পাঁচ বছরের মধ্যে পাল্টে গেলো অভিষেক স্ত্রীর নাম এবং প্যান কার্ড নম্বর!

Title: পাঁচ বছরের মধ্যে পাল্টে গেলো অভিষেক
স্ত্রীর নাম এবং প্যান কার্ড নম্বর!

Focus:

পাঁচ বছরের মধ্যে পাল্টে গেলো অভিষেক
স্ত্রীর নাম এবং প্যান কার্ড নম্বর!

রাতারাতি বদলে গেল
রুজিরার পরিচয় পত্র!

কি এমন ঘটলো যার
জন্য করতে হলো এমন কাজ?

কারণটাই বা কি?

তোলপাড়
রাজ্য রাজনীতি

Body:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর এই মুহূর্তে তিনি বঙ্গ রাজনীতির অত্যন্ত চর্চিত একটি নাম। তবে এবার অভিষেক নয় নজর কাড়ছে তার স্ত্রী। অভিষেকের ঘরণীকে নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হঠাৎ করেই বদলে গেছে রুজিরার প্যান কার্ড নম্বর। বদলে গেছে নামও। পাঁচ বছরের মধ্যেই মিসেস ব্যানার্জির পরিচয় পত্র বদল। এমনটা দাবি করেছে বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনীতি মহলে। প্রশ্ন উঠছে এমন কাজ কি করে হতে পারে? এর পিছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই তো? নাকি পুরোটাই সাজানো।

সম্প্রতি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেই মনোনয়নপত্রে অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান যেমন পাওয়া গিয়েছে। তার পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় থুরি রুজিরা নারুলার সমস্ত তথ্য। ২০১৯ সালের মনোনয়নপত্রের সাথে ২৪ এর মনোনয়নপত্রের কোন মিল নেই। বরং অমিলটাই বেশি। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে অভিষেক ব্যানার্জি যে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেখানে তাঁর স্ত্রীর প্যান কার্ডের নাম্বার ছিল AJNPN2286R। কিন্তু ২৪ এর লোকসভা ভোটের জন্য যে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেখানে উল্লেখ রয়েছে অন্য আরেক নাম্বার। শুধু এখানেই শেষ নয় আগে রুজিরার পদবী ছিল বন্ধ্যোপাধ্যায় আর এখন তা হয়ে গিয়েছে নারুলা। এমনটাও ধরা পড়েছে মনোনয়নপত্রে। পাল্টে গিয়েছে শশুরের নামও! পাঁচবছরের মধ্যে এমন বদল দেখে আমজনতারা অবাক।

তবে এটুকু শুনেই অবাক হবেন না। কারণ বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের পত্নীর নামে দুটি কার্ড প্যান কার্ড সচল রয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে একটি দেশে দুটি প্যান কার্ড নিয়ে কীভাবে চলা যায়? এমন কাজ তো রীতিমতো অবৈধ। তথ্য সূত্রে জানা যায়, একটি প্যানকার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক রয়েছে এবং আরেকটি বিদেশী মন্ত্রকের তরফে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে তাঁর নামে দুটি প্যান কার্ড। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আরও।তবে এত শুধু ট্রেলার দেখলেন আসল পিকচার এখন দেখবেন। কেনোনা শুধু পরিচয় পত্রই নয়। একাধারে বদলেছে রুজিরার বার্ষিক আয়ও। ২০১৮-১৯ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ১৫০ টাকা। তবে সদ্য জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রে নেতা উল্লেখ করেছেন তার পত্নীর আয় Not Applicable। অর্থাৎ প্রযোজ্য নয়। তবে এমন লেখার কারণ সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে একথা শুনে বিরোধীরা খোঁচা মারতে উঠে পড়ে লেগেছে। এমনকি শাসক দলের এহেন কান্ড দেখে পিছনে পিছনে মুচকি হাসছেন বিরোধীরা। ভোটের বাজারে এই কাহিনী এখন হট অফ দা টপিক হয়ে উঠেছে। রাজ্য থেকে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো কাটাছেড়া করা হচ্ছে এই বিষয়টিকে নিয়ে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *