ভারতের এই পাঁচ মন্দিরে পুরুষদের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ!

Title: ভারতের এই পাঁচ মন্দিরে পুরুষদের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ! প্রবেশ করলেই গুরুতর পাপ! এর পিছনে কারণটা কি?

Focus:

মহিলারা নয় বরং!

ভারতের এই পাঁচ মন্দিরে
পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ!

পুরুষদের জন্য একেবারে
নো এন্ট্রি বোর্ড লাগানো!

প্রবেশ করলেই জীবনে
লাগবে গুরুতর পাপ!

ঘনিয়ে আসবে
ভয়ংকর অন্ধকার!

ভারতের কোথায় রয়েছে
এমন পাঁচ মন্দির?

কেন প্রবেশ করতে
দেওয়া হয় না পুরুষদের?

দেখে নিন
আজকের প্রতিবেদনে

এক, কামাখ্যা মন্দির:

ভারতের এই মন্দিরে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। অসমের রাজধানী গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ের বুকে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির। ভারতের ৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে এক এবং অন্য এই শক্তিপীঠ। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই শক্তিপীঠে মহামায়া দেহত্যাগের পর নিচের অংশ অর্থাৎ সন্তান ধারণের অংশটি পড়ে। তাই এই মন্দিরে দেবীকে শুধু কামাখ্যা দেবী নয় রক্তক্ষরণকারী দেবীও বলা হয়। আষাঢ় মাসের বিশেষ সময় এখানে মায়ের মুখ দেখা নিষিদ্ধ। মূলত তিনদিন মায়ের দ্বার বন্ধ থেকে। কারণ এই তিনদিন মা ঋতুময়ী হয়ে ওঠেন। এই সময়টাকে সকলেই অম্বুবাচী বলেই জানি। আর এই অম্বুবাচীর সময় মন্দিরে কোন পুরুষ প্রবেশ করতে পারেন না। এই তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন শুধুমাত্র মহিলারা এবং সন্ন্যাসীরা। এমনকি ঋতুবতী মহিলারাও প্রবেশ করতে পারবেন। কিন্তু কোন পুরুষের প্রবেশ কড়াকড়ি ভাবে নিষেধ করা রয়েছে।

দুই, কন্যাকুমারী:

এরপরের মন্দিরটি হচ্ছে ভগবতী দেবীর কন্যাকুমারী মন্দির। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে অবস্থিত ভগবতী দেবীর মন্দির। তবে এই মন্দিরে বিশেষ করে বিবাহিত পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। কারণ কথিত আছে, দেবী ভগবতী দেবাদিদেব মহাদেবকে স্বামী রূপে পাওয়ার জন্য এখানে এসে তপস্যা করেছিলেন। কিন্তু দেবী তপস্যা সম্পূর্ণ হয় না। এরফলে ভগবতী দেবী সন্ন্যাসিনী রূপেই থেকে যান। সেই থেকে এখানে ভগবতী দেবী কে একজন সন্ন্যাস হিসেবে পুজো করা হয়। তার জন্যই এখানে বিবাহিত পুরুষদের প্রবেশ একেবারেই নিষেধ। দেবীর পূজো একমাত্র সন্ন্যাসীরাই করতে পারেন। এমনকি কোন সন্ন্যাস পুরুষ যদি মায়ের দর্শন করতে চান তাহলে মন্দিরের দ্বার থেকেই দর্শন করে ফেরত যেতে হয়।

তিন, আট্টুকাল ভগবতী মন্দির:

কেরলের আট্টুকাল ভগবন্তি মন্দিরে পুরুষদের প্রবেশ নাকি ঘোরতর পাপ। বিশেষ করে পোঙ্গল উৎসবে তো আরোই নয়। এটি মূলত নারীদের উৎসব। প্রতিবছরই উৎসবে প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি মহিলা এই উৎসবে সামিল হয়ে থাকেন। শুধু পোঙ্গল উৎসবই নয় এখানে যেকোনো উৎসবেই নারীদের প্রাধান্য সবার আগে থাকে। পুরুষরা এই মন্দিরের কোন কাজেই থাকতে পারেন না । এমন রীতি চলে আসছে প্রায় অনেক বছর ধরে। এখানেই শেষ নয়, পোঙ্গল উৎসবে এত বড় মহিলাদের সম্মেলন হয় যে,,,,,,,,,যার জন্য আজ এই মন্দির গিনিস বুকের খাতায়।

চার, ব্রহ্মা মন্দির:

সারা বিশ্বে খুঁজে বেড়ালেও ব্রহ্মা মন্দির একটিও পাবেন না। একমাত্র রাজস্থানের পুষ্করেই রয়েছে ব্রহ্মার মন্দির। তবে এই মন্দিরে কোন বিবাহিত ছেলে কিংবা পুরুষ প্রবেশ করতে পারেন না। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, স্বয়ং দেবী সরস্বতীর কাছে অভিশাপ পেয়েছিলেন ব্রহ্মা। আসলে সেই সময় এই মন্দিরে ব্রহ্মার সঙ্গে সরস্বতীর যজ্ঞে বসার কথা ছিল। কিন্তু দেবী সরস্বতীর পৌঁছানোয় বিলম্ব হওয়ায়। ব্রহ্মা গায়ত্রী দেবীকে বিয়ে করে নেন। আর এই ঘটনাটি দেখে দেবী সরস্বতী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। রেগে গিয়ে ব্রহ্মাকে অভিশাপ দেন,,,,,,,যে এই মন্দিরে কোন বিবাহিত পুরুষ প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কোন বিবাহিত পুরুষ এই মন্দিরে প্রবেশ করে তাহলে তার বৈবাহিক জীবনে কালো ছায়া নেমে আসবে। সেই থেকে এই মন্দিরে কোন বিবাহিত পুরুষ প্রবেশ করেন না।

পাঁচ, বিহারের মুজাফ্ফরনগরের মাতা মন্দির:

ভারতের অন্যতম শক্তিপীঠ হচ্ছে বিহারের এই মাতার মন্দির। দেবী কামাখ্যার মতন এই মন্দিরের দেবীও বিশেষ সময় ঋতুময়ী হয়ে ওঠেন। আর এই বিশেষ সময় মায়ের মুখ দেখা তো নিষেধ। সেইসাথে কোন মাঙ্গলিক কাজ করাও বন্ধ থাকে। যে কটা দিন মা ঋতুবতী অবস্থায় থাকেন,,,,,, সেই কটা দিন এই মন্দিরে কোন পুরুষ প্রবেশ করেন না। এমনকি মহিলা পুরোহিতরাই দেবীর আরাধনা করেন। অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠা ভাবে, রীতি মেনে এই দিনগুলি পালন করা হয় ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *