তেড়ে ফুঁড়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সাংঘাতিক বিপদে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ
তেড়ে ফুঁড়ে ধেয়ে আসছে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল!
টগবগিয়ে ফুটছে বঙ্গোপসাগর !
যখন তখন শুরু হবে ভয়ংকর তাণ্ডব!
সাংঘাতিক বিপদে
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ!
অশনি সংকেত দেখছে
হাওয়া অফিস!
কোথায় কোথায় হানাদারি
চালাবে এই ঘূর্ণিঝড়?
পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায়
জারি রেড এলার্ট?
মে মাস মানেই ঘূর্ণিঝড়ের মাস। প্রত্যেক বছর এই মাসেই কোনও না কোনও ঘূর্ণিঝড় হবেই হবে। এই বছরও ব্যতিক্রম নয়। চলতি বছরের মে মাসেও ঘূর্ণিঝড় হবে। এমনই পূর্বাভাস মিলেছে আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে। শোনা যাচ্ছে মে মাসের শেষের দিকে ভয়ংকর একটি ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি মে মাসের শেষ সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভয়ংকর রকমের আঘাত হানতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি অত্যন্ত শক্তিশালী হতে চলেছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খব, ঘূর্ণিঝড়টিকে জন্ম দেওয়ার জন্য বঙ্গোপসাগরে একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে মে মাসের কুড়ি তারিখের পর বঙ্গোপসাগরের মাঝ বরাবর গভীর সাংঘাতিক নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে এই ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তি হতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ এবং অভিমুখ কোন দিকে হতে পারে তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। যে কারণে এই ঘূর্ণিঝড়টিকে নিয়ে অনেকটাই আশঙ্কায় ভুগছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিসের প্রাথমিক অনুমান এই ঘূর্ণিঝড়টি আনসারের মতোই বিধ্বংসী হতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা তান্ডবশালী হতে পারে সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এটি হয়তো বা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুপার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন বঙ্গোপসাগরে আসন্ন এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে রেমাল। এটির গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। মূলত মে মাসের কুড়ি তারিখের পর থেকেই এই ঘূর্ণিঝড়টির ফুলে ফেঁপে ওঠার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। যদি আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয় তাহলে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর,,,, এই ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ আদতে কোন দিকে হবে সেই নিয়ে যেহেতু সন্দেহ রয়েছে,,,, তাই ঘূর্ণিঝড়টির গতি প্রকৃতি সম্পর্কে এখনও সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ২৫ মে সন্ধ্যার পর এই ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ এই দুই জায়গার মধ্যে যে কোনও একটি দিকে যেতে পারে। আর সেই কারণেই হাওয়া অফিস সূত্রে দু দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে।
Leave a Reply