গরমে লাফিয়ে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি!

Title: গরমে লাফিয়ে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি! প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ! এই স্ট্রোকের লক্ষন গুলিই কি কি? বুঝবেন কিভাবে?

 

Focus:

প্রাণান্তকর গরমে লাফিয়ে
বাড়ছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি!

প্রাণ হারাচ্ছেন
অসংখ্য মানুষ!

বাজছে মৃত্যু ঘন্টা!

তবে প্রশ্ন হচ্ছে
এই হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
গুলি কি কি?

কাদের সবচেয়ে বেশি
ঝুঁকি রয়েছে?

এই প্রতিবেদন এড়িয়ে যাবেন না
নাহলে আপনারই বিপদ

Body:

ফাটিয়ে পড়েছে গরম। গায়ে ফোসকা পড়ার মতন গরম পড়ছে। বাইরে বেরোলেই জানপ্রাণ কয়লা হয়ে যাচ্ছে। ভোর হতে না হতেই সূর্যিমামা তেজ নিয়ে হাজির। এই মুহুর্তে গোটা বঙ্গের যা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তাতে গোটা বঙ্গ জুড়ে মরণদোসর অবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা বঙ্গ যেনো এখন উত্তপ্ত অগ্নিকুণ্ড। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে এই মুহুর্তে তাপমাত্রা প্রায় ৪৮ ডিগ্রি পার করে ফেলেছে। আর কয়েকদিন পর এটা হাফ সেঞ্চুরীও পার করে ফেলতে পারে। কিন্তু এই মারাত্মক গরমে সবচেয়ে বেশি চোখ রাঙাচ্ছে হিটস্ট্রোক। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। এই রোগ কোনো বয়সের বিধি নিষেধ মানছে না। যখন তখন যাকে তাকে ছোবল মারছে। ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলার অনেক মানুষই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন। তবে এই রোগের আশঙ্কা বাড়লেও অনেকেই এই রোগ সম্বন্ধে সঠিকভাবে জানেন না। গবেষকদের মতে, হিটস্ট্রোকের ধারণা না থাকার ফলে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিও বাড়ছে। আমাদের আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরবো এই হিটস্ট্রোক আসলে কি? এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলোই বা কি কি? তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিই এই বিষয়ে।

সবার আগে জানিয়ে রাখি হিটস্ট্রোক আসলে কি?

বিজ্ঞানীদের মতে, এই গরমে বিপদের বন্ধু হিট স্ট্রোক। এই রোগ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। হিট স্ট্রোকের ফলে যেমন মৃত্যু সম্ভাবনাও থাকে তেমনি সারা জীবনের জন্য আপনি প্যারালাইসডও হয়ে যেতে পারেন। গবেষকদের মতে, হিটস্ট্রোক তখনই হয় যখন অতিরিক্ত উত্তাপ শরীর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। মূলত আমাদের মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালামাস নামক একটি অংশ থাকে। এই অংশটিই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অনেকসময় অতিরিক্ত গরম পড়লে হাইপোথ্যালামাস তা নিয়ন্ত্রন করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। এরফলে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং হিটস্ট্রোকে মত সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এই রোগের লক্ষণগুলি কি কি?

এক, মাথা ঝিম ঝিম করা:

এই রোগের মূল লক্ষণ হচ্ছে মাথা ঝিমঝিম করা। যখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় সবার আগে তা মাথায় গিয়ে প্রভাব ফেলে। এর ফলে হাঁটতে গেলে মাথা কেমন করে উঠে। মাথার পিছনে ক্রমাগত যন্ত্রণা হতে থাকে। এমনকি রোদে আসলেই মাথায় যেন পুরোপুরি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

দুই, ঘাম না হওয়া:

প্রচন্ড গরমে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর উল্টোটা একেবারেই অস্বাভাবিক। এটা হিটস্ট্রোকের পূর্বলক্ষণ। আপনি যদি খেয়াল করেন এত গরমেও আপনার ঘাম হচ্ছে না। তাহলে আপনার শীঘ্রই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

তিন, চোখ মুখ লাল :

হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে চোখ মুখ হঠাৎ লাল হয়ে যাওয়া। মূলত সূর্যের তেজ বেশি থাকার ফলে তা আপনার মাথায় গিয়ে পড়ে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা আপনার শরীরে প্রবেশ করার ফলে চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।

চার, বমি:

অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীর থেকে সমস্ত এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। এরফলে শরীরে এক প্রকার দুর্বলতা তৈরি হয় এবং বমির ভাব দেখা যায়। তবে যদি অতিরিক্ত বমি হতে থাকে তাহলে বুঝবেন এটি হয়তো হিট স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণ।

পাঁচ, বুক ধড়ফড়:

সবচেয়ে বেশি খেয়াল করবেন নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের গতির দিকে। গরমের ফলে যদি হৃদপিণ্ড ধড়ফড় হতে থাকে। এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি যদি বেড়ে যায়।এমনটা হলে সাবধান হয়ে যান।

এছাড়াও খিঁচুনি ধরা, প্রচন্ড দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট হওয়া, হাঁটতে চলতে সমস্যা ইত্যাদি এইসব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

এই গরমে কাদের সবচেয়ে বেশি হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে?

হিট স্ট্রোক কোনও বয়সের সীমাবদ্ধতা মানে না। যখন তখন যে কারোর শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তবে গবেষকদের মতে, এই গরমে সবচেয়ে বেশি সাবধান থাকা উচিত বয়স্কদের এবং শিশুদের। এমনকি গর্ভবতী মহিলারাও এই সময়ে নিজেদের প্রতি বেশি খেয়াল রাখবেন। এছাড়াও হাইসুগার, হাইব্লাড প্রেসার রোগীদেরও এই রোগের ঝুঁকি রয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *