মে মাসেই ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় রেমাল!

Title: মে মাসেই ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় রেমাল!

Focus:

মে মাসেই ধেয়ে আসছে
ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় রেমাল!

আমফানের মাসেই
আরো একবার ঘূর্ণিঝড়!

সাক্ষী হতে চলেছে বঙ্গবাসী!

দিনের পর দিন শক্তিশালী হচ্ছে রেমাল!
ভয়ংকরভাবে ফুঁসছে বঙ্গোপসাগর,

কবে কোথায় আছড়ে পড়বে?
কত কিলোমিটার বেগে বইবে হাওয়া?
ঝড়ের গতিবেগ কত থাকবে?
দেখুন

Body:

এই মুহূর্তে বঙ্গবাসীদের চোখে ঘুম উড়িয়েছে নতুন একটি সাইক্লোন। বাংলায় একটি কথা রয়েছে পৌষ মাস সর্বনাশ! কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মে মাস সর্বনাশ। কারণ মে মাসেই বাংলা বারবার ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে। ২০২৪ এও সেই একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এই মুহূর্তে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দিয়েছে। একেই গোটা এপ্রিল জুড়ে বাংলা তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে হয় বঙ্গবাসীদের। মে মাসেও নেহাত গরমের তাপমাত্রা খুব একটা কম নয়। তবে এই ভয়ংকর গরমের মাঝেই আলিপুর আবহাওয়াবিদরা নতুন করে শনির সংকেত জারি করেছে। যদি আলিপুর আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা সত্যি হয় তাহলে মে মাসেই ঘনিয়ে আসবে নতুন একটি সাইক্লোন। আর তার নাম রেমাল! রেমালের প্রকোপে পড়ে লণ্ডভণ্ড হবে গোটা বাংলা। চোখের নিমিষে তছনছ হয়ে যাবে সব! কোথায় কখন আছে পড়তে চলেছে রেমাল? কি বলছে আবহাওয়াবিদরা? কেন এত ভয় এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে?

আলিপুর আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে হাওয়া বিদদের কপালে। রাজ্যবাসীরাও এই মুহূর্তে আতঙ্কে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় মে মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। আলিপুর আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ১৯ মে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের রূপ নিতে সময় লাগবে দুদিন। অর্থাৎ ২১ মে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর এটা শক্তিশালী হতে হতে ক্রমশ স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হবে। আর তা আছড়ে পড়বে ২৫ থেকে ২৭ শে মের মধ্যে। কিন্তু এখনই আবহাওয়াবিদরা এই নিয়ে সঠিক কোন আপডেট দিতে পারছেন না। কখন, কোন জায়গায় আছড়ে পড়বে সেই তথ্য এখনো হাতে পায়নি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে অনুমান অনুসারে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ উৎপন্ন হওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা কিংবা বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই দু জায়গাতেই পড়বে নাকি গতিবিধি অন্যদিকে ঘুরে যাবে তা বলাও এখন দুষ্কর। এমনকি ঝড়ের গতিবেগ নিয়েও আশঙ্কায় ভুগছেন তারা। হাওয়া অফিসের মতে, এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। এর ফলে কলকাতাতে ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। কিন্তু রেমাল কখন কোথায়? কত গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে? তা জানা যাবে মে মাসের শেষের দিকে। এমনকি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয় সঠিক কোন আপডেট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্রই এই আপডেট আপনারা পেয়ে যাবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *