যাণ ব্যানার্জিকে নিয়ে নতুন করে কিছু তবে আজকের প্রতিবেদনে কল্যাণ ব্যানার্জির রাজনৈতিক গণ্ডি রেখা নিয়ে আলোচনা করব না। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাব এই কল্যাণ বাবুর সম্পত্তি তালিকা সম্পর্কে। যা শুনলে একটু হলেও তাজ্জব হতে হবে আপনাদের।
একদম শুরুতেই বলি শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু কোটিপতি মানুষ। তার একাউন্টে কোটির নিচে কোনও সংখ্যা নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কল্যাণ বাবুর জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে তিনি মোট ২৯ কোটি ৬২ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৩৫ টাকা। কি সংখ্যাটা শুনেই কি মাথা ঘুরিয়ে গেল? দাঁড়ান আরো আছে। কল্যাণ বাবুর সহধর্মিনীও কিন্তু কম যান না। তিনিও কোটি টাকার মালকিন। ফলোফনামাই কল্যাণবাবু উল্লেখ করেছেন তার স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৩৬ টাকা।
শ্রীরামপুরের তিন তিনবারের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বছরে বছরে নিজের সম্পত্তির শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন। সত্যি তাক লাগার মতন। তা চলুন দেখি,,,, পাঁচ বছরে কল্যাণ বাবুর বার্ষিক আয় কত কত বেড়েছে এক ঝলকে দেখিনি –
২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে কল্যাণ বাবুর বার্ষিক আয় ছিল 3 কোটি 79 লক্ষ 37 হাজার 820 টাকা ।
২০১৯ থেকে ২০২০ সালে বার্ষিক আয় সামান্য কমে হয়েছিল 2 কোটি 12 লক্ষ 16 হাজার 369 টাকা ৷
২০২০ থেকে ২০২১ সালে ওই আয় পুনরায় বেড়ে দাড়ায় 3 কোটি 44 লক্ষ 99 হাজার 123 টাকা ৷
২০২১ থেকে ২০২২ সালে বার্ষিক আয় আর বেড়ে হয় 4 কোটি 32 লক্ষ 33 হাজার 544 টাকা ৷
২০২২ থেকে ২০২৩ সালে বার্ষিক আয় বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় 4 কোটি 32 লক্ষ 63 হাজার 266.09 টাকায় ।
শুধু কল্যাণ বাবুর বার্ষিক আয় দেখলে হবে? কল্যাণ বাবুর সহ ধর্মিনীর বার্ষিক আয়টাও তো দেখতে হবে তাই না !চলুন দেখে নেওয়া যাক –
২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী
ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয় ছিল 2 লক্ষ 75 হাজার 120 টাকা ।
২০১৯ থেকে ২০২০ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল 2 লক্ষ 60 হাজার 254 টাকা ৷
২০২০ থেকে ২০২১ সালে ওই আয় হয় 2 লক্ষ 60 হাজার 250 টাকা ৷
এদিকে ২০২১ থেকে ২০২২ সালে আয় বেড়ে হয় 2 লক্ষ 88 হাজার 530 টাকা ৷
২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ফের বেড়ে আয় গিয়ে দাঁড়ায় 3 লক্ষ 25 হাজার 600 টাকায় ৷
এবার দেখুন অস্থাবর সম্পত্তির দিক থেকে কল্যাণবাবু ঠিক কতটা এগিয়ে রয়েছে
অস্থাবর সম্পত্তির দিক থেকে,,, কল্যাণ বাবুর তালিকায় প্রথমেই আছে দুটি বিলাসবহুল চার চাকার গাড়ি। এই গাড়িগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য 27 লক্ষ 48 হাজার 427 টাকা। শুধু তাই নয়, কল্যাণ বাবুর হাতে নগদ টাকা রয়েছে পঞ্চাশ হাজার। একই সঙ্গে আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে 15 লক্ষ টাকার সোনার গয়না। কল্যান ব্যানার্জীর বাড়িতে রয়েছে মোট এক কোটি টাকা দামের দামি দামি মূল্যবান আইনি বলে। না এখানেই শেষ নয় আরো আছে। কল্যাণ ব্যানার্জীর নামে ব্যাংক ও পোস্ট অফিস মিলিয়ে মোট 12 টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে গচ্ছিত রয়েছে ৫ কোটি ৫২ লক্ষ্য ৫৮ হাজার ২২১ টাকা। নিজের সাথে সাথে স্ত্রীর থলিতেও আছে মোটা টাকা, যার পরিমাণ ৫৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭০১ টাকা।
বর্তমানে কল্যাণ বাবুর নামে কলকাতা এবং দিল্লিতে সুবিশাল লাক্সারিয়াস ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাট গুলো দেখতেও চোখ ধাঁধানো এক্কেবারে নজরকাড়া। আপনাদের জানিয়ে রাখি, কালীঘাটের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে নাকি এই নেতার নামে অগাধ ধন-দৌলত রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন সেখান থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছিল। তথ্য অনুসারে, কালীঘাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে কল্যাণ বাবুর নামে 1 কোটি 78 হাজার 32 লক্ষ 617 কোটি টাকা রয়েছে।
সত্যি আইনজীবীর পোশাক পরে যেভাবে রাজনৈতিক ময়দানে দাগ কেটেছেন কল্যাণবাবু তা যেন অনস্বীকার্য।
Leave a Reply