Title: আম থেকে ছড়াচ্ছে ভয়ংকর ক্যান্সার! বাজারে আম কেনার আগে হয়ে যান সাবধান
Focus:
আম থেকে ছড়াচ্ছে
ভয়ংকর ক্যান্সার!
বাজারে আম কেনার আগে
হয়ে যান সাবধান!
আপনার কিনে আনা আমেই লুকিয়ে
রয়েছে ক্যান্সারের মারণ বিষ!
কিভাবে আম
ক্যান্সারের কারণ?
কি এমন রয়েছে যার জন্য
ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে?
দেখুন
Body:
পড়ে গিয়েছে বৈশাখ মাস! সেই সাথে পড়েছে গরম। হাড় জ্বালানো, টাক ফাটানো গরমে মরণ দোসর অবস্থা। আর এই বৈশাখ মাস মানেই আমের মরসুম শুরু। তীব্র গরমে পরান জুড়াতে সকলের ভরসা আম। আর বাজারও বেশ হলুদ হলুদ মিষ্টি মিষ্টি আমও দেখা যাচ্ছে। সকাল রাত্রি দুপুর মাত্রা ছাড়া গপাগপ করে খেয়েও নিচ্ছেন সেই আম। তবে কি জানেন এই আমেই লুকিয়ে রয়েছে প্রাণঘাতী ক্যান্সারের কোষ। যে আম আপনার প্রানের তেষ্টা মেটাচ্ছে, সেই আমই আপনার আয়ু কমাচ্ছে। কি শুনে ভয় পাচ্ছেন? ভয় লাগলেও এটাই সত্যি। আমের মধ্যেই বাসা বেঁধে রয়েছে ক্যান্সারের জীবাণু।
কিভাবে এই আম ক্ষতিকারক হচ্ছে জানেন? আমে মেশানো রয়েছে কার্বাইড। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে বাজারে এই কার্বাইড মেশানো আম ছড়িয়ে গেছে। এই নিয়ে গবেষকরাও কিন্তু মুখ খুলেছেন। তাদের মতে এই কার্বাইড নাকি দিনের পর দিন আমকে ক্ষতিকর করে তোলে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কার্বাইড কিভাবে আমকে এত ক্ষতিকর করে তোলে?
তাহলে সবার আগে জেনে নিন এই কার্বাইড আসলে কি?
কার্বাইডকে অনেকে ক্যালসিয়াম কার্বাইডও বলে থাকে। আর এটি হচ্ছে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। মূলত এটি অ্যাসিটিলিন এবং ক্যালসিয়াম সায়ানামাইডের সংমিশ্রণে উৎপন্ন হয়। এই উপাদানটি ফলে প্রয়োগ করার পর অ্যাসিটিলিন ইথানল নামক বিষাক্ত পদার্থে পরিণত হয়। গবেষকদের মতে এই কার্বাইড মূলত কলকারখানার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর এই বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার ব্যবহার করা হচ্ছে ফলে। অর্থাৎ কৃত্রিম উপায় কাঁচা ফল পাকানো হচ্ছে। আর এই ফলগুলি খেয়েই শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ংকর ক্যান্সারের কোষ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আম থেকে কিভাবে ক্যান্সার হচ্ছে?
অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থে আম পাকানোর জন্য এই ভয়ংকর কেমিক্যালটি ব্যবহার করেন। এর ফলে কাঁচা আম মরসুমের আগেই পেকে যায়। সেই সাথে দেখতে লাগে রসালো, টসটসে। তবে এর ফলে আমের পুষ্টিগুণ যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি ফলটি স্বাদহীন, তেতো, পানসা হয়ে ওঠে। আর সেই আম আপনিও খাচ্ছেন আপনার পরিবারের লোককেও খাওয়াচ্ছেন।
তবে আম পেটে গিয়ে সবার আগে দখল করে কিডনিকে। কারণ এই ভয়ংকর পদার্থটি পেট থেকে বেরিয়ে যায় না। বরং দিনের পর দিন শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে। এমনকি লিভারে থেকে বের হওয়া এনজাইম গুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে লিভারে ক্যানসার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় কিডনি, পাকস্থলীর পরিপাক ক্রিয়া ধ্বংস করে। এভাবেই সৃষ্টি হয় ক্যান্সার।
কোলন ক্যান্সার, সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের মতোন ভয়ংকর রোগ দেখা দিতে পারে।
গবেষকদের মতে কার্বাইড শুরু ক্যান্সার তৈরি করে তা নয়। এই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের দ্বারা ফুসকুড়ি, ত্বকের সমস্যা, গর্ভবতী মহিলাদের সন্তান ধারণের সমস্যা, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক,শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমার মত ভয়ংকর রোগ তৈরি হতে পারে।
Leave a Reply