Title: পাত্রী রেডি! ভোট জিতলেই বিয়ে হবে দেবাংশুর!
Focus:
পাত্রী রেডি!
ভোট জিতলেই বিয়ে
হবে দেবাংশুর!
ভট্টাচার্য্য বাড়িতে বাজবে
বিয়ের সানাই!
ভোট প্রচারের মঞ্চ থেকেই
শোনা যাচ্ছে দেবাংশুর বিয়ে!
লাজে লাল
তৃনমূলের যুবনেতা!
Body:
ওমা! তাহলে কি এবার বরবেশে দেখা যাবে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। ভোটে জিতলেই চার হাত এক হবে নাকি! বেশ কিছুদিন আগেও তার বিয়ে নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়। আর সেই চর্চা শেষ হতে না হতেই আবারো বিয়ের চর্চা দেবাংশুকে নিয়ে। তবে এবার ভরা মঞ্চেই তাকে নিয়ে বিয়ের কথা শোনা যাচ্ছে। এমনকি বিয়ের কথা শুনে লজ্জায় লাল দেবাংশু। তৃণমূলের এই যুবনেতাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। যেদিন থেকে রাজনৈতিক মহলে নাম লিখিয়েছেন সেদিন থেকেই তিনি আলোচনার শীর্ষে। বলা যায় খেলা হবে গান গাওয়ার পর থেকেই তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠে যায়। এমনকি বাংলার অনেক তরুণীরাও তার প্রেমে দিওয়ানা। একজন সুদর্শন যুব নেতা হওয়ার দরুণ মেয়ে ভক্তের সংখ্যা তার একটু বেশি। কিন্তু বিয়ের কথা শুনে ইতিমধ্যেই অনেকের মন ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে। তবে এখনই অধৈর্য হবেন না………আগে পুরো বিষয়টা শুনে নিন।
আসলে লোকসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য। তমলুকে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় তাকে এখন ঘুরে ঘুরে প্রচার করতে হচ্ছে। আগামী ২৫ শে মে পঞ্চম দফায় তমলুকে ভোট হতে চলেছে। তাই প্রচার কাজও তিনি জোর কদমে চালাচ্ছেন। সদ্যই ভোটের জন্য হলদিয়া প্রচারে যান। কখনো হুট খোলা গাড়ি আবার কখনো বাইকে করেই প্রচারকার্য সম্পন্ন করেন। প্রচারের মাঝে সেখানকার বাসিন্দাদের সমস্ত সমস্যার কথাও তিনি শোনেন। বাসিন্দারাও তাকে ভালবেসে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাতে থাকে। একথায় হলদিয়া বাসিন্দাদের কাছে তিনি সেদিন অঢেল ভালোবাসা পান। এই প্রচারের মাঝেই হলদিয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাচক স্টেডিয়াম এর কাছে একটি সভার আয়োজন করা হয়। মঞ্চে উঠে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে একের পর এক দলীয় নেতাকর্মীরা সম্বর্ধনা জানাতে থাকেন। এতদূর সব ঠিক ছিল। তবে এই অনুষ্ঠানের মাঝে একজন তৃণমূলকর্মী মঞ্চে উঠেন, তিনি সম্বর্ধনাও জানান। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসার জন্য শুভ কামনাও করেন। কিন্তু হঠাৎই তার মুখ থেকে শোনা যায়, দেবাংশুর জন্য নাকি পাত্রী ঠিক করা হয়ে আছে। বিয়ে করলে তারা উন্নয়ন চাইবে। তবে বিয়ের পর কোন উন্নয়নের কথা তিনি দাবি করেছেন তা বোঝা মুশকিল। ভরা মঞ্চে এমন কথা বলতে দেখে হাসির রোল উঠে যায়। এমনকি দেবাংশু প্রথমে একটু চমকে যান এবং সেইসাথে তাঁর মুখে লজ্জার আভাস ফুটে ওঠে। কিন্তু ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাবেন এমনটা আশা করেনি তিনি। তবে সঙ্গে সঙ্গে এই বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তৃণমূল কর্মীকে জবাব বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে প্রার্থী করেছেন,,,,,,, তাই মাথার উপর এখন গুরুদায়িত্ব। এমনকি তার বয়স নিতান্তই কম। এখন পাত্রীর কথা জেনে তিনি কি করবেন? কারণ তিনি বিয়ে করতে রাজি নন। আরো ৪-৫ বছর কাটুক তারপরে নাই খুঁটিতে বাঁধা পড়বেন। এখন তো ছুটোছুটি করা এবং দৌড়ানোর সময় সেটাই এখন করি। হাসিমুখে তমলুকের প্রার্থী এমনটাই জানান।
Leave a Reply